
ছোট বাচ্চারা আমাদের অনেক আদরের হয়ে থাকে। আর যখন সে বাচ্চারা একটু খাওয়া শিখে তখন আমরা চেষ্টা করি অনেক রকমের নতুন নতুন খাবার তাদেরকে খাওয়াতে। অল্প অল্প খেলেও বেশ আনন্দ হয় বাবা মায়েদের। আর বাচ্চাদেরকে নতুন নতুন কিছু খাওয়ালে মা বেশ খুশি হয়। কোন কোন বাচ্চারা রয়েছে একেবারেই খেতে চায় না আবার কোন বাচ্চা রয়েছে অল্প হলেও সবকিছুই খায়।
তবে এ সময় যদি বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হয় তাহলে কিন্তু খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার। অনেক বাবা মা শিশুর কষ্ট কাঠিন্য নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েন। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে এই সমস্যাটা প্রবল হয়ে দেখা দেয়। অনেক অভিভাবকেরই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের এই সমস্যাটি বুঝতে পারেন না। ঠিক সেই জন্যই শিশুর কষ্ট কাঠিন্যের বিষয়ে বাবা-মার সচেতন হওয়া খুবই প্রয়োজন।
হে বন্ধুরা আপনারা আজকে অনেকেই জানতে চেয়েছেন কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে। ঠিক সেজন্যই আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল আমাদের আর্টিকেলে আজকে আমরা আলোচনা করব যেসব খাবার খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে সেই খাবার তালিকা গুলো সম্পর্কে।। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বাচ্চাদের পায়খানা নরম হওয়ার জন্য কিছু খাবার তালিকা
বেশি পরিমাণে পানি পান করা: পানি খাবার হজমের সহায়তা করে থাকে। সাধারণত হজম শক্তি কম হলে শিশুদের পায়খানা শক্ত হয়ে থাকে।। বেশি পানি খেলে মলাশয় পরিষ্কার হয় এবং শরীর নতুন করে খাবার থেকে পোস্টটি গ্রহণ করতে পারে খুব সহজেই। তাই খেয়াল রাখতে হবে সারাদিন বাচ্চাকে যাই খাওয়ার না কেন পানি যেন সঠিক পরিমাণে খাওয়ানো হয়। শিশু যদি পানি খেতে না চায় তাহলে শরবত, তাজা ফলের জুস, বা সুপ খাওয়ানো যেতে পারে।
আশ জাতীয় খাবার খাওয়া: যেসব শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে সেইসব শিশুদের খাদ্য তালিকায় আঁশ জাতীয় খাবার রাখুন। আশ হল খাবারের সেই অংশ যা পরিপাক হয় না এবং খাদ্য গ্রহণের পর অবশেষ হিসেবে জমা হয়ে মল তৈরি করে। খাদ্যের আশ অংশটুকু হজম না হওয়ার কারণে এগুলো পরিপাকতন্ত্রের বেশ কিছু জলীয় অংশ শোষণ করে থাকে এবং এ জলীয় অংশসহ এগুলো মনের সাথে বের হয়ে আসে এতে করে খুব সহজেই মল নরম হয়ে যায়। আশ জাতীয় খাবারগুলো হল, শাক, কচু শাক, কলমি শাক, পুদিনা পাতা, পুঁইশাক, ডাটা শাক, লাউয়ের ও মিষ্টি কুমড়ার পাতা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আশ রয়েছে।
শিশুদের পেট নরম করার ব্যবস্থা করুন: শিশুদের লেক্সোটিভ বা পায়খানা নরম করার ঔষধ দিয়ে হলেও কুষ্ঠ কাঠিন্য দূর করার চেষ্টা করুন। এসব খুব সহজেই কাজ করে এবং নিরাপদ বটে। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াবেন এবং পুরো ডোজ শেষ করাবেন। কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হওয়ার সাথে সাথেই হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ না করে আস্তে আস্তে বন্ধ করতে হবে।
শারীরিক কার্যক্রম: শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে প্রতিদিন তার খেলাধুলার ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়াও নিয়মিত বাচ্চাদের শরীল তেল দিয়ে মালিশ করা খুবই ভালো। হাত পা নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে তেল দিয়ে মালিশ করলে শিশুরা খুব আরাম অনুভব করে। তবে সাবধানে করতে হবে যাতে হাত বা পায়ে ব্যথা না লাগে। সারাদিনে কমপক্ষে এক ঘন্টা হলেও শিশুর শারীরিক কার্যক্রম না হলে অন্তরে নড়াচাড়াও স্বাভাবিকভাবে হবে না এজন্য শিশুকে খেলাধুলা করারও সুযোগ দিতে হবে।
শিশুর জন্য পছন্দের বাথরুমের ব্যবস্থা করা: অনেক শেষ হয় তার নির্দিষ্ট পছন্দের বাথরুম ছাড়া অন্য কোথাও বাথরুম করতে বা যেতে পছন্দ করে না। ঠিক সেই জন্যই শিশু হয়তো সময়মতো মাল ত্যাগ করতে পারে না। তাই শিশুকে তার পছন্দের বাথরুম ব্যবহার করতে দিন।
আশা করি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা জেনে নিতে পেরেছেন কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে সে সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো।
Leave a Reply