“ভিটামিন-এ” আমাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এবং ছোটবেলা থেকেই এই “ভিটামিন-এ” আমাদের শরীরে বেড়ে উঠাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাইতো “ভিটামিন-এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য বড় ক্যাম্পেন হয় প্রতি বছর দুইবার করে এবং নিশ্চিত করা হয় যে কোন শিশুই এই ভিটামিন টি থেকে বঞ্চিত না হয়। চলুন আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব “ভিটামিন-এ” ট্যাবলেট এর নাম এবং এই ট্যাবলেট গুলো কিভাবে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন।
তবে অবশ্য “ভিটামিন-এ” ট্যাবলেট এমন একটি উপাদান যে উপাদান আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই খেতে পারেন না। অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং জানতে হবে “ভিটামিন-এ” ট্যাবলেট কিভাবে খাবেন এবং “ভিটামিন-এ” ট্যাবলেট কেন খাবেন। আমরা বরাবরই চেষ্টা করি আপনাদের ভালো কিছু তথ্য দিতে যে তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসে তাই অবশ্যই এখানে আমরা যে তথ্যগুলো জানি সেগুলো পরিষ্কারভাবে আপনাদের জানতে চাচ্ছি।
কোন ভিটামিন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়
সাধারণত আমাদের শরীরে ভিটামিন অত্যন্ত জরুরি কিছু উপাদান এবং দেহের পর্যাপ্ত বৃদ্ধি ও সুস্থ থাকার শক্তি হিসেবে এই ভিটামিন সব সময় কাজে আসে। এ ভিটামিনের সবথেকে বড় উৎস হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন খাবার এবং সেই খাবার থেকে যখন আমরা ভিটামিন পুরোপুরি গ্রহণ করতে না পারি তখন অবশ্যই ভিটামিন খেতে হয়। তবে “ভিটামিন-এ” একটি সাংঘাতিক জিনিস সেটা যদি শরীরে বেশি হয়ে যায় তাহলে যেকোনো সময় আপনি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন গুলো খাওয়া উচিত।
আজকে আমরা যে ভিটামিনের কথা বলছি সেটা হচ্ছে “ভিটামিন-এ” এবং শক্তিশালী ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণা যেটা আমেরিকায় পরিচালিত হয়েছে এবং ক্যান্সার ইনস্টিটিউশনের এ গবেষণায় বলা হয়েছে যে যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়া ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে “ভিটামিন-এ” ট্যাবলেট লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে তাই ট্যাবলেট হাতে তুলে নিয়ে পর্যাপ্ত “ভিটামিন-এ” পেতে আপনাকে খাবার উপাদানগুলোর উপর বেশি নির্ভরশীল হতে হবে।
এ থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারলাম যে “ভিটামিন-এ” ট্যাবলেট এর যে ঔষধ গুলো বাজারে পাওয়া যায় অবশ্যই সে ঔষধ গুলো আপনি চাইলেই খেতে পারবেন না তার কারণ হলো এই ওষুধগুলো যদি বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। এছাড়া “ভিটামিন-এ” একটি শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করে এবং ছোটবেলা থেকে শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে সব থেকে ভালো বুদ্ধি হচ্ছে আমরা “ভিটামিন-এ” ক্যাপসুল এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে “ভিটামিন-এ” যুক্ত যে খাবারগুলো রয়েছে সেই খাবার গুলোর উপর নির্ভরশীল হব। এতে করে অতিমাত্রায় “ভিটামিন-এ” আমাদের শরীরে বিপদ থেকে মুক্ত থাকবো।
“ভিটামিন-এ” যুক্ত কিছু খাবার
সাধারণত আমরা চাচ্ছি আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে “ভিটামিন-এ” থাকুক কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময় লক্ষ্য করছি যে অবশ্যই আমাদের শরীরে “ভিটামিন-এ” ঘাটতি রয়েছে। আপনাকে করতে হবে সেটি হচ্ছে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তারকে জানাতে হবে আপনার দুর্বলতার কথা এবং আপনার সমস্যার কথা। ডাক্তার যখন আপনার সমস্যার কথা শুনবে তখন অবশ্যই কোন না কোন সাজেশন আপনাকে দিবে।
এর বাইরে আপনি আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন এবং শরীরে “ভিটামিন-এ” অতিমাত্রায় বৃদ্ধি করার জন্য আপনি প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ খেতে পারেন। ছোট মাছের প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন-এ” পাওয়া যায় যেটা আমাদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন নিষ্ঠুর আলু ও গাজর এছাড়াও গরমের দেশের যে ফলগুলো হয় সেগুলো “ভিটামিন-এ” এর অনেক বড় উৎস।
Leave a Reply