সাধারণত ইমারজেন্সি পিল এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা যারা প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছি তারা সকলেই জানি। সাধারণত অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ইমারজেন্সি পিল খাওয়া হয় এবং তার মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এই পিলের অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কতটুকু এই সম্পর্কে আমরা বেশিরভাগ মানুষই অজানা। যেটা জানাই আমাদের সবার আগের সব থেকে বড় দরকার ছিল।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব ইমারজেন্সি পিল কতটা নিরাপদ মানব শরীরের জন্য। এছাড়াও বাজারে থাকায ইমারজেন্সি পিল গুলো আমরা যারা নিয়মিত সেবন করি তাদের শরীরে কতটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছেড়ে যেতে পারে এই ইমারজেন্সি পিল সেটা জানার চেষ্টা করব। আপনারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে আজকের এই আর্টিকেল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তার কারণ হলো এই তথ্যগুলো অবশ্যই জানা উচিত। প্রত্যেকটি ওষুধের ভুল ব্যবহারের কারণে সেই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শরীরে থাকতে পারে।
ইমারজেন্সি পিল কতটা নিরাপদ
ইমারজেন্সি পিল কতটা নিরাপদ এটা না জেনেই আপনি যদি নিয়মিত ইমার্জেন্সি পিল খান তাহলে আপনি হচ্ছে সবথেকে বড় বোকা। তবে দু একবার যদি আপনি ভুল করে বসেন তাহলে সেই ভুলগুলো ঠিক করার জন্য আপনার কাছে সুযোগ থাকছে, এই পিলের মাধ্যমে সংশোধন করা। তবে আপনি যদি বারবার একই ভুল করেন তাহলে এটা একেবারে অন্যায়। যে জোরপূর্বক ভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কাউকে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ানো।
ইমারজেন্সি পিল গুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সব থেকে বেশি তাই আমরা এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং না জেনে কোনোভাবেই নিয়মিত ইমারজেন্সি পিল খাব না। আপনি বাজারের যত দামি ইমারজেন্সি পিল বা যত ভালো ইমারজেন্সি পিল ব্যবহার করেন না কেন প্রত্যেকটি ইমার্জেন্সি পিল মানব শরীরের জন্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভরপুর। এমন অনেক দেখা গেছে যে অতিরিক্ত ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহারের ফলে সেই নারীর পরবর্তীতে গর্ভধারণ হতে পারছে না বা গর্ভধারণে তার অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে।
ইমারজেন্সি জন্মনিরোধক পিল খাওয়া কি নিরাপদ
অপরিকল্পিত মিলনের ফলে গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকলে আপনি একটি ইমার্জেন্সি পিল খেতে পারেন। সাধারণত বাজারে থাকে ইমারজেন্সি পিল গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে ইমারজেন্সি পিল গুলো কার্যকর সেগুলো। অর্থাৎ অপরিকল্পিত মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বিলগুলো আপনাকে খেতে হবে তা না হলে এটি একেবারে অকার্যকর। অবশ্যই ইমারজেন্সি পিল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং নিয়ম মেনে আপনাকে ইমার্জেন্সি পিল খেতে হবে।
যদি প্রশ্ন আসে ইমারজেন্সি পিল খাওয়া নিরাপদ কিনা তাহলে বলব ইমার্জেন্সি পিল খাওয়া নিরাপদ তবে অবশ্যই নিয়মগুলো মেনে এটা খেতে হবে নিয়মের বাইরে গেলে অবশ্যই এটা অনিরাপদ। তাহলে চলুন জানা যাক ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম এবং এটা জানার পরে অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন আপনি ইমার্জেন্সি পিল খেতে ভুল করেছেন কিনা।
ইমার্জেন্সি পিল অবশ্যই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেতে হবে এবং সংগ্রামের পরের দিন সকালে খেতে হবে এমন কোন কথা নেই। সঙ্গমের পর যেকোনো সময় আপনি এই ইমারজেন্সি পিল খেতে পারেন তার কারণ হলো আপনি যত দ্রুত এই ইমার্জেন্সি পিল খাবেন এটা ততটাই কার্যকরী হবে।
ইমারজেন্সি পিল গর্ভনিরোধক ঔষধ এটা গর্ভপাত করাতে আপনাকে সাহায্য করবে না। শুধুমাত্র গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে আপনাকে সাহায্য করবে এই ইমারজেন্সি পিল। গর্ভনিরোধক এই ওষুধটি খেলে সেবনকারীর ওজন এমনিতে বৃদ্ধি পাবে এমন ধারণা মোটেও ঠিক নয়। ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে গর্ভধারণ এই পিলের কোন সম্পর্ক নেই তবে হ্যাঁ অবশ্যই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যার মাধ্যমে আপনার শরীরের কিছু হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে।
গর্ভধারণ রোধ করার শতভাগ প্রতিশ্রুতি দেয় না এই ইমারজেন্সি পিল তার মানে এটাই বোঝাচ্ছে যে সবার ক্ষেত্রে এই ইমারজেন্সি পিল কার্যকরী হতে নাও পারে। ইমারজেন্সি পিল খেলে অবশ্যই পিরিয়ডের সাইকেল অনিয়মিত হতে পারে এবং এর সঙ্গে মাথা ঘোরা ও বমি ভাবের মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আপনার লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
Leave a Reply