মেম্বারের কাজ কি

ইউনিয়ন পরিষদ হোক অথবা পৌরসভা হোক সেখানে যদি একজন মেম্বার থেকে থাকেন তাহলে তাকে যে ধরনের দায়িত্ব পালন করা লাগে তা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। সাধারণত একজন মেম্বার একটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকেন এবং ওয়ার্ডে যে ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো দেখবেন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবা প্রদান করে আসেন অথবা বিভিন্ন ধরনের সরকারি তথ্য সম্পর্কে অবগত করে আসেন।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত এই মেম্বার জনগণের সেবামূলক কাজে সব সময় অংশগ্রহণ করে থাকেন বলে আমরা জানি। তারপরেও একজন মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আসলে কোন কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করেন অথবা আপনার যে ধরনের প্রয়োজন সে ধরনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা তা এখান থেকে জেনে নিতে পারেন। নিচের দিকে একজন মেম্বার এর কাজ কি তা জানিয়ে দেওয়া হল।

ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা পর্যায়ে নয়টি করে ওয়ার্ড রয়েছে এবং বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই নিয়ম পরিচালনা করা হয়েছে বলে এটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে। একজন চেয়ারম্যানের অধীনে ৯ জন পুরুষ মেম্বার এবং তিনজন মহিলা মেম্বার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একজন করে মেম্বার যে সকল দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকেন তাতে করে সেই ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি ব্যক্তির মুখ সরাসরি চিনে থাকেন বলে কার কি সমস্যা সেগুলো সমাধান করে থাকেন এবং যে কোন প্রয়োজনে তিনি মানুষের সমস্যায় ছুটে যেতে পারেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুপারিশের কাজ গুলো তিনি করে থাকেন যাতে করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

সাধারণত সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি ওয়ার্ড এর ভেতরে যে সকল মানুষ দুঃস্থ ও দরিদ্র তাদের বিভিন্ন ধরনের ভাতার কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে মেম্বার সরাসরি যেমন কাজ করে থাকেন তেমনিভাবে সরকারি যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা আসে সেগুলো এলাকার ভেতরে দুস্থ মানুষদের নির্বাচন করে প্রদান করা হয়ে থাকে।

যেহেতু একজন চেয়ারম্যান সরাসরি প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে চিনে থাকেন না সেহেতু একজন মেম্বার নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করার কারণে প্রত্যেকটি মানুষকে চিনে থাকেন এবং কার কি সমস্যা তিনি খুব ভালো করে জানেন। তাই আপনারা যখন একজন মেম্বার হবেন অথবা একজন মেম্বারের দায়িত্ব পালন করার জন্য কোন কোন কাজ রয়েছে তা জানতে চাইবেন তখন বলব যে তাদের কাজ হল সেবামূলক বিভিন্ন কর্মের সঙ্গে নিজেদেরকে জড়িত রাখা।

কোন এলাকার মধ্যে যদি ঝামেলা হয়ে থাকে অথবা কোন বিবাহ সংক্রান্ত যদি বিচ্ছেদ হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে একজন মেম্বার উপস্থিত থেকে সমস্যা গুলো দেখে থাকেন এবং উভয় এলাকার মেম্বার এর মাধ্যমে সেটা সমাধান করে থাকেন। আবার বিবাহ সংক্রান্ত কাজেও একজন মেম্বার সরাসরি অংশগ্রহণ করে থাকেন বলে খুব সহজেই যেকোনো ধরনের সংযোগ অথবা সম্প্রীতির বিষয়গুলো গড়ে ওঠে।

তাছাড়া একজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে তিনি সবসময় থাকেন বলে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব গুলো প্রদান করে থাকেন এবং জন্ম নিবন্ধন ও জন্ম মৃত্যু সংক্রান্ত যে সনদ রয়েছে সেগুলোর স্বাক্ষর প্রদানের কাজগুলো তিনি করে থাকেন।তাই একজন মেম্বার স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত যে অফিস রয়েছে সেখানে বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং জনগণকে সরাসরি সাহায্য করে থাকেন।

যদিও একজন মেম্বারের বেতন বেশি নয় তারপরও তিনি এই সেবামূলক কাজে নিজেকে অংশগ্রহণ করানোর মাধ্যমে অন্যের ভালো করার চেষ্টা করে থাকেন এবং অন্যের বিপদে আপদে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরাসরি আর্থিক সাহায্য করতে না পারলেও সরকারি যে সাহায্য গুলো আসে সেগুলো প্রদান করতে সক্ষম হয়ে থাকেন। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে একজন মেম্বার অথবা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং এ প্রসঙ্গে যদি কারো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানালেই আমরা আপনাদেরকে পরবর্তীতে আরো তথ্য প্রদান করতে পারব।