ছুটির প্রয়োজন হলে বা বিভিন্ন কারণে আমাদের যখন অফিসিয়াল ভাবে কোন পত্র প্রদান করতে হয়, তখন তাকে দরখাস্ত বলা হয়। বর্তমান সময় যদিও চিঠি বা দরখাস্ত লেখার প্রচলন অনেক কমে গেছে, তবুও অনেক অফিশিয়াল প্রয়োজনে আমাদের দরখাস্ত লিখতে হয়। এজন্য আমাদের দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো শিখ রাখতে হবে। দরখাস্তকে অনেক সময় আমরা আবেদন পত্র বলি। এই আবেদনপত্র লেখারও সুন্দর সুন্দর নিয়ম রয়েছে।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আবেদনপত্র অনেক ভালোভাবে লিখা সম্ভব। আর দরখাস্ত বা আবেদনপত্র কোন কঠিন বিষয় নয়। একদমই সহজ একটি বিষয়। আপনার যদি দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখতে কোন সমস্যা থাকে বা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটা ভিজিট করতে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নমুনা দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো আবেদন পত্র লিখার নমুনা দেওয়া হয়েছে। আপনি সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় নমুনাটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তবে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতেও দরখাস্ত লেখার নিয়ম দেওয়া আছে বা নিয়মের ছবিগুলো এখানে আমরা দিয়েছি। আপনি যদি এই ধরনের নিয়ম লিখার ছবি খুজে থাকেন, তাহলে খুব সহজে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে দরখাস্ত লিখার নিয়ম গুলোর ছবি আপনি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
সাধারণত স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখা হয়। আবার অফিস, আদালতেও বিভিন্ন প্রজননের দরখাস্ত লিখতে হয়। আর এই জন্য আমাদের দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো শিখে রাখা অনেক ভালো। দরখাস্ত অনেক সহজ একটি বিষয়। দরখাস্ত লেখার অনেক সহজ নিয়ম অনুসরণ করলে দরখাস্ত অনেক সুন্দর ভাবে লিখা সম্ভব হয়। আর তাই এই নিয়মগুলো জানতে হবে।
আর আমাদের এই আর্টিকেলটিতে সুন্দর সুন্দর দরখাস্তের নিয়মের ছবি দেওয়া হল। আপনি এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয়তা নিয়মের ছবিটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন। একটি দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই প্রথমে তারিখ দিয়ে শুরু করতে হবে। দরখাস্তের উপরে তারিখ দিয়ে শুরু করার পর প্রাপকের নাম, পদবী এবং ঠিকানা লিখতে হবে। এরপর মূল বিষয়টি অর্থাৎ বিষয় লিখতে হবে। এ বিষয়ে কি কারনে আবেদন পত্রটি লিখতে হচ্ছে বা আবেদন পত্রটি কি কারনে প্রয়োজনীয় ওই বিষয়টি সুন্দরভাবে উল্লেখ করতে হবে। মূলত একটি আবেদন পত্রের বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বিষয় লেখার পরে জনাব লিখে মূল আবেদন পত্র টি লেখা শুরু করতে হবে। এবার এখানে কি কারণে ছুটির প্রয়োজন সেই বিষয়টি সংক্ষিপ্তভাবে বিস্তারিত লিখতে হবে। এখানে ছুটির কেন প্রয়োজন বা কি কারণে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে বা কি দরকার এ দরখাস্তটি পাঠানো হচ্ছে, এই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে না পারলে যে বিষয়ে দরখাস্তটি পাঠানো হচ্ছে তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে না।
তাই খুবই গুরুত্বের সাথে এই বিষয়টি লিখতে হবে। এবং পরিশেষে পেরেকের নাম, ঠিকানা সুন্দরভাবে লিখতে হবে। কারণ প্রেরকের নাম, ঠিকানা যদি লিখে না হয়, তাহলে কে দরখাস্তটি পাঠাচ্ছে এর বিষয়টি বুঝা সম্ভব হবে না। খুবই সুন্দরভাবে প্রেরকের নাম, ঠিকানা লিখতে হবে। এরপর আবেপনপত্রটি একটি খামের মধ্যে করে পাঠাতে হবে।
তবে একটি আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখার সময় অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। কারণ আবেদনপত্রে বা দরখাস্তে কোন ধরনের ভুল করা ঠিক না। যদি ভুল করা হয়, তাহলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। এজন্য যদি কোন আবেদন পত্র লিখার সময় ভুল হয়েও যায়, তাহলে তা বাতিল করে পুনরায় লিখে পাঠাতে হবে।
তাছাড়া আবেদন পত্রের মধ্যে কাটাকাটি করা উচিত না। কাটাকাটি হয়ে গেলেও তা বাতিল করে পুনরায় লিখে পাঠানো উচিত। তাহলে আবেদন পত্রটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং দরখাস্ত লিখার নিয়মটি আয়ত্ত করতে পেরেছেন।
Leave a Reply