অনেক পুরুষের দিকে তাকালেই দেখা যায় যে তাদের চোখের নিচে কালো দাগ রয়েছে। কড়া রোদ নির্ঘুম রাত বা রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে পুরুষের চোখের নিচে দেখা দিতে পারে ডার্ক সার্কেল। অনেকেই জানতে চেয়েছেন পুরুষের চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য কি কি ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে এসেছি পুরুষদের চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার কিছু ক্রিম সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য নিয়ে।
আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কিছু ক্রিমের নাম এবং সেই ক্রিমের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব আশা করি এই ক্রিম গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। তবে সেজন্য অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন পুরুষের চোখে নিজের কালো দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো।। রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ডার্ক সার্কেল দূর করার কয়েকটি উপায় আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
চোখের নিচে আই প্যাচ ব্যবহার করা: যেসব ছেলেদের চোখের নিচে কালো দাগ রয়েছে তারা চোখের নিচে আই প্যাচ ব্যবহার করতে পারবেন। চোখের নিচের মৃত কোষ দূর করে উজ্জ্বল ভাব আনতে আন্ডার আইপিএস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা ব্যবহার করা ও খুবই সহজ। মাত্র ২০ মিনিট ব্যবহারে এর তৎক্ষণিক ফলাফল দেখা যায় খুব সহজেই। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে পুরুষের চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার: এই ধরনের ক্রিমে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট ফর্মুলা জাতকের আদ্রতা ধরে রাখে ও মসৃণ রাখে। অ্যামিনো এসিড ও খনিজ সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় যে কোন ছেলে এই ক্রিমটি চোখের নিচে ব্যবহার করতে পারবে।
শসার টুকরা: আরামদায়ক ক্ষমতার সঙ্গে এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। সপ্তাহে তিনবার ১৫ মিনিট ব্যবহারে এর ভালো ফলাফল দেখা যায়।
চোখের নিচের সিরাম ব্যবহার: ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে উন্নত মানের চোখের কিছু সিরাম রয়েছে সেই সিরাম ব্যবহার করার ফলে খুব সহজেই চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। এতে করে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যায় খুব সহজেই। চোখের ফোলা ভাব এবং বলিরেখাও দূর করে।
কাঠ বাদামের তেল ব্যবহার: যেসব ছেলেদের চোখের নিচে কালো দাগ রয়েছে তারা কাঠ বাদামের তেল ব্যবহার করে সে কালো দাগ দূর করতে পারবেন। ত্বক উজ্জ্বল করতে কালো দাগ দূর করতে এবং ফোলা ভাব কমাতে কাঠবাদামের তেল অনেক ভালো কাজ করে থাকে। ভালো ফলাফলের জন্য সারারাত কাঠবাদামের তেল মেখে রাখা যেতে পারে।
আন্ডার আই জেল ব্যবহার: আন্ডার আইজেল ব্যবহারের মাধ্যমে চোখের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। এটা চোখের নিচের পিগমেন্টেশন কমিয়ে কালো দাগ দূর করে এবং এটা কম তৈলাক্ত হওয়ায় ক্রিম এর পরিবর্তে সহজেই ব্যবহার করা যায়।
তাই আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আশা করি আপনি এই উপরের ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার সমাধান হয়ে যাবে এবং এই ক্রিমগুলোর বাজার মূল্য আপনার হাতের নাগালেই রয়েছে তাই আপনি এই ক্রিমগুলো ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আশা করি আপনার যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেটি সমাধান এ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
আজকে আমরা আলোচনা করতে এসেছি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার সম্পর্কে। আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলের সম্পূর্ণ অংশ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন যে খাবারগুলোতে ভিটামিন সি রয়েছে সেই খাবারগুলো।
ভিটামিন সি এমন একটি খাবার যা মানব শরীরের জন্য খুবই জরুরী। কারণ রক্ত চলাচল থেকে শুরু করে শিরা ও ধমনীর কর্মক্ষমতা বজায় রাখা কোষ গঠন এবং রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি সবকিছুতে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি অপরিহার্য। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ভিটামিন সি এর প্রাত্যহিক চাহিদা হল ৬০ মিলিগ্রাম। এই ভিটামিন সি আমরা আমাদের প্রতিদিনের খাবার থেকে পেয়ে থাকি। ভিটামিন সি এর একটি ভালো অভ্যাসের কথা ভাবতে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে লেবুর ছবি। কিন্তু জানেন কি সর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ প্রথম দশটি খাবারের মধ্যে লেবুর স্থান নেই। আসুন জেনে নেয়া যাক সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের তালিকা গুলো।
কাঁচা মরিচ: সর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকার প্রথমে রয়েছে আমাদের অতি চেনা কাঁচা মরিচ। আমাদের প্রায় সব খাবারের প্রয়োজন পড়ে কাঁচামরিচের। বিশেষ করে শীতকালে কাঁচামরিচের তুলনা হয় না। ভর্তা থেকে শুরু করে নানা রকমের খাবারে কাঁচামরিচ দিলে যেন সাদ বেড়েই যায়। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের জন্য কাঁচা মরিচ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার।
পেয়ারা: পেয়ারা আমাদের অনেক পছন্দের একটি ফল। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পেয়ার। পেয়ারা প্রতি 100 গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এটি মাঝারি আকারের পেয়ারায় প্রায় ১২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তবে পেয়ারার চাঁদ ভেদে এর পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
বেল মরিচ: বেল মরিচ পাস্তা সহজ বাপি যার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা আমরা সব সময় না খেলেও মাঝে মধ্যে খেয়ে থাকি। এটি মেক্সিকান মরিচ। প্রতি ১০০ গ্রাম বেল মরিচ এ রয়েছে ১৮৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
টাটকা ভেষজ: বেশিরভাগ ভেষজই নানান পুষ্টিগণে ভরপুর থাকে। সেটা তাজা হোক অথবা শুকনো তবে তা যা যা তাইম ও পরস লেতে রয়েছে আর সব ভেষজ থেকে বেশি ভিটামিন সি। প্রতি ১০০ গ্রাম থাইমে রয়েছে ১৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং প্রতি 100 গ্রাম পোর্টস লেভে রয়েছে 133 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
গারো সবুজ পাতা এবং শাক: আমরা প্রায় সকলেই গারো সবুজ পাতা এবং স্বাদ খেয়ে থাকি। তবে শীতকালে যেন শাকসবজিটা বেশি ভালো লাগে। কারণ শীতকালের সবজির মধ্যে রয়েছে অন্যরকম একটা স্বাদ। আমরা খাবার হিসেবে যেসব কাঁচা পাতা খায় যেমন পুদিন আবার লেটুস তেমনি একটি হল শাক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি প্রতি 100 গ্রাম সাথে রয়েছে ১২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি তবে এর মধ্যে সরিষা শাক সর্বোচ্চ ভিটামিন সি যুক্ত। প্রতি ১০০ গ্রাম সরিষা শাক এ রয়েছে ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
ব্রকলি: ব্রকলি হল একটি সুস্বাদু খাবার। ব্রকলি দেখতে অনেকটাই ফুলকপির মত তবে এর রং হলো সবুজ। সবুজ টাটকা ব্রকলি ভিটামিন সি এর আরেকটি ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রক লেতে রয়েছে ৯৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
পেঁপে: পেঁপে হল আমাদের পছন্দের একটি ফল। পেঁপে আমরা প্রায় সবাই খেয়ে থাকি। আমাদের অতি পরিচিত ফল পেঁপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। পেঁপে কে ভিটামিন এ এবং ফুলেটের আধার হিসেবে প্রাধান্য দেয়া হলেও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। প্রতি 100 গ্রাম পেঁপেতে রয়েছে ৬২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
কমলা: কমলা আমাদের শীতকালে প্রিয় ফল। ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি তার গুণ। কমলার খাদ্যযোগ্য প্রতি 100 গ্রাম অংশে রয়েছে ৫৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
স্ট্রবেরি: চমৎকার ছাদের ফল হল স্ট্রবেরি। এই ফলটি, এমনিতে খাওয়ার পাশাপাশি কেক আইসক্রিম ডেজার্ট এবং আরো বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরিতে রয়েছে ৫৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। দাগ গুলো বেশি দেখা যায়।। তাই চেষ্টা করতে হবে সময় মতো ঘুমানো এবং বেশি বেশি পানি পান করা। এতে করে যেমন আপনার শরীর থাকবে ভালো ঠিক তেমনি আপনার চেহারার উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।
Leave a Reply