সাধারণত গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে বিড়াল অন্যতম। এটা একসময় বন্যপ্রাণী ছিল কিন্তু আদিম মানুষেরা খুব সহজে এই প্রাণীটিকে পোষ মানাতে পেরেছিল যার কারণে মানুষ সভ্যতার ইতিহাসে মানুষের আশেপাশেই এই বিড়ালকে দেখতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন যুগে বিড়ালের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বিভিন্নভাবে লক্ষ্য করা গেছে। অনেক সভ্যতাতে এ বিড়াল জাতীয় প্রাণী গুলোকে অনেকেই দেবতা মানতেন আবার অনেকেই নিজের সঙ্গী করে রাখতেন।
তবে এই বিড়াল জাতীয় প্রাণী গুলোর মধ্যে সবথেকে ছোট যেটা আমাদের বাড়ির আশেপাশে থাকে সেই বিড়াল গুলো নিয়ে আজকে কথা বলব। সাধারণত প্রত্যেকটি জিনিসেরই প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন বিড়াল পোষার প্রতিক্রিয়া। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব কম পরিবারেই বেড়াল পোষা হয় তবে এই বিড়ালের পোশাক ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অবশ্যই উচিত। তার মধ্যে প্রধান এবং প্রথম সর্তকতা হচ্ছে বিড়ালের লোম সম্পর্কে। প্রচুর পরিমাণে লোম ওঠে এই বিড়ালের এই লোম মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তাই আজকে জানার চেষ্টা করবো মানব শরীরে যদি এই বিড়ালের পশম প্রবেশ করে তাহলে সেটা কতটা ক্ষতিকারক সে সম্পর্কে।
নতুন বিড়াল পোষলে যেসব বিষয় জানা জরুরী
আপনার অনেক শখ করেছে একটি বেড়াল পোষবেন এবং নিজের অবসর সময় সঙ্গী হিসেবে বিড়ালকে রাখার চেষ্টা করবেন। তবে বেড়াল পোষার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আপনাকে এবং এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে জানতে হবে যে এটা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জানার চেষ্টা করি নতুন বেড়াল পোশাক ক্ষেত্রে কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনি যদি কোন বিড়ালের রাস্তা থেকে নিয়ে আসেন বাসার জন্য তাহলে সবার প্রথমে তাকে সম্পূর্ণ শরীর গোসল করিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। এবং আপনি যদি সিদ্ধান্ত নেন এই বেড়াল শাবককে আপনি আপনার নিজের সঙ্গে রাখতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার নিকটস্থ একজন পশু চিকিৎসকের কাছে তাকে নিয়ে যাবেন। সবার প্রথমে সেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেই বিড়াল কৃমির ঔষধ দিতে হবে। এরপর চেষ্টা করতে হবে বাজারে থাকা প্যাকেটিং খাবার গুলো খাওয়াতে এতে করে সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবে।
কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পর দুইটি টিকা দিতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আপনি এই দুইটি টিকা পাবেন এবং পরবর্তী তিন মাস পর আবার এই দুটি টিকে আপনাকে দিয়ে নিতে হবে। আপনি যদি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হন তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সেই বেড়ালটিকে পোষ মানাতে এমনভাবে যে সে যখন মলমূত্র ত্যাগ করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মলমত্র ত্যাগ করে। যখন বিড়ালের খাবার হজম হয় না তখন সেই খাবার হজম করার জন্য সে ঘাস খেতে পারে। এবং হজম করার সময় গড়াগড়ি খেতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন বিড়ালের আশেপাশে ঘাস থাকে এমন পরিবেশ তৈরি করে দিতে।
আপনারা তো অনেকেই জানেন না বিড়াল ডিপথেরিয়া রোগের বাহক তাই সবসময় এই রোগের জন্য তাকে টিকা দিয়ে আপনাকে পোষ মানাতে হবে। এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে বিড়ালের সঙ্গে না শোয়ায় শ্রেয়। সব সময় বিড়ালকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন এবং চেষ্টা করুন যাতে এই বেড়ালের গায়ের লোম যতটা সম্ভব কম পড়ে।
বিড়ালের গায়ের লোম মানুষের জন্য কতটা ক্ষতিকারক
ডাক্সপ্লাজমা গণ্ডি নামের এই পরজীবী টি প্রায় সব বিড়ালের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এছাড়াও বেড়ালের লোম যদি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে বিড়ালের লোম থেকে হাঁপানি আর কর্জনকডিভাইতেস হয়। এটা অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি রোগ যেটা থেকে রোগী অনেক বেশি কষ্ট পায়। এছাড়াও বেড়ালের বমি অথবা মল এবং মুত্র থেকে টাইফয়েড হওয়ার প্রবণতা থাকে মানুষের।
তবে অবশ্যই আপনি যদি বিড়াল পুষতে চান তাহলে সঠিক নিয়মে বিড়াল পোষুণ। এখানে প্রচুর খরচ করতে হবে একটি বিড়ালের পেছনে তাই সকলের পক্ষে ব্যয়বহুল ভাবে বেড়াল পোষা হয়ে ওঠে না তাই সব দিকে খেয়াল রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
Leave a Reply