মেয়েদের গোপনাঙ্গের চুল কাটার হাদিস

মেয়েদের গোপনাঙ্গের চুল কাটার হাদিস

অনেকে আছেন যারা বিশেষ অঙ্গের চুল বড় হয়ে গেলে সেটা কেটে ফেলেন এবং এই কেটে ফেলার ক্ষেত্রে নিজেদের ইচ্ছামত করে অথবা নির্দিষ্ট সময় পরে আপনারা কাটেন। কিন্তু ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হওয়ার কারণে এখানে প্রত্যেকটি বিষয় খুব সুন্দরভাবে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে করে আপনারা দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি কাজ খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। এই যে সকল মেয়ে গোপনাঙ্গের চুল কাটার হাদিস জানতে চাচ্ছেন অথবা চুল কাটার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করা হবে। ফলে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই এ বিষয়ে জানতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরেই আপনার শরীরের অবাঞ্ছিত চুল কেটে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক নিজের শরীরকে যেমন পাক পবিত্র রাখতে পারবেন তেমনি ভাবে মনকেও পরিষ্কার রাখতে পারবেন।

আপনারা হয়তো নিজেদের সুযোগ সুবিধা মত অথবা অনেকদিন পরে এগুলো কেটে থাকেন। কিন্তু এ বিষয়ে যখন আপনাদের হাদিস জানা থাকবে তখন খুব সহজেই আপনারা এ বিষয়গুলো মেনে চলতে পারবেন এবং সঠিক নিয়ম বা পদ্ধতি অবলম্বন করে জীবনকে পরিচালনা করতে পারবেন। এখন আপনার যদি সুযোগ বা সুবিধা না হয়ে ওঠে এবং আপনি যদি দুই মাস তিন মাস অতিবাহিত করেন তাহলে বিষয়টা খারাপ দেখাবে এবং আপনার ইবাদতের ক্ষেত্রেও এটা খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা মেয়েদের গোপনাঙ্গের চুল কাটার হাদিস বা নিয়ম সম্পর্কে যখন আপনি জানতে পারবেন তখন এটা আপনার জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে।

আপনি যদি ইসলামিক নিয়ম অনুসরণ করে এটা করতে চান তাহলে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে নাভির নিচের অবাঞ্ছিত চুল পরিষ্কার করাটা মুস্তাহাব হিসেবে ধরা হবে। সপ্তাহে যদি একবার করে না পারেন তাহলে 40 দিনের ভেতরে অন্ততপক্ষে একবার করে আপনাদেরকে এটা পরিষ্কার করতে হবে অথবা কাটতে হবে। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও এটা না কাটেন অথবা পরিষ্কার না করেন তাহলে মাকরুহে তাহরীমী হিসাবে এটা গণ্য হবে। এটা মারাত্মক গুনাহের কাজ হিসেবে যখন ধরা হবে তখন অবশ্যই আপনারা এই গুনাহ থেকে মুক্তি পাবেন না এবং সকল কাজে সকল সঠিক নিয়ম মেনে চলাটাই প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব।এ বিষয়ে আপনাদের জন্য নিচের দিকে হাদিস তুলে ধরা হলো।

শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি মেয়েদের গোপনাঙ্গের চুল কাটার নিয়ম বা হাদিস জানতে চান তাহলে বলবো যে, আনাস ইবনু মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের জন্য এটি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে অন্ততপক্ষে 40 দিনে একবার নখ কাটা অথবা গোপ ছোট করা অথবা লজ্জাস্থানের চুল কাটার নিয়ম গুলো মানতে হবে। আপনি যদি এখানে হাদিসের রেফারেন্স পেতে চান তাহলে বলব যে, জামে’আত তিরমিজি এবং হাদিস নং ২৭৫৮ । তাছাড়া রিয়াদুস সালেহীন, হাদিস নাম্বার ১২১১-তে এ বিষয়ে বর্ণনা এসেছে এবং প্রকৃতিগত আচরণ পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ হিসেবে করতে হবে। আর এর ভেতরে হল যে, লজ্জাস্থানের চুল কেটে পরিষ্কার করতে হবে।

তাই একজন মুসলিম ছেলে অথবা মেয়ে যদি প্রত্যেকটি বিষয়ে স্মার্ট হতে চাই এবং প্রত্যেকটি বিষয়ে ইসলামিক পরিপন্থা অনুযায়ী নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে চাই তাহলে বাইরে বাইরে যেমন তাকে প্রত্যেকটি দিক থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে তেমনি ভাবে আভ্যন্তরিক বিষয়গুলো এবং গোপন বিষয়গুলোতেও তাদেরকে সভ্য হতে হবে। তাই আপনারা অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গোপন স্থানের চুল কেটে রাখলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে এবং এর মাধ্যমে আপনি যেমন পবিত্রতা অর্জন করে চলতে পারবেন তেমনিভাবে পরিষ্কার থেকে জীবাণু মুক্ত থাকতে পারবেন। তাই ইসলামিক জীবন ব্যবস্থায় আপনারা এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে চলুন এবং ইসলামিক পরিপন্থা অনুযায়ী নিজের জীবনকে পরিচালনা করে জীবনকে উপভোগ করুন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*