সাধারণত আমরা যখন সামান্তরিক শব্দটি উচ্চারণ করি তখন আমাদের সামনে চলে আসে চার বাহু বিশিষ্ট এক ধরনের চতুর্ভুজ। কিন্তু আমাদেরকে যখন কেউ এটা সংজ্ঞায়িত করতে পারে তখন নিজেদের মতো করে বানিয়ে না লিখে খুব সুন্দর ভাবে প্রামাণ্য সংখ্যা প্রদান করতে হয়। আজকের এই পোস্টে সামন্তরিক কাকে বলে এবং সামান্তরিকের বৈশিষ্ট্য কি তা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো যাতে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে তা দেখে নিতে পারে এবং জেনে নিতে পারে।
সেই সাথে সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করার জন্য কোন সূত্র ব্যবহার করতে হবে তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। প্রথমত আমরা সামান্তরিকের সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করব এবং সামন্তরিকের সংজ্ঞা প্রদান করার ক্ষেত্রে আমরা বলতে চাই যে, চার বাহু বিশিষ্ট যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান্তরাল এবং বিপরীত কোনগুলো পরস্পর সমান তাকে সামান্তরিক বলে। অর্থাৎ সামন্তরিকের বিপরীত বাহুগুলো সমান্তরাল হবে এবং একই পরিমাপের হবে। তাই এখন আমরা সামান্তরিকের বৈশিষ্ট্য প্রদান করব এবং এই বৈশিষ্ট্য গুলো হলো যে-
সামান্তরিক এর বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান নয় অথবা কোনোটিই সমকোন নয়।
সামান্তরিকের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করতে পারে এবং সামন্তরিকের কর্ণদ্বয়গুলো অসমান। সামান্তরিকের দুইটি কোণ সূক্ষ্ম কোণ এবং সামন্তরিকের দুইটি কোণ স্থূলকোণ।
সামান্তরিকের যেকোনো দুটি সম্মিলিত কোণ পরস্পরের সম্পূরক হয়ে থাকে।
উপরের উল্লেখিত এই বৈশিষ্ট্য গুলো সামান্তরিকের বৈশিষ্ট্য প্রধান খেলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। তারপরেও আপনারা যদি আরো বৈশিষ্ট্য পেতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিলে আমরা আপনাদেরকে সেই বৈশিষ্ট্য জানিয়ে দেব। তবে এখানে এখন সামান্তরিকের সূত্র বা ক্ষেত্রফল সূত্র জানার চেষ্টা করি। সামান্তরিকের ক্ষেত্র অথবা আয়তাকার ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল একই নিয়ম অনুসরণ করে হয়।
সামান্তরিকের ক্ষেত্রফল হল ভূমির সাথে উচ্চতার গুন দিতে হবে এবং গুণফল বর্গ এককে প্রকাশ করতে হবে। আর যদি পরিসীমা নির্ণয় করতে চাই তাহলে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ যোগ করে তার সাথে দুই গুণ করতে হবে এবং সেখানে যে পরিমাপ দেওয়া আছে সেই পরিমাপের নির্দিষ্ট এখন ব্যবহার করতে হবে।
Leave a Reply