আপনারা নিশ্চয়ই ফাতেমা নামটি শুনেছেন। আমাদের দেশে ফাতেমা নামটা শুনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। ফাতেমা নামটি অনেক পবিত্র একটি নাম। ফাতেমা নামের মেয়েরাও অনেক পবিত্র হয়। এরা অনেক ধার্মিক ও চরিত্রবান হয়ে থাকে। আজ আমরা ফাতেমা নামের মেয়েদের আচরণ নিয়ে কিছু কথা আপনাদের জানাবো। ফাতেমা নামের মেয়েদের বৈশিষ্ট্য জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ফাতেমা নামটি এতটাই পবিত্র যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই নিজের মেয়ের নাম ফাতেমা রাখতে চায়। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, বাংলাদেশ ছাড়াও মুসলিম বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র রয়েছে যেগুলোতে ফাতেমা নামটি অনেক জনপ্রিয়। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কন্যার নাম ছিল ফাতেমা।
ফাতেমা নামের মেয়েরা অনেক ধার্মিক হয়ে থাকে এবং নিজের জীবনটা ধর্মের জন্য উৎসর্গ করে যায়। এরা সৎ চরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকে। ফাতেমা নামের মেয়েদের চরিত্রে কোন ধরনের দাগ থাকে না। ফাতেমা নামের মেয়েরা স্বামীকে নিজের জীবনের সবকিছু মনে করে। স্বামীর প্রতিটি আদেশ ও নিষেধ সঠিকভাবে পালন করে।
আপনারা ফাতেমা নাম কি শুনে থাকলেও ফাতেমা নামের অর্থ হয়তো জানেন না। ফাতেমা একটি আরবি নাম। ফাতেমা নামের অর্থ নিষ্পাপ শিশু। অর্থাৎ সদ্য মায়ের বুকের দুধ ছেড়েছে এমন শিশুকে বোঝানো হয়। ছোট বাচ্চারা এমনিতেই নিষ্পাপ হয়ে থাকে। ফাতেমা নামের আরো অর্থ থাকতে পারে। তবে সেগুলো মোটামুটি সমর্থক শব্দ।
ফাতেমা নামের মেয়েদের হৃদয় অনেক কোমল হয়ে থাকে। কারো কষ্ট দেখলে এরা নিজেকে সামলে রাখতে পারে না। অন্যের ব্যথায় সমানভাবে ব্যাথিত হয়। গরিবের কষ্ট এরা দুচোখে দেখতে পারেনা। নিজের জমানো অর্থ থেকে গরিব মানুষকে সবসময় সহায়তা করে ফাতেমা নামের মেয়েরা।
এরা অন্যের জন্য নিজের জীবনের সুখ শান্তি বিসর্জন দিতে পারে। কেউ এদের কাছে কোন ধরনের আবদার করলে কখনো খালি হাতে ফেরায় না। নিজের সর্বস্ব বিয়ে হলেও অন্যকে ভালো রাখার চেষ্টা করে। তবে এই সব কাজ তারা স্বামীর অনুমতি নিয়েই করে থাকে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া এরা ঘরের বাইরে পা ফেলতে চায় না।
বিয়ের পর স্বামীর খেদমতেই এরা পুরোটা জীবন পার করে। নিজের সংসার ও বাচ্চাকাচ্চা লালন-পালনে এদের স্বর্গসুখ। নিশ্চিন্তে ফাতেমা নামের মেয়েদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া যায়।
Leave a Reply