আজকে আমরা কথা বলবো ফেসবুকের সর্বাধুনিক ভেরিফাই সিস্টেম নিয়ে। অনেকে হয়তো আপনাদের মধ্যে এমন রয়েছেন যারা এই ভেরিফাই সিস্টেমের কথা প্রথম শুনলেন। আপনাদের মধ্যে যারা নিজের একাউন্ট কে সবথেকে বেশি সুরক্ষিত করতে চান তাদের জন্য ফেসবুক সর্বশেষ আপডেট হিসেবে নিয়ে এসেছে ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ব্যাজ ভেরিফাই সিস্টেম। এই ভেরিফাই সিস্টেমের মধ্যে একজন গ্রাহক চাইলে তার ফেসবুক একাউন্ট এতটাই সুরক্ষিত করতে পারবে যে একাউন্ট এতটা সুরক্ষিত এর পূর্বে হয়নি।
অনেক সময় ফেক অ্যাকাউন্টের জ্বালায় অনেকেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করাই ছেড়ে দেন। কিন্তু আপনি যদি এই পদ্ধতি মেনে আপনার ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করেন তাহলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট শুধুমাত্র আপনার থাকবে এবং সেটা সবার থেকে আলাদা থাকবে। সবার থেকে আলাদা বুঝতে পারার প্রধান কারণ হলো যারা এই পদ্ধতি মেনে ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করবেন তাদের আলাদা আলাদা কিছু ফিচারস দেওয়া হবে ব্যবহারের জন্য।
তারা এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে যখন তাদের ফেসবুক একাউন্ট সাজাবে তখন এমনিতেই দেখলে বোঝা যাবে কোন একাউন্টে এই নিয়ম মেনে ভেরিফাই করা হয়েছে এবং সত্যিই কোন অ্যাকাউন্ট আসল একাউন্ট। তাই আমরা আজকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানব।
ফেসবুক একাউন্ট ব্লু ব্যাজ ভেরিফাই কি
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লু ব্যাজ ভেরিফাই হলো এমন একটি পদ্ধতি পদ্ধতি মেনে কেউ যদি তার ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করে তাহলে তার মালিকানা একবারে পোক্ত হয়ে গেল সেই ফেসবুক একাউন্ট এর ওপর। এ নিয়ম মেনে যারা নিজের ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করে নেয় তার পরবর্তী থেকে ফেসবুক একেবারে নিশ্চিত হয়ে যায় যে সেটি একটি আসল একাউন্ট। বর্তমানে নকল একাউন্টের প্রবণতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেকেই অন্যের ছবি এবং তথ্য চুরি করে ব্যবহার করে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলছে।
সকল দিক বিবেচনা করে ফেসবুক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সিস্টেমে ভেরিফাই পদ্ধতি ব্যবহারে। এই ভেরিফাই পদ্ধতি ব্যবহার করে একজন ফেসবুক ব্যবহার করে যদি তার ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করে তাহলে তার আইডি দেখতে সবার থেকে আলাদা হবে। সবার থেকে আলাদা হওয়ার কারণে প্রথমত দেখলে বোঝা যাবে এটা আসল আইডি আর যেগুলো নকল আইডি সেই আইডিগুলো আসল আইডি থেকে আলাদা করে বোঝা যাবে। আজকে আমরা ফেসবুকের নতুন ফিচার নিয়ে আলোচনা করব এবং কিভাবে আপনি আপনার নিজের আইডি কিভাবে ভেরিফাই করাতে পারবেন তা এখন আপনাদের জানাবো।
ফেসবুক আইডি ব্লু ভেরিফাই এর সুবিধা
সাধারণত এই ভেরিফাই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে বড় বড় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য। যে সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এবং যারা প্রায়ই সেলিব্রিটি পর্যায়ের মানুষ তাদের জন্যই ফেসবুক এ ধরনের ভেরিফাই সিস্টেম নিয়ে এসেছে। এছাড়া আপনি যদি আপনার ফেসবুক আইডির ফলোয়ার সর্বোচ্চ 5 হাজার করতে পারেন তাহলে আপনি এই ফ্রী ফায়ার আন্ডারে পড়ে যাবেন।
তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পোস্ট দেওয়ার সময় কোন ধরনের কপিরাইট পোস্ট দেওয়া চলবে না এবং কোনো ধরনের কপি করা পোস্ট পোস্ট করা যাবে না। এই সকল নিয়ম মেনে আপনি যদি পোস্ট করেন তাহলে আপনি এই ভেরিফাই এর আন্ডারে পড়ে যাবেন তখন আপনি এই সুবিধা গুলো উপভোগ করতে পারবেন।
আপনি যদি ফেসবুকের ব্লু বেজের ভেরিফাই সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে আপনার ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভ ভিআইপি ফেসবুক আইডি তে পরিণত হবে। এই ফেসবুক আইডি বেশ কিছু ফিচার উপভোগ করতে পারবে যে ফিচারস গুলো অন্যান্য নরমাল আইডি ব্যবহার করতে পারবে না। যার কারণে আপনি যখন এই ফিচারগুলো ব্যবহার করে আপনার আইডিতে পোস্ট করবেন বা আপনার ফেসবুক আইডি সাজাবেন তখন অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা মনে হবে আপনার ফেসবুক আইডি।
একজন আগুন্তুক যখন আপনার ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করবে তখন এক দেখাতে বুঝতে পারবে আপনি একটি সেলিব্রিটি পর্যায়ের মানুষ বা আপনার ফেসবুক আইডিটি অনেক বড় মাপের একটি আইডি। এছাড়া আরো একটি বিষয় তারা ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবে সেটি হল এটি সম্পূর্ণ একটি আসল আইডি কোন ধরনের ফেক আইডি নয়।
ফেসবুক আইডি ব্লু বেজ ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ফেসবুক আইডি ভেরিফিকেশন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই নিজের ফেসবুক আইডির জন্য নিজের কাগজ পাতি ব্যবহার করে আপলোড করতে হবে। আপনি যেই নাম দিয়ে আপনার ফেসবুক আইডি খুলেছেন অবশ্যই সেই নামের সঙ্গে আপনার কাগজের যে নাম রয়েছে হুবহু সেই নামের মিল থাকতে হবে।
আপনি যদি এক নাম দিয়ে ফেসবুক আইডি খোলেন এবং অন্য নামে কাগজপত্র আপলোড করে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করতে যান তাহলে সেই আইডি ভেরিফাই হবে না। অবশ্যই আপনার ফেসবুক আইডি পরিবর্তন করে নিন এবং আপনার কাগজের সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক আইডির নাম রাখুন।
ফেসবুক আইডি ভেরিফাইড জন্য আপনার প্রয়োজন পড়তে পারে আপনার যেকোনো ধরনের পাসপোর্ট।
এছাড়াও আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিকে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করতে পারেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে যেকেউ জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করতে পারে।
সর্বশেষে একজন ব্যক্তির যদি মনে করে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে তার ফেসবুক আইডি ভেরিফাই করবে তা হলেও সে করতে পারবে।
ফেসবুক আইডি ব্লু ভেরিফাই করার নিয়ম
আপনারা যারা নিজের আইডি ফেসবুক আইডি ব্লু ভেরিফাই এর নিয়ম এর আন্ডারে ভেরিফাই করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি বিশেষ এই তথ্য। সবার পড়বে আপনারা যদি আপনাদের আইডি ভেরিফাই করতে চান তাহলে আমাদের দেখানো এই লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করুন। এটি হলো ফেসবুক আইডি ব্লু ভেরিফাই করার একটি লিংক। আপনারা সরাসরি সেই লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করে আপনাদের ফেসবুক আইডি ব্লু ভেরিফাই সম্পন্ন করাতে পারবেন।
আপনারা লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করলেই আপনাকে আপনার প্রোফাইল পেজে সিলেক্ট করতে বলবে আপনি কি ভেরিফাই করতে চান কিনা। আপনি যেহেতু লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করেছেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার আইডি ভেরিফাই করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি ওকে বাটনে সিলেক্ট করুন।
এরপরে আপনার সামনে যে অপশন টি তে আসবে সেই অপশনটিতে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন ধরনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সিলেক্ট করতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ আপনি এখানে বেশ কয়েকটি অপশন পাবেন এবং এই অপশনের মাধ্যমে আপনি কোন কোন আপনার কাগজপত্র সাবমিট করতে পারবেন সেই অপশনটির অপর সিলেক্ট করুন। বেশ কয়েকটি অপশন এর মধ্যে পাসপোর্ট, জন্ম সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি রয়েছে।
এর পর যেই অপশন টি রয়েছে সেখানে ডকুমেন্ট দিবেন বলে যেই অপশনটি রয়েছে সে অপশনটিতে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে । অপশনটি সিলেক্ট করার পরেই আপনার মোবাইলের ক্যামেরা অটোমেটিক্যালি ওপেন হয়ে যাবে এবং সেই ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার সেই ডকুমেন্ট স্ক্যান করতে হবে।
ডকুমেন্ট স্ক্যান করে ফটো আকারে আপলোড করতে হবে আপনাকে। এরপরে আপনাকে আপনার দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে।
এরপরে আপনাকে আরেকটা অপশন দেয়া হবে সেই অপশনে আপনি আরো অন্যান্য যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করেন সেগুলোর পাঁচটি নাম সিলেক্ট করতে হবে। এটা সম্পূর্ণ অপশনাল আপনি দিতে চাইলে দিতে পারেন না দিতে চাইলে না দিতে পারেন।
সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে আপনি নিচে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন সঙ্গে সঙ্গে আপনার সকল তথ্য সেখানে সাবমিট হয়ে যাবে। সাবমিট হয়ে যাওয়ার পরে আপনি 24 ঘন্টা অপেক্ষা করুন ফেসবুক থেকে কোন নোটিফিকেশন আসছে কিনা। আপনাকে সর্বোচ্চ 72 ঘণ্টার ভেতরে ফেসবুক থেকে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো হবে আপনার ফেসবুক আইডিটি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে কিনা।
এই ছিল ফেসবুক আইডি ব্লু ভেরিফাই করার সকল তথ্য আমাদের কাছে। আপনারা যদি ফেসবুক আইডির ব্লু ভেরিফাই সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের সকল তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে
Leave a Reply