অনাস্থা ভোট মানে কি

অনাস্থা ভোট মানে কি

আমরা অনেক সময় অনাস্থা ভোটের কথা শুনে থাকলেও এ বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে অনেকেই জানতে চাই আসলে অনাস্থা ভোট মানে কি। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার উদ্দেশ্যে আমরা এখানে অনাস্থা ভোট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। বিশেষ করে গণতন্ত্র যে দেশে পরিচালিত আছে সেই দেশগুলোতে অনাস্থা ভোট এবং আস্থা ভোটের বিষয়গুলো উঠে আসে।

তাই আপনারা যখন এই পোস্ট ভিজিট করেছেন তখন অবশ্যই অনাস্থা ভোট সম্পর্কে জেনে নিবেন এবং একটি সরকার ব্যবস্থা অনাস্থা ভোট কিভাবে ভূমিকা রাখে অথবা কিভাবে এটা প্রভাব ফেলে সেগুলো জেনে নেওয়া যাবে। একটা দেশের জন্য অনাস্থা ভোট কখনোই কাম্য নয় এবং এটার মাধ্যমে মানুষের মতের ঠিক থাকে না বলে তখন সরকার ব্যবস্থা অন্যরকম হয়ে যায় এবং দেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।

যখন একটা গণতান্ত্রিক দেশে শাসনব্যবস্থার সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে থাকবে তখন অবশ্যই সেই ক্ষমতা বা শাসন ব্যবস্থা সরকারের হাতে না থেকে দেশের প্রত্যেক সদস্যদের হাতে থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা চলে এসেছে এবং এটা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন সমাজ ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হবে এখন অবশ্যই সেটা গণতান্ত্রিকভাবে হতে হবে এবং গণতান্ত্রিক হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সকলের মতামতের ওপরে প্রাধান্য দিতে হবে। আর যদি প্রাধান্য দেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে সেটা অনার্স্থা ভোটের কারণে মতে মিল থাকবে না এবং যখন অনেক মানুষ চুপ করে থাকবে তখন সেটা তাদের মতামত প্রকাশ না করার কারণে ভুল পথে পরিচালিত হতে পারে।

একটি গণতান্ত্রিক দেশে পার্লামেন্ট রয়েছে এবং এই পার্লামেন্টের মাধ্যমে সংসদের সদস্যদের মতামতের উপর ভিত্তি করে অনেক কিছুই হা জয়যুক্ত হয় অথবা না জয়যুক্ত হয়। কিন্তু কোন একটা বিষয় যখন সংসদে উত্থাপন হবে তখন সকলকেই যদি সেই মতামত প্রদান করতে বলা হয় এবং অধিকাংশ ব্যক্তি যদি মতামত না প্রদান করে চুপচাপ বসে থাকে তাহলে সেটা অনাস্থা ভোট হয়ে যায়। ভোটের ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন মানুষের মতামতের প্রাধান্য থাকে না অথবা এক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক মানুষ প্রাধান্য প্রদান করে থাকে বলে অনেক সময় সেই প্রাধান্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না অথবা সেই প্রাধান্যের বিষয়গুলো খুব একটা আমলে থাকে না।

তাইতো কোন দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আস্থা ভোটের প্রয়োজন রয়েছে। কারা আস্থা ভোট যদি না থাকে তাহলে প্রত্যেকের মতামত প্রকাশ হবে না তেমনি ভাবে মতামত প্রকাশ না হওয়ার কারণে কোনটা ভালো হবে অথবা কোনটা খারাপ হবে এই বিচার করা যায় না। কারণ সংসদের যে সকল সদস্যগণ রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই একটা দেশ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যোগ্যতা রাখেন এবং এই যোগ্যতার ভিত্তিতে তারা যদি কোন বিষয়ে চুপচাপ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে সেটা সবসময় দেশের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে অথবা দেশের জন্য কল্যাণকর নয়। আর এক্ষেত্রে চুপচাপ থাকাটাই হল অনাস্থা ভোট এবং আশা করি যে এই অনাস্থা ভোট সংক্রান্ত বিশেষ ধারণা আপনারা পেয়ে গিয়েছেন।

পার্লামেন্টে যখন কোন বিষয়ে উত্থাপিত হয় তখন সেই বিষয়গুলো যেন সকলের পক্ষে যাই এবং সকলের জন্য কল্যাণ করা হয় সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করে স্পিকারকে উত্থাপন করতে হবে এবং ভোটের উপর নির্ভর করে তা কার্যকার করতে হবে। আর যদি না ভোট বেশি হয় তাহলে সেদিকে প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেকটা বিষয়ে আমলে আনতে হবে এবং প্রত্যেকটা বিষয়ের গুরুত্ব প্রদান করার মাধ্যমে সেই বিষয়ের কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আর যদি অনাস্থা ভোটের কারণে একদিকে মতামত অথবা একদিকে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে যায় তাহলে দেখা যাবে যে সেটা সাময়িকভাবে ভালো হলেও ভবিষ্যতের জন্য খুব একটা সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখছে না। আপনাদের যদি কোন কিছু জানার থাকে অথবা কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন দেখে জানাতে পারেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*