আমরা হয়তো অনেকেই স্লো পয়জনিং শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হয়ে থাকবো। তাই আপনারা যারা এই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত এবং এটার মাধ্যমে এটার প্রকৃত অর্থ জানতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তু হচ্ছে স্লো পয়জনিং মানে কি। এ বিষয়টা আমরা সহজ ভাবে আপনাদের সামনে যদি উপস্থাপন করতে পারি তাহলে অনেকের কাছেই তা বুঝতে সুবিধা হবে এবং শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আপনাদের ধারণা গুলো স্পষ্ট করে নিতে পারবেন।
তাই আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের উদ্দেশ্য স্লো পয়জনিং সম্পর্কে আলোচনা করা শুরু করলাম এবং এটার মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন দিক থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি অন্য কেউ এ বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারবেন। তাই দেরি না করে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে সেগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বহু সংখ্যক জনসংখ্যা থাকার কারণে অথবা কিছু প্রকার অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে বিভিন্ন বিষয়ে এমন কিছু প্রতিষেধক অথবা কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে যেগুলো আমাদের শরীরে স্লো
পয়জনিং হিসেবে কাজ করছে। অর্থাৎ এটার প্রকৃত অর্থ হলো ধীরগতির বিষ।
অর্থাৎ এটা এমন একটা বিষ যা খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে অথবা সরাসরি কেউ কাউকে মেরে ফেলার জন্য এ ধরনের কাজগুলো করতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন সিনেমাতে অথবা বিভিন্ন মুভিতে আমরা স্লো পয়জনিং এর বিষয়গুলো দেখে থাকি যার মাধ্যমে শত্রুপক্ষ ভালো মানুষকে এ ধরনের বিষয় খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করাতে বাধ্য করে অথবা কোন ভাবে গ্রহণ করিয়ে থাকে।
তবে আমাদের সমাজে বর্তমান সময়ে যে ব্যবসায়ী রয়েছে তারা অনেক সময় তাদের পণ্যকে ঠিকঠাকমতো রাখার জন্য অথবা দীর্ঘমেয়াদী করার জন্য অথবা পচনশীল থেকে রক্ষা করার জন্য এমন কিছু মেডিসিন ব্যবহার করছে যেটা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তাই কেউ যদি এ ধরণের বিষ সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকে তাহলে তার শরীরে আস্তে আস্তে স্লো পয়জনিং এর বিষয়গুলো বাসা বাঁধবে এবং এই বিষয়গুলোর ফলে একটা সময় তার শরীরে ব্যাপক পরিবর্তন আসার পাশাপাশি তার মৃত্যুবরণ করতে পারে। তাই স্লো পয়জনিং হলো এমন একটা বিষ যেটা আপনি ধরতে পারবেন না এবং এটার মাধ্যমে একটা মানুষের মৃত্যু অনেক সময় অবধারিত হয়ে থাকে।
তাছাড়া অনেক সময় অনেকেই নিজেদের রাগ মেটানোর জন্য অথবা শত্রুতামির কারণে এই স্লো পয়জনিং ব্যবহার করে থাকে। এটার মাধ্যমে হঠাৎ করে একটা মানুষের শরীরে পরিবর্তন আসতে পারে এবং এর মাধ্যমে মানুষের কিডনি ড্যামেজ থেকে শুরু করে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। আবার অনেক সময় সেটা প্রেশার লো থেকে শুরু করে প্রেশার হাই করে দিতে পারে এবং আস্তে আস্তে শারীরিক পরিবর্তন আসার সাথে সাথে হঠাৎ করে সেই ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। তবে নিঃসন্দেহে এটা যেমন গুনাহের কাজ তেমনি ভাবে এটা সকল দিক থেকে আইনত দণ্ডনীয় একটা অপরাধ।
তাই কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে অথবা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে যদি আপনার শরীরে হঠাৎ করে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেন এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। এক্ষেত্রে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে আপনার সমস্যার কথা খুলে বললে এবং তারা যদি আপনার সমস্যার মূল খুঁজে বের করতে পারে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিশোধ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে এবং সুস্থ করে তুলতে পারবে।
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের কাছে এ বিষয়গুলো অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মানুষের প্রতি রাগ দেখানোর জন্য অথবা শত্রুতার দিক থেকে খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ইনজেক্টের মাধ্যমে শরীরে এটার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেক ব্যবসায়ী তাদের পণ্যকে সঠিকভাবে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষের শরীরে স্লো পয়জনিং ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
Leave a Reply