ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কি কি

Rate this post

আজকে আমরা চলে এলাম আপনাদের জন্য খুব সুন্দর একটি খাবার তালিকা নিয়ে যে খাবার তালিকায় আপনারা পেয়ে যাবেন “ভিটামিন ডি”। তবে “ভিটামিন ডি” কোন খাবারে আছে সেটা জানার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে এ “ভিটামিন ডি” না থাকলে আপনারা কতটা বিপদে পড়তে পারেন এবং “ভিটামিন ডি” আপনার শরীরের জন্য কতটা উপকারী।

“ভিটামিন ডি” আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের হাড়ের বৃদ্ধি ও হাড়ের ক্ষয় রোধে “ভিটামিন ডি” সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে। যদিও “ভিটামিন ডি” এর বেশ কয়েকটি ধরন রয়েছে তবে প্রত্যেকটি ধরন আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গর্ভ থেকে একেবারে বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত আপনার হাড়ের দেখভাল করবে এই “ভিটামিন ডি” এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই ভিটামিনটি সব সময় কাজে আসবে।

এইতো কয়েক মাস আগের কথা আমরা সকলেই মহামারীর এই সময়তে সকলে “ভিটামিন ডি” নিয়ে অনেক গবেষণা করেছি এবং জানতে চেয়েছি “ভিটামিন ডি” সম্পর্কে। তবে আমরা হয়তো এ সম্পর্কে অজানা ছিলাম যে এটা সারা জীবনই আমাদের জন্য ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যতটা এখন রয়েছে। তবে “ভিটামিন ডি” সব থেকে বেশি পাওয়া যায় সূর্যের আলো নিচে এবং আপনি সূর্যের আলোর নিচে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট যদি বসে থাকতে পারেন তাহলেই প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী “ভিটামিন ডি” আপনার শরীরে মজুদ হয়ে যাবে।

তাছাড়াও যারা নিয়মিত সূর্যের আলোর নিচে যেতে পারে না তাদের জন্য “ভিটামিন ডি” এর অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রতিদিনের খাবার। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমরা যদি একটু বুদ্ধি করে “ভিটামিন ডি”যুক্ত খাবারগুলো বেশি বেশি রাখি তাহলে আমাদের আলাদাভাবে “ভিটামিন ডি” এর ঔষধ খাওয়া প্রয়োজন হবে না। এতে করে আমাদের শরীর সবসময় ভালো থাকবে এবং সতেজ থাকবে এবং যেকোনো ধরনের রোগ থেকে সুস্থ হওয়ার ক্ষমতা আমাদের মাঝে বেশি থাকবে।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা

ভিটামিন ই যুক্ত খাবার তালিকায় আমি সবার প্রথমে বলতে চাচ্ছি মাশরুম এর নাম। আমাদের প্রিয় নবীর খাবার এর তালিকায় মাশরুম থাকতো এবং তিনি এই মাশরুম খেতে পছন্দ করতেন। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে প্রতি 100 গ্রাম মাশরুমের মধ্যে প্রায় 2300 iu “ভিটামিন ডি” পাওয়া যায়। সুতরাং হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আপনি মাশরুম নিয়মিত খেতে পারেন।

“ভিটামিন ডি” আরও একটি ভালো উৎস থেকে আপনি পেতে পারেন সেটা হচ্ছে দুগ্ধজাত পণ্য। যেকোনো ধরনের দুগ্ধ যাক 15 থেকে আপনি “ভিটামিন ডি” প্রচুর পরিমাণে পাবেন। তবে যাদের দুধের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে অ্যালার্জি আছে তারা সয়া মিল্ক পান করতে পারেন যার মাধ্যমে “ভিটামিন ডি” এর ঘাটতি পূরণ করবে।

আমাদের কাছে সব থেকে সহজলভ্য খাবার হচ্ছে ডিম। এই দিন আমাদের আমিষের চাহিদার বেশির ভাগই পূরণ করে এবং সেই ডিমে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” রয়েছে বিশেষ করে ডিমের কুসুমে। তাই যারা ডিম খাবার সময় ডিমের কুসুম খেতে চান না তাদেরকে বলব এই অভ্যাস পরিবর্তন করুন এতে আপনার শরীর সুস্থ হবে এবং ডিমের কুসুম বেশি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

যদি ১০০ জন মানুষের পছন্দের তালিকায় কোন মাছকে রাখতে বলা হয় তাহলে আমার মতে ৯০ জনই সেখানে চিংড়ি মাছ রাখবেন। তার কারণ হলো চিংড়ি মাছে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায় এর সঙ্গে এই চিংড়ি মাছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” আছে এবং এটা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু।

এছাড়া মোটর জাতীয় বা সুটি জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে সেই গাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” আছে। যেমন ধরুন ডাল অথবা সিম এই দানাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” পাওয়া যায়। আশা করছি “ভিটামিন ডি” সম্পর্কিত খাবার সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button