এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাজ কি

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাজ কি

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রত্যেকটি থা উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাদের থাকে প্রশাসন ক্যাডার তাদেরকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে অথবা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগদান করবেন তখন আপনাকে কি কি ধরনের দায়িত্ব পালন করা লাগতে পারে সে

প্রসঙ্গে জানতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদেরকে আমরা এই তথ্য প্রদান করব। তথ্য জেনে নিতে পারলেই আপনাদের অনেক সুবিধা হবে আপনার এবং আপনারা সেই অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ অথবা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কাজ সম্পর্কে এখানে ধারণা প্রদান করা হলো এবং আমরা আশা করি অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস থেকে যারা প্রশাসন ক্যাডারে যেতে চান তাদের চূড়ান্তভাবে নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর সাধারণ পদ হিসেবে সহকারী কমিশনারের পদ সৃষ্টি করা হয়। এক্ষেত্রে আপনারা যারা ভাবছেন প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হতে পারলেই ভালো নাম্বার নিয়ে আপনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগদান করতে পারবেন বিষয়টা এমন নয়।

অর্থাৎ আপনাকে সেখানে সহকারি কমিশনার হিসেবে যোগদান করতে হবে এবং যদি ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা অনুযায়ী প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সীমিত আকারে কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দিতে চান তাহলে তা করতে পারেন। তাই প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে আপনারা সরাসরি সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করতে পারলেও যদি কর্তৃপক্ষ চান তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ পাবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনাদের সেখানে দায়িত্ব পালন করা লাগবে।

তাই আপনি যখন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তখন নিজ নিজ এখতিয়ারে আপনাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং আপনাকে হয়তো সীমিত বিচারী ক্ষমতা প্রয়োগ করার বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হবে। তবে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনাকে যদি বহাল করা হয় তাহলে আপনি যে সকল দায়িত্ব পালন করবেন সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

তবে যাই হোক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে আসতে হলে আপনাকে বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এক্ষেত্রে অধিকাংশের পছন্দের তালিকা হিসেবে প্রশাসন ক্যাডার থেকে থাকে বলে আপনারা হয়তো এখানে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে পড়াশোনা জানতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে ভালো ফলাফল করতে হবে। বিকোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর বিধান অনুযায়ী এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যে তাদের কর্মপদ্ধির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

তাই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনি যদি দায়িত্ব পালন করেন তাহলে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে সে সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন। আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লেগে আছে এবং এই সমস্যা লেগে থাকার কারণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনি যখন নির্দিষ্ট উপজেলায় নিয়োগ পাবেন অথবা নির্দিষ্ট এলাকায় যখন দায়িত্ব পালন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সেই এলাকার যে সকল সামাজিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেগুলো দেখে নেওয়ার সাথে সাথে পুলিশ মোতায়ন করার মাধ্যমে অথবা নিজে উপস্থিত হয়ে সেগুলো সমাধান করতে হবে।

তাই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনি যখন দায়িত্ব পালন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা বলতে গেলে খাদ্যে যদি ভেজাল থাকে তাহলে সেই ভেজাল নির্মূল করার জন্য সরাসরি স্থান ভিজিট করার মাধ্যমে এবং মান পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনাদের এই কাজগুলো করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি কোথাও কোন ধরনের ইভটিজিং এর খবর পেয়ে থাকেন তাহলে উপস্থিত থেকে সেগুলো সমাধান করতে হবে অথবা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সেই এলাকায় যদি মাদকদ্রব্য চোরাচালানের বিষয়গুলো খুবই মাত্র অতিরিক্ত হয়ে থাকে অথবা এগুলো যদি আপনি নির্মূল করতে চান তাহলে আপনার ক্ষমতার অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সেখান থেকে তার নির্মূল করা সম্ভব হবে। সরকারি সম্পত্তি যদি বেদখল হয়ে যায় তাহলে আপনাদেরকে সেখানে যেতে হবে এবং তা উদ্ধার করার চেষ্টা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে পুলিশি সহায়তা গ্রহণ করতে হবে। এভাবেই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অথবা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*