জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস লিখতে গিয়ে যারা হিমশিম খাচ্ছেন তাদের জন্যই আমরা আজ নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আসলাম। আমাদের বিশ্বাস আজকের পোস্টটি পড়ার পর আপনি নিজে যে কারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস খুব সহজে লিখে ফেলতে পারবেন। আজ মূলত আমরা কথা বলবো, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস দিয়ে। আপনি নিজের বন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস যেভাবে লিখবেন নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস সেভাবে লিখতে পারবেন না।
আপনার বন্ধুকে চাইলে আপনি যেকোন ভাষায় শুভেচ্ছা জানাতে পারেন কিন্তু যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন কিছু লিখবেন তখন বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে কারণ আপনার শুভেচ্ছা স্ট্যাটাসটি অনেক মানুষ পড়বে। বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্য সকলের মনে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে। এমন একটি মানুষ সম্বন্ধে যদি আপনি কোন কিছু লিখতে চান তবে ন্যূনতম কিছু পড়াশোনা করতেই হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্বন্ধে যদি আপনার কোন ধারণা না থাকে তবে কখনোই তাকে নিয়ে লিখার সাহস করা উচিত হবে না।
=বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা অনেককেই শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস লিখতে দেখি। অনেকে হয়তো খুব সুন্দর ভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস লিখে আবার কেউ কেউ স্ট্যাটাসের মধ্যে ভুল তথ্য দিয়ে দেয়। এই কাজগুলো করা মোটেও ঠিক নয় কারণ আপনি যদি কারো সম্বন্ধে ভুল তথ্য দিয়ে বসেন তবে হয়তো কিছু কিছু মানুষ এই তথ্যগুলোই বিশ্বাস করে বসে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সম্বন্ধে অনেক অনেক বই রয়েছে যেখানে তার জীবনী পুরোপুরি তুলে ধরা হয়েছে যে বইগুলো পড়ার মাধ্যমে আমরা তার জীবন সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানতে পারবো।
বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা অনেক বই রয়েছে যেগুলো আমাদের সকলেরই পড়া উচিত। একজন মানুষ নিজের জীবনকে কিভাবে বাজে রাখতে পারে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষদের কথা ভেবে তা জানতে পারবেন শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী পড়লেই। আপনার নিশ্চয়ই জানেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। কারাগারে কাটানোর সময় গুলো তিনি কাজে লাগিয়েছেন লেখালেখির মাধ্যমে। এছাড়াও কারাগারে বসেই তিনি ভেবেছেন বাঙ্গালীদের মুক্তির পথ কিভাবে তৈরি করা যায়। এভাবেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এক সময় বাংলাদেশকে মুক্ত করে ছাড়েন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানে কারাবন্দী অবস্থায় ছিলেন। এই সময় গুলো তার জন্য অনেক কঠিন সময় ছিল কারণ তিনি সেখান থেকে জানতে পারছিলেন না তার দেশের মানুষ কি অবস্থায় রয়েছে। এই ছোট ছোট ঘটনা গুলো থেকে আপনারা বুঝতে পারবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনে কতটা চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছিলেন। আমরা তার জীবন থেকে অনেক অনেক শিক্ষা নিতে পারি।
ঠিক আমরা যেমন শিক্ষা নিতে পারি তেমনি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কেও বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্বন্ধে জানার জন্য উৎসাহিত করতে পারি। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সারাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় তাই এই দিনটি হতে পারে সবচেয়ে উপযুক্ত একটি দিন যেদিন আমরা শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারব।
বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে কোন স্ট্যাটাস দেওয়ার আগে অবশ্যই কাকে নিয়ে পড়াশোনা করবেন। বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনের কোন সময় গুলো কিভাবে কেটেছে তা জানা এখন খুব কঠিন কোন বিষয় নয় কারণ আমরা তার লেখা বই থেকেই এ তথ্য গুলো খুঁজে পেতে পারি। শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস লেখার সময় নিশ্চয়ই সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
এলোমেলো ভাবে কখনোই কোন পোস্ট লেখা উচিত নয়। আপনার লেখা স্ট্যাটাসটি ছোট হোক কিন্তু এটা যেন সুন্দর হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু স্ট্যাটাসটি অনেক মানুষ পড়বে তাই এমনভাবে লিখতে হবে যেন লেখাটি পড়ে সবাই বুঝতে পারে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন। আশা করি এখন থেকে স্ট্যাটাস লেখাটা আপনাদের কাছে খুব একটা কঠিন লাগবে না।
Leave a Reply