বর্তমান যে আমরা আধুনিক বিশ্ব পেয়েছে সেটার পেছনে সমাজ কর্মের ভূমিকা অপরিসীম। অর্থাৎ সমাজকর্মের বিকাশের ফলে বর্তমান পৃথিবীতে এত সুন্দর ভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। তাই আপনার যদি সমাজকর্ম সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে সেটা সম্পর্কে এখানে যেমন জানতে পারবেন তেমনি ভাবে সমাজকর্মের উৎপত্তি কোন দেশে সর্বপ্রথমে হয়েছিল সেটাও আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
যারা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন অথবা সমাজকর্ম সম্পর্কে জানার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এ বিষয়গুলো আলোচনা করছি বলে অনেকে তা জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচের দিকে আমরা সমাজকর্ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এটার উৎপত্তি সংক্রান্ত দেশ বিষয়ে জানিয়ে দেব। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিয়ে নিজেদের জানার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবেন।
সমাজকর্ম হলো সমাজ কল্যাণমূলক পেশা এবং তত্ত্ব। অর্থাৎ এর মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি অথবা নির্দিষ্ট কোন পরিবারের থেকে শুরু করে সামাজিক দল সম্প্রদায় এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের যে সকল বসবাসরত মানুষ রয়েছে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য যে সকল কল্যাণকর পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাকে বোঝানো হয়ে থাকে। তাই সমাজ কল্যাণের বা সমাজকর্মের উৎপত্তি হয়েছে বলে আমরা প্রকৃতভাবে আমাদের ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত কল্যাণ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারি অথবা সমাজ আমাদের জন্য সে ব্যবস্থাপনা গুলো করে রেখেছেন।
তাই আপনারা যখন সমাজকর্ম এর আরো বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে চাইবেন তখন বলব যে, এখানে সমাজকর্মের ভাষায় শুধু মনোবিজ্ঞান অথবা সমাজকর্মের মাধ্যমে সমাজের পরিচিতি কে মোকাবিলা করা হয় না বরং বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে সেই তথ্য অনুযায়ী সমাজের উন্নতি কিভাবে ঘটানো যায় সেটাও আলোচনা করা হয়। তাই সমাজকর্মের মধ্য দিয়ে বর্তমান সময়ে সামাজিক দায়িত্ব শক্তিশালী করন করা যেমন হচ্ছে তেমনি ভাবে সামাজিক ক্রিয়া-কলাপগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। সেই সাথে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার যাচাই-করণ এবং সেগুলোর পরীক্ষা সম্পাদন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ হস্তক্ষেপের বিকাশ সাধন করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মানুষের জনসাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্পোরেশনের সামাজিক দায়িত্ব এবং মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে বলে প্রত্যেকটি মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার অর্জনে সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারছেন।
তবে আপনারা যেহেতু এখানে ভিজিট করার মধ্য দিয়ে সমাজ কর্মের উৎপত্তি কোন দেশে হয়েছে তা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে অনেকে এটাকে ইংল্যান্ড বলে জেনে থাকবেন। কিন্তু সর্বপ্রথম সমাজকর্মের সূত্রপাত ইংল্যান্ডের হয়ে থাকলেও পরবর্তীতে এটা পেশাগত দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সফলতা লাভ করে এবং সেখানেই আমরা এটার সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে পারি। অর্থাৎ সমাজকর্ম ইংল্যান্ডে ব্যাপকতা লাভ করতে না পারার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাগত মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেখানে গিয়ে একটা বিকাশ ঘটের কারণে আমরা সব সময় সমাজকর্মের উৎপত্তির দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট কে চিনে থাকব। কারন সেখানে যে সকল সমাজকর্মী ছিল তারা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে পারেন।
সমাজকর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে অথবা এরকম একটা আলাদা শাখা তৈরি হয়েছিল বলে সম্পদের উন্নয়ন এবং সহযোগীকরণের মাধ্যমে সামাজিক পরিবেশের উন্নতি সাধন এবং মানুষের কল্যাণ সাধন করা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু আমাদের সমাজে অনেক মানুষ বাস করে এবং তাদের যথাযথ প্রত্যেকটি বিষয় প্রদান করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু সমাজ কর্মের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো দেখাশোনা করা হয়। তাছাড়া আমাদের দেশে সমাজের উন্নতির জন্য এবং সাধারণ মানুষের সকল ধরনের উন্নতির ক্ষেত্রে সমাজকর্ম নামে আলাদা একটা বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করার সুযোগ রয়েছে। তাই আপনারা যদি সমাজকর্মে পড়াশোনা করে থাকেন তাহলে শিশু ও নারী সুরক্ষা সেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র অথবা সামাজিক পরিকল্পনা সেবা এবং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
Leave a Reply