প্রাচীন বাংলার জনপদগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে যদি আপনাদেরকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সঠিকভাবে তথ্য জানার ক্ষেত্রে মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। কারন আমরা এ বিষয়ে অন্তত নিশ্চিত যে যেকোনো লিখিত তথ্যের চাইতে ছবির মাধ্যমে তা যদি প্রদর্শন করানো হয় তাহলে আমাদের মনে তাদের দীর্ঘদিন থাকে। তাই যে ক্যাটাগরির শিক্ষার্থী হয়ে থাকুন না
কেন অথবা ইতিহাস বিষয়ে জানার আগ্রহ থেকে এটা যদি জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা প্রাচীন বাংলার জনপদের মানচিত্র সংগ্রহ করে নিবেন। প্রাচীন বাংলার এই ভূখণ্ড যেমন একরকম ছিল না তেমনি ভাবে বর্তমানের যেভাবে জেলা ভাগ করা হয়েছে ঠিক সেভাবে জেলাভিত্তিক ভাগ ছিল না। তখনকার নির্দিষ্ট ভূখণ্ড অথবা শাসনকার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য জনপদে বিভক্ত করা ছিল।
এখন যেমন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হলেই এক মোড় থেকে আরেক মোড়ের নামের পরিবর্তন দেখা যায় তেমনিভাবে তখনকার সময়ে এই বিষয়গুলো ছিল না। মানুষের জনবসতি যেমন কম ছিল তেমনি ভাবে বাজার ঘাট থেকে শুরু করে বড় বড় কার্য অধিদপ্তর গুলো কম ছিল। তখনকার দিনে একটু পর পর এত বড় বড় বাজার অথবা এত বড় বড় স্থান ছিল না। রাষ্ট্র কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য জনপদে ভাগ করা ছিল এবং এখনকার যে ভৌগোলিক সীমারেখা রয়েছে তখনকার সেরকম ভৌগোলিক সীমারেখা ছিল না। তাই শাসন কার্যের সুবিধার জন্য এতক্ষণ জনপদের ভিত্তিতে ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে তা পরিচালনা করা হতো।
আপনি যদি মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন অথবা বিভিন্ন চাকরি প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধরনের বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে এখনকার সময় যেমন নির্দিষ্ট জেলাভিত্তিক অথবা নির্দিষ্ট জেলার মানচিত্রের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি জায়গায় সুন্দরভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পরিচালনা করা হয়ে আসছে তখনকার দিনে একই ভৌগোলিক রেখায় কাজগুলো করা হতো না। তখনকার ভৌগোলিক রেখা এবং এখনকার জেলা ভিত্তিক ভৌগোলিক রেখা একটা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই এখনকার সীমারেখার সঙ্গে যদি আপনারা মিল করে নির্দিষ্ট জেলাভিত্তিক তথ্য পেতে চান তাহলে সেটা হয়তো আপনাদের জন্য একটু কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
তাই আমরা আপনাদের সুবিধার্থে বর্তমান সময়ের তথ্যের উপরে নির্ভর করে তখনকার দিনে যে সকল জনপদ গড়ে উঠেছিল সেই সকল জনপথ বাংলাদেশের বর্তমানের কোন কোন জেলা জুড়ে রয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য প্রদান করলাম। তাহলে আপনি নির্দিষ্ট জেলাভিত্তিক তথ্য এখান থেকে জেনে নিতে পারছেন। একই জেলার কিছু অংশ যেমন নির্দিষ্ট একটা জনপদের অন্তর্ভুক্ত তেমনিভাবে অন্য জনপদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীদের জীবনে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হলে এই ধরনের জনপদ সম্পর্কে তথ্য জানতে হবে এবং তারা জনপদ সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাদের জ্ঞানের ভান্ডার অনেক বৃদ্ধি পাবে।
কোন ব্যক্তি যদি কোন একটা বই পড়তে গিয়ে নির্দিষ্ট জনপদের নাম জানতে পারে তখন সেই জনপদ আসলে বাংলাদেশের বর্তমান কোন জেলাকে নির্দেশ করে লেখা হয়েছে তা জানার প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে। তাছাড়া চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রাচীন বাংলার ইতিহাস জানা টা অত্যন্ত জরুরি। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রাচীন বাংলার মানচিত্র জনপদ আকারে যেভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল সেগুলো প্রদান করলাম।
আপনারা এখান থেকেই জনপদের তথ্য জেনে নিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পাদন করুন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হলে এই জনপদ গুলোর নাম জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করুন। পাঠ্য বই পড়ে কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর নাম জানার চাইতে আপনারা যখন ছবি দেখবেন তখন বাংলাদেশের মানচিত্র অনুযায়ী আপনাদের ধারণা হয়ে যাবে যে কোন জনপদ কোন কোন জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাই আপনাদের জন্য আমরা যে মানচিত্র প্রদান করলাম সেটা ডাউনলোড করে রাখলে পরবর্তীতে অফলাইনে ব্যবহার করতে পারবেন।
Leave a Reply