আপনারা যদি যৌতুকের শিকার হয়ে থাকেন এবং কোন নারী যদি যৌতুকের শিকার হয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় তাহলে কোন নিয়ম অনুসরণ করে মামলা করবে তা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নেবেন। আপনাদেরকে এই প্রসঙ্গে আমরা সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যাতে করে আপনারা যৌতুকের মামলা সঠিকভাবে দায়ের করতে পারেন এবং এর জন্য সঠিক বিচার পেয়ে যান। অনেকে আছেন যারা নিরবে অনেক কষ্ট সহ্য করেন এবং স্বামীর সংসার করে যান।
কিন্তু এই সমস্যাগুলো দিনে দিনে যদি প্রকট হতে থাকে তাহলে একজন নারীর জীবন দুর্বি সহ হয়ে ওঠে এবং সেই নারীর মামলা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তাই নারীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের অমানবিক আচরণ প্রতিরোধ করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যৌতুক সংক্রান্ত আইন পাস করেছেন যেটার মাধ্যমে নারীরা মামলা করে সঠিক বিচার পাবে।
তবে আমাদের সমাজের নারীরা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে থাকে। তবে সেটা যদি মিথ্যা মামলা হয় তাহলে তার প্রেক্ষিতে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুযোগ পুরুষদের রয়েছে। তবে যৌতুকের মামলায় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রমাণপত্র অথবা অন্যান্য বিষয়গুলো দাখিল করতে না পারেন তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আসামিরা খালাস পেয়ে যায়।
যখন বরপক্ষ কোন পক্ষ থেকে অধিক পরিমাণ উপঢৌকন চাবে এবং এই উপঢৌকন যখন শর্ত অনুযায়ী হবে না তখন সেটা যৌতুক হিসেবে পরিগণিত হবে। যৌতুকের বিষয়গুলো খুব মারাত্মকভাবে অনেক সময় সংসার জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। এত যৌতুক একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ সেহেতু আপনারা নতুন নিয়ম অনুসরণ করে আদালতে যদি মামলা দায়ের করতে পারেন তাহলে আসামির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনেক সময় দেখা যায় যে যৌতুকের প্রভাবে সংসার জীবনে নেমে আসে অশান্তি। এই ধরনের অশান্তিকে প্রশ্রয় না দিয়ে আপনারা যদি সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সব দিক থেকে শান্তি নেমে আসছে। যৌতুকের কারণে কোন নারী যদি নির্যাতনের শিকার হয় তাহলে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। ঠিকঠাক মতো প্রমাণ সহকারে যৌতুকের জন্য মামলা করতে চান এবং এই মামলার যদি বিচার কার্য পরিচালনা করা হয় তাহলে একজন আসামির 1 থেকে 5 বছরের কারাদণ্ড হতে পারে অথবা 50000 টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আপনারা যদি নতুন নিয়ম অনুসরণ করে যৌতুক আইনে মামলা করার পদ্ধতি জানতে চান তাহলে বলব যে যৌতুকের শিকার যদি কেউ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কাবিননামা সহ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে গিয়ে সরাসরি মামলা করা যাবে। সরাসরি মামলা করতে পারলে আপনারা সরাসরি যেমন ফলাফল ভোগ করতে পারবেন তেমনি ভাবে স্থানীয় থানায় গিয়ে এজাহার করতে পারেন। তবে কেউ যদি যৌতুকের জন্য মারধরের শিকার হয় অথবা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় এবং এই মামলা যদি স্থানীয় থানা গ্রহণ না করে তাহলে আপনারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গিয়ে প্রমাণপত্র সহ মামলা করার সুযোগ পাবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে বর এবং কোনে একই এলাকার হওয়ার জন্য আপনাদের থেকে সেই মামলা হয়তো গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এদিকে আপনার শরীরে আঘাতের কারণে যদি সেই চিহ্ন থাকে এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট যদি সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে প্রমাণপত্র সহ করতে পারবেন এবং এই ক্ষেত্রে মামলার যাবতীয় কার্যকলাপ খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা হবে। তবে অনেক নারী আছে যারা তাদের অন্যান্য দোষ ত্রুটি ঢাকতে যৌতুকের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে যদি মিথ্যা মামলা প্রমাণ করা যায় তাহলে একজন নারীর বিরুদ্ধেও যথাযথ প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই পোষ্টের মাধ্যমে যৌতুকের মামলা করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থেকে থাকলে কমেন্ট করবেন।
Leave a Reply