পিরিয়ড বা মাসিক নারীদের কাছে একটি পরিচিত বিষয়। প্রত্যেক নারী এটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। প্রত্যেক নারীর সাধারণত প্রতিমাসে একবার পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া ভালো। তবে এক্ষেত্রে যদি ব্যতিক্রম ঘটে তাহলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে অনেক অবিবাহিত মেয়েরা রয়েছেন যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের মাতৃত্বের স্বাস্থ্যঝুঁকেও রয়েছে। এ নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে করলেও গর্ভধারণ করতে পারেন না বিয়ের পর। এমনকি তাদের বন্ধ্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড নারীদের কাছে পরিচিত বিষয়। তবে হ্যাঁ অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় কিছু কিছু মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণে মাসিক হওয়ার পর কিছুতে বন্ধ হতে চায়না। কি খেলে মাসিক বন্ধ হবে সে সম্পর্কে আমরা আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে এসেছি। আপনারা যারা এ বিষয়টি জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
অনিয়মিত মাসিক কি
প্রতি মাসে মাসে হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলা হয়। মাসিক চলাকালীন পেট ব্যথা পিঠ ব্যথা ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে অনেকেরই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসে হয়ে থাকে যার কারণে একটি মেয়ের শারীরিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কিছু কারণ_
শরীরে উচ্চতার সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক সময় মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। শরীরের পানির ঘাটতি থাকলে ইউরেটরে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। যার ফলে মাসিক হতে বিলম্ব করে তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন এবং পিল গ্রহণ করে থাকেন তাহলে মাসিক বন্ধ হওয়ার পরও পিল কন্টিনিউ করতে হবে। মাসিক না হলে বাদামি বর্ণের পিলখান মাসিক হয়ে যাবে। আর এরপরেও যদি না হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
নিয়মিত সুষম ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত মাসিক হওয়ার জন্য। তাজা মাছ মাংস সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল নিয়মিত খান। শরীরের রক্তশূন্যতা বা ক্যালসিয়ামের অভাব হলেও মাসিক হতে দেরি হয়।
কি খেলে মাসিক বন্ধ হবে
সাধারণত প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর একজন নারীর পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। ১২ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারী নিয়মিত ও সময় মত মাসিক হওয়াটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। বেশিরভাগ নারীর মাসিকের চক্র একই থাকে। তবে এক সপ্তাহ দেরি হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই ধরা যায়। যেমন একজন নারীর মাসিক হয় ২৫ দিন পর পর। কোন এক মাসে ৩০ দিন বা 31 দিন পর তার মাসিক হতেই পারে। আটদিন বা তার বেশি দিন দেরি হলে তাকে লেট বলে গণ্য করতে পারেন।
একজন মেয়ের মাসিক হওয়ার দিন থেকে শুরু করে এক সপ্তা এর মধ্যে থাকলে সেটি স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে সাত দিন হওয়ার বদলে 15 দিনও হয়ে থাকে। এটি স্বাভাবিক নয় এটি অস্বাভাবিক। এরকম হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। দীর্ঘদিন একইভাবে মাসিক থাকলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি রক্তস্বল্পতাও হতে পারে।
তাই এরকম হওয়ার সাথে সাথেই আপনাকে একটি গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যাটির সমাধান করা সম্ভব হয়। তাই আমরা যখনই দেখব মাসিক হওয়ার সাতদিন পরও মাসিক কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না এভাবেই চলতে থাকছে তাহলে আমরা আর দেরি না করে অবশ্যই একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ সঙ্গে দেখা করব এবং নিয়মিতভাবে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করব। তাহলে পরবর্তীতে এরকম সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
Leave a Reply