
এখানে আমরা যদি সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে কোন তথ্য ভাবতে থাকে তাহলে দেখা যাবে যে হিসাববিজ্ঞান বলতে গেলে যে বিজ্ঞানের দ্বারা কোন কিছু হিসাব করা হয়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যখন অর্থ সংক্রান্ত লেনদেন করি তখন সেই অর্থ সংক্রান্ত লেনদেন করার ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠানে অথবা একটি পরিবারে কত টাকা আয় হলো অথবা কত টাকা ব্যয় হলো এই সংক্রান্ত হিসাবগুলো করে থাকে। মানুষের অর্থ সম্পত্তির পরিমাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে হিসাববিজ্ঞান দ্বারা আমরা যদি প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করি তাহলে দেখা যাবে যে এটা খুব সুন্দরভাবে এবং সুনিয়ন্ত্রিতভাবে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
তাছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কাজের জন্য যেমন অর্থ লেনদেন করতে হয় তেমনি ভাবে অর্থ বিনিয়োগ থেকে শুরু করে সেই প্রতিষ্ঠানে কত টাকা লাভ হলো অথবা সেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য কর্মীদের কত টাকা বেতন প্রদান করা হলো এ সকল বিষয়গুলো নির্দিষ্ট হিসাব অনুযায়ী রাখতে হয়। তাই হিসাববিজ্ঞান প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অথবা প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এবং এটি যদি আমরা সঠিকভাবে রাখতে পারি তাহলে আয় ব্যয়ের হিসাব যেমন রাখতে পারব তাহলে সেখান থেকে পরিমিত পরিমাণ যে মুনাফা আসবে সেটা হিসাব করে সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবহার করতে পারব।
আপনারা যখন নবম দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করবেন তখন কমার্স বিভাগের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো হিসাববিজ্ঞান এবং পরবর্তীতে আপনারা এ বিষয়ে যদি কেউ অনার্স মাস্টার্স করতে চান অথবা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে চান তাহলে তা করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসে এরকম ভাবে যদি আপনাদের থেকে হিসাব বিজ্ঞানের সংজ্ঞা অথবা হিসাব বিজ্ঞান কাকে বলে অথবা হিসাব বিজ্ঞান কি এটা জানতে চাওয়া হয় তাহলে আপনারা নিম্নরূপ উত্তর প্রদান করবেন।
একটা বিজ্ঞানের মাধ্যমে লেনদেন সনাক্তকরণ বা চিহ্নিতকরণ করা হয় এবং এর মাধ্যমে তথ্য যখন লিপিবদ্ধ করা হয় তখন সেই প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি লেনদেন সুচারু ভাবে সম্পন্ন করা যায়। তাই আমরা যদি এর বিবরণ দিতে চাই তাহলে বলতে পারি যে হিসাববিজ্ঞান হলো এমন একটি বিজ্ঞান যার মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের অথবা কোন অর্থ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সেখানকার তথ্য ব্যবস্থা বা সেখানকার লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় শনাক্তকরণ অথবা চিহ্নিতকরণ করা যায়, সেখানকার তথ্য গুলো লিপিবদ্ধ করা যায় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীদের নিকট সরবরাহকারণ কার্যাবলীর সম্পাদন করা হয়ে থাকে।
আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা হিসাববিজ্ঞানের প্রামাণ্য সংজ্ঞা জানতে পেরেছেন এবং আপনারা যারা হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে বলতে চাই যে হিসাববিজ্ঞান আছে বলেই যে কোন প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয় এর হিসাব সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করা যায়। আপনি যখন হিসাব বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চলবেন না তখন দেখা যাবে যে প্রতিষ্ঠানের কোন টাকা কোন দিক দিয়ে খরচ হয়ে যাচ্ছে অথবা কত টাকা লাভ হচ্ছে এসকল হিসাব যখন থাকবে না তখন কর্মীদের বেতন প্রদান করা থেকে শুরু করে আপনার ব্যক্তিগত মুনাফা কত টাকা থাকছে তা বুঝতে পারবেন না।
তাই যে কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসাব বিজ্ঞানের গুরুত্ব আপনাদেরকে জানতে হবে এবং এক্ষেত্রে হিসাব বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো কোন প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় লেনদেন লিপিবদ্ধ করে রাখা। তাছাড়া হিসাব বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে প্রত্যেকটি লেনদেন খুব সুন্দর ভাবে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে বলে সেখান থেকে যথাযথ মুনাফা বের করে এনে তা থেকে প্রয়োজনীয় খরচগুলো সম্পন্ন করা। আপনি যদি হিসাব বিজ্ঞানের মাধ্যমে বুঝতে পারেন কোন আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের অথবা কোন ব্যক্তির ক্ষতি হচ্ছে তাহলে সেই ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সেখানে অর্থের দিক থেকে লাভবান হওয়া যাবে সেগুলো আপনারা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে পারবেন।
Leave a Reply