
যখন কোন এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তখন নির্বাচনের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকেন। সরকারিভাবে যেমন পুলিশ এবং পোলিং এজেন্ট সেখানে নিয়োগ পেয়ে থাকেন তেমনিভাবে অনেক মানুষ আছেন যারা এলাকার হয়ে এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকেন। এই ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকলে অথবা ভোটকেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করতে থাকলে সাময়িকভাবে সেই দিনের কাজ করার জন্য আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে অথবা কি কি দায়িত্ব আপনাকে পালন করতে হবে তাই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
ভোটকেন্দ্রে এজেন্টের যেসকল কাজ রয়েছে তা খুবই সহজ কাজ এবং এই ক্ষেত্রে আপনাকে সকাল আটটা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত হয়তো সর্বোচ্চ বসে থাকা লাগতে পারে। আর তার বিনিময়ে আপনি যার হয়ে এজেন্ট এর কাজ করবেন তার থেকে টাকা গ্রহণ করবেন অথবা এক্ষেত্রে আপনি সেই টাকা নাও গ্রহণ করতে পারেন।কোন এলাকায় যখন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তখন সেখানে যদি এজেন্ট নিয়োগ পেয়ে থাকেন অথবা এজেন্টের কাজ করে থাকেন তাহলে সরকারিভাবে সেই টাকা আপনারা পেয়ে থাকবেন।
অর্থাৎ আপনি যে দলের হয়ে এজেন্টের কাজ করবেন সেই দল থেকে আপনাকে টাকা প্রদান করা হয়ে থাকবে এবং যে নেতার মাধ্যমে আপনারা এই দায়িত্বে আসবেন সেই নেতা আপনাদেরকে দিনশেষে অথবা কাজের শুরুতেই টাকা দিয়ে দিবেন। কিন্তু যখন স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচন হয়ে থাকে তখন আপনারা হয়তো সেখানে অনেকেই প্রার্থীর মুখের দিকে অথবা প্রার্থী পরিচিত হওয়ার কারণে তাদের থেকে টাকা নেওয়া গ্রহণ করতে পারেন।তবে একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করার কাজে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে থাকে এবং আপনাকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে যখন সাহায্য করবে তখন সেই এজেন্ট সেই দায়িত্ব গুলো পালন করে থাকবে।
অর্থাৎ বর্তমান সময়ে যে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে তাতে করে আপনি হয়তো কিভাবে ভোট দিতে হবে তা বুঝতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনার যত নম্বর রুমের দায়িত্ব পড়েছে ঠিক তত নম্বর রুমে যে সকল ব্যক্তিরা ভোট দিতে আসবে তাদেরকে ইভিএম মেশিনের সামনে নিয়ে যাবেন এবং কোথায় কিভাবে কোন বাটন চাপার মাধ্যমে কোন মার্কাতে ভোট দিবেন তা আপনাদেরকে নির্বাচন করতে হবে।
অর্থাৎ সেটা যদি স্থানীয় সরকার বিভাগের ভোট হয়ে থাকে তাহলে সর্বপ্রথমে আপনাদেরকে চেয়ারম্যানের ভোট প্রদান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনি যত নম্বর ওয়ার্ডের সেই ওয়ার্ড নাম্বার আগে নির্বাচন করতে হবে। চেয়ারম্যানের মার্কাতে ভোট দেওয়ার পরে আপনারা কাউন্সিলরের পদে ভোট দিবেন এবং সেটা দেওয়া হয়ে গেলে মহিলা কাউন্সিলর পদের ভোট দিবেন।এক্ষেত্রে আপনাদের সামনে প্রত্যেকবার মার্কা চলে আসবে এবং আপনাকে আগে থেকেই মার্কাগুলো জেনে নিতে হবে যাতে করে আপনি সঠিক মার্কাতে সিল মারতে পারেন।
তবে এখানে সিল মারার অপশন না থাকার কারণে আপনাদেরকে সাইডে যে বাটন আছে সেটা টিপতে হবে এবং ওকে বাটন ক্লিক করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ভোট গুলো সাবমিট হয়ে যাবে।তবে যাই হোক একজন এজেন্ট হিসেবে আপনি যদি এই ধরনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন তাহলে গ্রামের অনেক মানুষজন হয়তো এই তথ্যগুলো বুঝতে পারবে না অথবা কি পদ্ধতিতে ভোট দিতে হবে তা জানতে পারবে না।
আপনার সুবিধার্থে আপনি যখন এই দায়িত্ব গুলো পালন করবেন তখন যারা ভোট দিতে আসবে তারা যদি কোন তথ্য বুঝতে না পারে তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে এগুলো শিখিয়ে দেবে এবং এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা ভোট দিয়ে ভোট সম্পন্ন করতে পারবেন। কেন্দ্রে যে সকল এজেন্ট থাকে তারা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত থাকে এবং ভোট দেওয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে তাদের দায়িত্ব গুলো সম্পন্ন করে তারা সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসে।
Leave a Reply