১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে এই “রাজাকার ” শব্দটি জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যে সকল বাঙালি জীবিত ছিলেন বা এখনো জীবিত রয়েছেন যে সকল বাঙালি সেসকল বাঙালির মুখে মুখে একটি ভাষা সেটি হোক ভয়ের রাজাকার শব্দটি সঙ্গে তারা খুব গভীরভাবেই পরিচিত ছিল। তখন তারা রাজাকার শব্দটির অর্থ না জানলেও বুঝতে পেরেছে রাজাকার কারা রাজাকার আসলে কি হবে রাজাকারের দ্বারা কি ঘটনা ঘটতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্ম অবশ্য এইসব রাজাকার শব্দটি সম্পর্কে অবশ্যই অবগত আছেন।
কারন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানলে পড়লে অবশ্যই রাজাকার শব্দটি বহুবার পাওয়া যায়। তাই যে সকল ব্যক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে অবগত তারা অবশ্যই এই রাজাকার শব্দটি সম্পর্কে অবগত আছেন বলেই মনে করা হয়। কারণ আমরা অর্থাৎ আমাদের দেশ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে আরেকটি দেশ পাকিস্তানি শত্রু সেনাদের সাথে। কিন্তু তাদের সাথে সাথে এদেশীয় কিছু দোসর বা শত্রু ছিল তাদের কেউ আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মা শত্রু বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এমনটি কখনোই ভাবা যায় না। বাংলাদেশের জামাল ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের আপামর জনগণ অবশ্যই এই রাজাকারের সাথেও যুদ্ধ করতে হয়েছে।
বিভিন্ন ইতিহাসের অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে আমরা দেখতে পাই যে রাজাকাররাও আমাদের বাংলাদেশের জন্য অনেক ক্ষতি করছে এবং তারা সবচাইতে বেশি ক্ষতি করেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়। আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলেছে এই সকল কুখ্যাত রাজাকার বাহিনী। এই রাজাকার বাহিনী সম্পর্কে বলতে গেলে হয়তো আজকে আমাদের এই পোস্ট শেষ হবে না।
তারপরও আপনারা যারা এই রাজাকার শব্দটি সম্পর্কে জানতে এসেছেন বা রাজাকার শব্দের অর্থ কি সেটি জানতে এসেছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট থেকে রাজাকার শব্দটির অর্থ জেনে নেবেন। কারণ বাংলাদেশের বসবাস করি সকল বাঙালি জনগণ অবশ্যই রাজাকার সম্পর্কে জানা উচিত এবং এটি তাদের নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে এ কারণেই পড়লাম যে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের নাগরিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গল্প জানবে না মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানবে না এটি কেমন করে হয়।
আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হলে অবশ্যই এই রাজাকার শব্দের অর্থ অবশ্যই বারবার এসে যায় তাদের সামনে। আর এই কারণে রাজাকার শব্দের অর্থ আমাদের জেনে নিতে হবে। তবে রাজাকার শব্দের অর্থ আলাদা হলেও রাজাকার বাহিনীর যে কর্মকাণ্ড সেই কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও আমাদের জানা উচিত বা জেনে নেওয়া নিজেদের কর্তব্য বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের এ পর্যন্ত যত ক্ষতি হয়েছে বা কেউ বিদেশী শক্তি ক্ষতি করেছে তার মধ্যে সবচাইতে বেশি হল আমাদের দেশেরই শত্রু দেশের জনগণের শত্রু দেশ মাতৃকার সত্য এই রাজাকার বাহিনী।
তবে এই রাজাকার বাহিনী বাইরে থেকে আসা কোন বাহিনী না এদেশেরই কুলাঙ্গার সন্তান। এই কুলাঙ্গার সন্তানদের সম্পর্কে জাতিকেও অবশ্যই জানতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে। হয়তো ৭১ এর রাজাকার বাহিনীর কেউ আর জীবিত নাই দুই একজন জীবিত থাকলে থাকতেও পারে কিন্তু নব্য অনেক রাজাকার রয়েছে। এই নম্বর রাজাকার সম্পর্কে আমাদের সাবধান থাকতে হবে সতর্ক থাকতে হবে।
তারাও আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই হুমকি স্বরূপ। তারা সুযোগ পেলে যে কোন সময় দেশের ক্ষতি করবে এবং এখনো করে যাচ্ছে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তারা যেভাবে পারো যখন পারুক সুযোগ পেলেই এই রাজাকার বাহিনী বাঙালি জাতির ওপর ছোবল মারে। আর এই কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত এই রাজাকার সম্পর্কে জেনে রাখা। তাহলে এখন আমরা রাজাকার শব্দের অর্থ আগে জেনে নিই।
রাজাকার শব্দের অর্থ হলো-রাজাকার (رضا کار) হলো ব্যুৎপত্তিগতভাবে একটি আরবি শব্দ যার শাব্দিক অর্থ হল সেচ্ছাসেবী। এটি একটি ধার করা শব্দ হিসেবে উর্দু ভাষায় এসেছে। বাংলাদেশে, রাজাকার একটি অপমানজনক শব্দ, যার অর্থ বিশ্বাসঘাতক বা প্রতারক। তাহলে আপনারা দেখলেন যে রাজাকার শব্দের অর্থ ভালো হলেও আমাদের বাংলাদেশের জন্য এই রাজাকার শব্দটির অর্থ কত অপমানজনক।
Leave a Reply