ভিটামিন ই ক্রিম এর ব্যবহার ও উপকারিতা

মেয়েদের রূপচর্চায় বর্তমানে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে “ভিটামিন-ই”। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে “ভিটামিন-ই” ক্রিম এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে ভালো কোম্পানির পাশাপাশি ছোটখাটো কোম্পানিগুলো “ভিটামিন-ই” ক্রিমের মজুদ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এই ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে সকলের। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক অন্য চিন্তা হবে তা না হলে এই “ভিটামিন-ই” ক্রিম আপনার ক্ষতি করতে পারে।

ত্বকের জেল্লা বাড়াতে আর বয়স আটকাতে ভরসা রাখুন “ভিটামিন-ই” ক্রিমের উপর এটা আপনার শরীরে অন্যতম উপকারী একটি জিনিস। আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব “ভিটামিন-ই” ক্রিম এর ব্যবহার সম্পর্কে এবং আপনি কিভাবে এই “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এবং এই “ভিটামিন-ই” ক্রিমের উপকারিতা গুলো কি কি।

ভিটামিন-ই ক্রিমের ব্যবহার ও উপকারিতা

“ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহারে ত্বক ফর্সা হয়। যারা নিয়মিত “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই এর ফলাফল সম্পর্কে জানেন তবে এখানে আপনাকে সঠিক ভিটামিন ব্যবহার করতে হবে। যে “ভিটামিন-ই” ক্রিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে “ভিটামিন-ই” রয়েছে এবং যেটা আপনার শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ফেলে না সেই “ভিটামিন-ই” ক্রিম আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।

তবে অবশ্য এর জন্য একজন স্কিন স্পেশালিস্ট ডাক্তার অথবা বিউটি স্পেশালিস্ট ডাক্তারকে দেখানোর পরে আপনি নিয়মিত এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটা এমন নয় যে আপনি অনেক কালো থেকে অনেক ফর্সা হতে পারবেন মূলত আপনার শরীরের ত্বকের ওপর থাকা বিভিন্ন কালো দাগ ও ছোপ দূর করে এটা একটি ফ্রেশ ভাব নিয়ে আসবে যেটা আগে থেকে অনেক বেশি সুন্দর করবে আপনাকে।

সাধারণত গর্ব অবস্থায় মেয়েদের পেটে যে ফাটা দাগের সৃষ্টি হয় এবং চামড়ার উপরে যে কালো কালো দাগের সৃষ্টি হয় তা তুলতে এই “ভিটামিন-ই” ক্রিমের নিয়মিত ব্যবহার অত্যন্ত উপকারী। বহির্বিশ্বে “ভিটামিন-ই” ক্রিমের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যার মাধ্যমে মেয়েরা প্রচুর উপকার পাচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ছেলে অথবা মেয়ে শীতকালে “ভিটামিন-ই” ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন যেটাতে আপনার চামড়া সবসময় নরম ভাব বজায় রাখতে পারবে।

ভিটামিন-ই ক্রিম এর ব্যবহার

সাধারণত যে সকল মেয়েরা নিজের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে চান তারা নিয়মিত “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে চান এবং শুধুমাত্র যে শীতের জন্য “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এমন নয়। আপনি বাংলাদেশের যে কোন আবহাওয়াতে “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। দিনের বেলায় যেকোনো সময় “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে হয় তবে সারাদিনে আপনি দুইটা সময় বেশি গুরুত্ব দিন “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে।

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আপনি সমস্ত শরীরে “ভিটামিন-ই” ক্রিম মাখতে পারেন পরিমাণ মতো এবং ঘুমাতে যেতে পারেন। এতে করে আপনার ক্রিমে থাকা ভিটামিন গুলো আপনার ত্বকে ভালোভাবে মিশে যাবে এবং সারারাত ধরে সেখানে কার্যকরী হয়ে উঠবে যার ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য লক্ষ্য করতে পারবেন।

এছাড়াও মেয়েরা দিনের বেলায় যখন বাইরে রোদের সামনে যায় অর্থাৎ সকালের দিকে তখন “ভিটামিন-ই” ক্রিম মাখবে।এতে করে সূর্যের আলো থেকে আসা অতি ক্ষতিকারক বেগুনি রশ্মি থেকে “ভিটামিন-ই” ক্রিম আপনাকে রক্ষা করবে এর পাশাপাশি আপনার ত্বককে মশ্চারাইজ করে নরম করে তুলবে। তাই অবশ্যই “ভিটামিন-ই” ক্রিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান সকলের ত্বকের জন্য।

“ভিটামিন-ই” ক্রিম এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অবশ্যই প্রত্যেকটি জিনিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তবে সেটার জন্য আমাদের অজ্ঞতার অভাব রয়েছে। আমরা লোভনীয় জিনিস দেখলে সেটা নিতে চেষ্টা করে কিন্তু দেখি না যে সেটার পেছনে আসল জিনিসটা না নকল জিনিসটা আপনাকে দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি সঠিক কোম্পানির সঠিক “ভিটামিন-ই” ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না।