কুরআন শব্দের অর্থ কি

কুরআন শব্দের অর্থ কি

ইসলাম শুধু একটি ধর্মই নয় বরং এটিকে সকলেই পূর্ণাঙ্গ একটি জীবনব্যবস্থা বলে উপস্থাপন করেছেন। এটি সার্বজনীন সর্বকালীন বিধি-বিধানের সমষ্টি। বিশ্বাসগত বিষয়গুলোর পাশাপাশি আমাদের মানব জীবনের সমস্ত আচরণগত দিত এই ইসলামের মধ্যে আলোচনা করা হয়ে থাকে।

আর এই মানবজাতির সার্বিক কল্যাণের জন্য নানা পৃথিবী জানে এবং আচার-আচরণগত দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। মহান সেই আল্লাহতালার প্রদত্ত এসব বিধানকে শরীয়ত বলা হয়ে থাকে। শরীয়ত শব্দটি আরবি শব্দ এর বাংলা অর্থ হল পথ বা রাস্তা। আর এটি জীবন পদ্ধতি আইন-কানুন বিধি-বিধান অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আরে শরীয়তের প্রধান উৎসই হল বা প্রথম উৎসই হল আল কোরআন।

আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে আল কোরআন বা কোরআন শব্দের অর্থ কি এ কথাটি জানতে। আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে কোরআন শব্দটির অর্থ জেনে নেবেন। তবে আপনারা ইসলাম সম্পর্কে তো আরো অন্যান্য যে বিষয় রয়েছে সেই বিষয়গুলি জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ইসলামিক বিধি বিধান সম্পর্কে সফল তথ্য অত্যন্ত সঠিকভাবে প্রকাশ করা রয়েছে।

আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনার যে ধরনের প্রশ্ন রয়েছে সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন। আল কোরআন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানী কিতাব। কেয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সকল মানুষের সার্বিক জীবন বিধান এবং দিক নির্দেশনা এই কুরআনের মধ্যে রয়েছে।

সুতরাং এর সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলে মনে করা হয়ে থাকে। মহান আল্লাহতালা স্বয়ং এই সংকলনের বা সংরক্ষণের ভার গ্রহণ করেছেন। তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা নিজে ঘোষণা করেছেন যে আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্য আমি এ সংরক্ষক। (সূরা আল হিজর আয়াত নয়)। আল কোরআন শরীয়তের অকাট্য ও প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করে। মানব জীবনের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের সমাধান সূচক মূলনীতি এবং ইঙ্গিত হল এই আল কুরআনের বিদ্যমান রয়েছে।

আর এই কারণে আল্লাহতালা বলেছেন যে “আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা স্বরূপ।”(সূরা আন নাহল আয়াত ৮৯) অর্থাৎ আল কোরআন হলো আল্লাহতালার পবিত্র বাণী। আল্লাহতালা তার এই পবিত্র বাণী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর নাযিল করেছেন। আর এই বাণী সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব হিসেবে ইসলামিক ব্যক্তিদের কাছে পরিচিত। আল্লাহতালা হযরত জিবরাঈল এর মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ এর ওপর এই কিতাব নাযিল করেছিলেন তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন।

অর্থাৎ এই কিতাব আরবি ভাষায় নাযিল হয়েছিল এবং এটি নাযিল হয়েছিল বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরী থেকে তিন কিলোমিটার দূরে হীরা পর্বতের গুহায় যখন তিনি ধ্যানরত অবস্থায় ছিলেন তখন। ইসলামী শরীয়তের এই প্রধান উৎস হিসেবেই আল কোরআনকে মানবজাতির জীবন পরিচালনার সুস্পিষ্ট মূলনীতি এবং নির্দেশনা বলা হয়ে থাকে।

কারণ হলো আল্লাহতালা নিজেই বলেছেন যে আর অবশ্যই আমি মানুষের জন্য এই কুরআনে বিভিন্ন উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। কুরআন মাজীদ হলো সহজ এবং সাবলীল ভাষায় নাযিলকৃত আল্লাহর বাণী। কারণ এতে কোনরূপ অস্পষ্টতা বক্রতা বা বাঁকা কোন বিষয় নেই এখানে সকল কিছুই জটিলতা পরিহার করা হয়েছে। গরম খেতে খুবই সুন্দর এবং সরল ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে যা মানুষের বোঝার জন্য অতি সহজ।

অর্থাৎ অতি সাধারণ মানুষও এই থেকে অর্থাৎ এই কুরআন মাজীদ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। আল-কোরআন আল্লাহতালা কালাম এটি লাওহে মাহফুজ বা সংরক্ষিত সকলকে লিপিবদ্ধ হয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ হিরা গুহায় দানবর্ণ থাকা অবস্থায় মহান আল্লাহর নির্দেশে জিব্রাইল আল কুরআনের সূরার আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত নিয়ে তথায় মহানবী এর নিকট অবতরণ করেন।

আর এটাই ছিল দুনিয়াতে আল কুরআনের প্রথম নাযিলের ঘটনা।এ থেকে বোঝা যায়, কুরআন শব্দের অর্থ হল ‘আবৃত্তি করা’ যা মুহাম্মদ আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত হয়ে আবৃত্তি করেছেন (৭৫ঃ১৮; ৮৬ঃ৬) এবং মানুষের সম্মুখেও আবৃত্তি করেছেন। যদিও কুরআন বলতে সাধারভাবে তাঁর উপর অবতীর্ণ ওহীর সমষ্টিকে বুঝায়।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*