মাতার নাম সংশোধনের জন্য আবেদন পত্র

মাতার নাম সংশোধনের জন্য আবেদন পত্র

আপনি যদি সার্টিফিকেটে মাতার নাম সংশোধন করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে মাতার নাম সংশোধন করবেন তা জেনে নিতে পারেন। মাতার নাম সংশোধন করার ক্ষেত্রে আপনারা পিএসসির সার্টিফিকেট, জেএসসি সার্টিফিকেট , এসএসসি সার্টিফিকেট এবং এইচএসসি সার্টিফিকেট সংশোধন করার ক্ষেত্রে কি কি করনীয় লাগবে তা আপনাদের আলাদা আলাদা ভাবে বুঝিয়ে দেবো আমরা। সার্টিফিকেটে মাতার নাম সংশোধন করা জরুরি হয়ে থাকে।

কারণ আপনি যখন কোন কর্ম ক্ষেত্রে আপনার ডকুমেন্টস জমা দিবেন তখন আপনার সার্টিফিকেট এর সঙ্গে মাতার নামের যদিও অমিল থাকে তাহলে বিষয়টি ঝামেলার হবে। তাই এ ধরনের ঝামেলা এড়াতে আপনারা আগে থেকেই মাতার নাম সংশোধন করুন এবং সংশোধন করার ক্ষেত্রে কিভাবে আবেদন করবেন সেই আবেদন পত্র আপনাদের বুঝিয়ে দেবো। তাই মাতার নাম সংশোধন করার ক্ষেত্রে আপনারা এই আবেদন পত্র দেখে নিতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে।

সার্টিফিকেট একজন শিক্ষার্থীর জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে আপনি যখন কোন কর্ম ক্ষেত্রে ঢুকতে যাবেন তখন আপনাকে আপনার সার্টিফিকেটসহ পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করা লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের নামের সঙ্গে যদি আপনার সার্টিফিকেটে নামের থেকে যায় তাহলে সেটি আপনার জন্য খুবই ঝামেলার হবে। তাই সময় থাকতে আপনারা যদি মাতার নাম সংশোধন করে নিতে পারেন তাহলে আপনাদের পরবর্তীতে কোন ধরনের ভোগান্তি সহ্য করতে হবে না। তাই যে সকল কাজে ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সেগুলো সংশোধন করে নেওয়াই আমাদের উচিত বলে মনে করি।

প্রথমে আমরা পি এস সি সার্টিফিকেট এর মাতার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে কথা বলব। পি এস সি সার্টিফিকেটের যদি মাতার নাম ভুল থেকে থাকে তাহলে এটির সার্টিফিকেটের নাম পরিবর্তন করা খুবই সহজ প্রক্রিয়া। তার জন্য আপনারা স্বহস্তে একটি আবেদনপত্র লিখতে পারেন অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে টাইপ করে একটি আবেদনপত্র প্রিন্ট করে নিতে পারেন। সেই আবেদনপত্রে যেভাবে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন পত্র লিখতে হয় ঠিক সেভাবেই আবেদনপত্র লিখতে হবে।

ভুলক্রমে পিএসসি পরীক্ষায় মাতার সঠিক নামের পরিবর্তে অন্য নাম প্রদান করা হয়েছে এবং সেই নামের সংশোধন আপনারা করতে চান বলে প্রধান শিক্ষকের নিকট বরাবর একটি আবেদন পত্র লিখুন। এগুলো লেখার পর আপনারা নিচে একটি ছক আঁকবেন। সেই ছকে আপনারা চারটি ঘর দিবেন।

এই চারটি ঘরে আলাদাভাবে শিক্ষার্থীর নাম, শিক্ষার্থীর জন্মতারিখ, পিতার নাম এবং মাতার নাম বসাবেন। যেহেতু মাতার নাম ভুল হয়েছে সেহেতু আপনারা মাতাল নামের ঘরে বর্তমানে সার্টিফিকেটে যে নামটি রয়েছে সেটি তুলে দিন। তারপরে যে নামটা সঠিক হবে সেটা সঠিক তথ্যের ঘরে লিখে দেন। তারপরে চলে যান প্রধান শিক্ষকের কাছে এবং সেখানে আপনার মায়ের নামের সংশোধন করার জন্য আপনাকে মাথার ভোটার আইডি কার্ডের অরিজিনাল কপি এবং ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে।

তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা সেই আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে দেবে এবং উপজেলা নির্বাহি অফিসার যাওয়ার জন্য আপনাদের পরামর্শ প্রদান করবেন। সেখানে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর দেখে থানা শিক্ষা অফিসার আপনাদের সার্টিফিকেট সংশোধন করে দিতে পারেন।

আপনি যদি এসএসসি অথবা এইচএসসি সার্টিফিকেট এর মাতার নাম সংশোধন করতে চান তাহলে সর্ব প্রথমে আপনাকে আপনার পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সংশোধন করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংশোধন করতে যাচ্ছেন তার আগে যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে সেই পরীক্ষাগুলোর সার্টিফিকেট আপনাকে উপযুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে সংশোধন করে নিতে হবে। যেহেতু আপনি এসএসসি অথবা এইচএসসি সার্টিফিকেট এর মাতার নাম সংশোধন করেছেন সেহেতু আপনার সময় লাগবে এবং আপনাকে টাকা পয়সা খরচ করতে হবে।

মাতার নাম সংশোধন অথবা যেকোনো ধরনের সংশোধনের ক্ষেত্রে আপনাদের প্রথমে একটি এফিডেভিট করে নিতে হবে। নিকটস্থ উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনারা এফিডেভিট করে নিবেন এবং মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং অরিজিনাল কপি সহ আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া এফিডেভিট করা ছাড়াও পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিতে হবে এবং এই বিজ্ঞাপনের পরামর্শ আপনারা পত্রিকা অফিসে যেয়ে পেয়ে যাবেন। সেই পেপার কাটিং এবং এফিডেভিট নিয়ে আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যাবেন যেখান থেকে শিক্ষার্থী পাস করেছে।

তারপরে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি কলেজের বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নাম্বার দিয়ে জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগইন করবেন অফিস কম্পিউটার অপারেটর দ্বারা। তিনি সেখানে আপনাদের এই সমস্যার জন্য যে যে তথ্য লাগে সে সকল তথ্য দিয়ে আবেদন করবেন এবং আবেদন করা হয়ে গেলে আপনাকে একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এই আইডি ধরে আপনারা এসএসসি এইচএসসি সার্টিফিকেট ক্ষেত্রে 558 টাকা প্রদান করতে হবে সোনালী ব্যাংকে। সেখানে টাকা প্রদান করা হয়ে গেলে আপনার একটি পেমেন্ট স্লিপ টা দেন এবং সেটা নিয়ে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে আপনাদেরকে।

পরে কোন একদিন আপনার ফোনে এসএমএস আসলে আপনারা এসএমএসের মাধ্যমে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পাবেন এবং সেটা ব্যবহার করে জাতীয় শিক্ষা বোর্ড এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কতটুকু তথ্য হালনাগাদ হয়েছে বা কতটুকু সংশোধন হয়েছে তা দেখে নিতে পারবেন। এতক্ষণ যা করলেন তা মূলত অনলাইন কপির জন্য আপনারা কাজ করেছেন।

তবে অনলাইন কপি অর্থাৎ অনলাইন সার্টিফিকেটের কপি যদি আপনারা হার্ডকপি হিসেবে পেতে চান তাহলে আপনাদেরকে আরও কিছু কাজ করতে হবে। আপনারা সেই সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে নিয়ে এবং সাথে শিক্ষাজীবনের অন্যান্য কাগজপত্র দিয়ে জন্ম নিবন্ধন কার্ড মাতার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে উপস্থিত হবেন জেলার শিক্ষা বোর্ডের কার্যালয়ে।

সেখানে আপনাদের যতগুলো পেমেন্ট প্রদান করা হয়েছে তবে গুলো পেমেন্ট এর স্লিপ নিয়ে এবং কাগজপত্র হাতে নিয়ে জমা দিলেই তারা কয়েক দিনের ভেতরে আপনার সার্টিফিকেট এর হার্ডকপি প্রদান করবে আপনাকে। এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ে যদি আপনি সার্টিফিকেট এর মাতার নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে অনেক দিন সময় অপেক্ষা করতে হবে।অনেকদিন সময় অপেক্ষা করা হলেও আপনি কম খরচে এবং কোন দালাল মারফত ছাড়া এই কাজটি নিজে নিজেই সমাধান করতে পারছেন। তাই নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করি এবং আমাদের সার্টিফিকেট যদি মাতার নাম ভুল থেকে থাকে তাহলে উপরিউক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে সার্টিফিকেট নাম পরিবর্তন করে নিন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*