প্রিয় ভিজিটর, আপনারা যারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং অনার্স পর্যায়ে পড়ালেখা করছেন অথবা অনার্স মাস্টার্স শেষ করে চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের আজকে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করা হয়েছে। সাধারণত যারা পড়ালেখা করে থাকে তাদের অধিকাংশের চিন্তা ভাবনা থাকে চাকরি করার এবং সেই ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির প্রাধান্য সবচাইতে বেশি। তাই সরকারি চাকরির সার্কুলার প্রকাশিত হলেই আমরা নির্ধারিত সময়ের ভেতরে অনলাইনে আবেদন করি।
বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার পরে প্রিলি, রিটেন এবং ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে সর্বপ্রথম এর কাজ হলো আপনাকে অনলাইনে আবেদন করা এবং এই সার্কুলার প্রকাশিত হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করার জন্য আপনারা ছুটে যান অনলাইন সার্ভিস এর দোকানে। কিন্তু শহর পর্যায়ের অনলাইন সার্ভিস এর দোকান গুলোতে অতিরিক্ত ভিড় থাকার কারণে আপনারা একটি আবেদন করতে অনেক সময় নষ্ট করে বসেন। তাই সময়ও আবেদনের টাকা সেভ করার জন্য আপনারা অনলাইনে চাকরির আবেদনের নিয়ম জেনে নিন।
প্রথমত আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করতে চান , সেই চাকরির যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে তা সংগ্রহ করে রাখুন। কারণ এখানেই আপনাদের সকল ধরনের আবেদন সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করা আছে এবং কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এই আবেদন করবেন তাও লিখা আছে। তাছাড়া আবেদন করার সময় কোন সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে এবং কোন সাইজের সিগনেচার জেপিজি ফরমেটে আপলোড করতে হবে তা উল্লেখ করা আছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে আপনারা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং সেখানে গিয়ে এ্যাপলাই নাও নামক অপশনে ক্লিক করুন। যদি একাধিক পদের আবেদন হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কোন পদের জন্য আবেদন করবেন তা সিলেক্ট করুন এবং আবেদন করার পেজে চলে যান। আপনি যে পদের জন্য আবেদন করবেন তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনাকে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত তথ্য, আপনার অন্যান্য কাজের দক্ষতা, ইতোমধ্যে কোন সরকারি চাকরিতে জড়িত আছেন কিনা এসকল বিষয় উল্লেখ করতে হবে। তাছাড়া আপনার যদি কোন কৌটা থেকে থাকে তাহলে তা উল্লেখ করার অপশন আপনারা সেখানেই পেয়ে যাবেন। এসকল তথ্য আপনাকে ধীরে ধীরে প্রদান করতে হবে।
প্রথমে ব্যক্তিগত তথ্যের ভেতরে আপনার নাম ইংরেজিতে এবং বাংলায় উল্লেখ করতে হবে। আপনার পিতা ও মাতার নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি আপনার ধর্ম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার অথবা জন্ম নিবন্ধন এর নাম্বার উল্লেখ করতে হবে। তাছাড়া ফিজিক্যালি হ্যান্ডিক্যাপ থাকলে তা উল্লেখ করবেন এবং না থাকলে আপনারা না অপশন সিলেক্ট করবেন।
শিক্ষাগত তথ্য উল্লেখের অংশে আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনি কোন পদের জন্য আবেদন করতে চান এবং এই পদের জন্য আবেদন করতে কি ধরনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। যদিও আপনার সেই চাওয়া যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক বেশি যোগ্যতা রয়েছে তারপরও আপনারা চাইলেই উল্লেখিত যোগ্যতা পর্যন্ত উল্লেখ করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যত দূর লেখাপড়া করেছেন সেই যোগ্যতা সেখানে উল্লেখ করবেন। সেই ক্ষেত্রে পরীক্ষার নাম, পরীক্ষার রোল নাম্বার, পরীক্ষা হতে উর্ত্তীনের সাল, পরীক্ষার রেজাল্ট ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
উপরের উল্লেখিত তথ্যগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রায় সব চাকরিতে একই ধরনের তথ্য প্রদান করা লাগে। তবে বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণির চাকরি গুলোতে আপনাকে এরচেয়ে আরো অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন আপনার উচ্চতা, ওজন, বুকের প্রসারিত মাপ যে ফরমেটে চাওয়া হবে সেগুলো উল্লেখ করবেন। এক্ষেত্রে ওই ফরমেট যদি আপনার জানা থাকে তাহলে এন্ড্রয়েড ফোনের ক্যালকুলেটর এর কাস্টম অপশনে গিয়ে কনভার্ট করে নিয়ে তথ্য পূরণ করবেন।
এসকল তথ্য প্রদান করার পরে আপনাকে আপনার তোলা বর্তমান সময়ের একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নির্ধারিত পিক্সেলে আপলোড করতে হবে। ছবি আপলোডের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এবং সব সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৩০০*৩০০ মেগাপিক্সেল এর ছবি এবং নির্ধারিত সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। আর যখন সিগনেচার আপলোড করবেন তখন কোন খাতায় আপনার সিগনেচার করে তা ৩০০*৮০ মেগাপিক্সেল এর নির্ধারিত সাইজের ফটো রেসাইজ করবেন। ফটো রেসাইজ করার ক্ষেত্রে আপনারা প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপস পাবেন এবং সেই অ্যাপস থেকে আগে থেকেই এগুলা করে নিতে পারবেন।
তাহলে উপরে উল্লেখিত তথ্য পূরণ করার পাশাপাশি ছবিও সিগনেচার আপলোড করার পরে আপনার আবেদনটি যদি পুরোপুরি ভাবে নির্ভর হয়ে থাকে তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করুন। আবেদন সম্পন্ন করা হলেই আপনাদের সামনে একটি আবেদনপত্র প্রদর্শিত হবে এবং সেখানে একটি ইউজার আইডি প্রদান করা থাকবে। এই ইউজার আইডি ব্যবহার করে উল্লেখিত পদের জন্য যত টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে তা টেলিটক সিম রিচার্জ এর মাধ্যমে ইউজার আইডি তে প্রদান করতে হবে। টাকা প্রদান এর বিস্তারিত তথ্য আবেদনপত্রের নিচের দিকে আপনারা দেখতে পাবেন এবং সেই নিয়ম অনুসরণ করে টেলিটক সিম রিচার্জ এর মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা প্রদান করেন পরে একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন। এভাবেই আপনারা অনলাইনে চাকরির আবেদন করতে পারবেন। যদি কোন বিষয় বুঝতে না পারেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের অজানা প্রশ্ন জানিয়ে দিতে পারেন।
Leave a Reply