বাংলা সাহিত্যের জনক কে

বাংলা সাহিত্যের জনক কে

বাংলা সাহিত্যের ঐতিহাসিক কার্যক্রম সম্পর্কে প্রত্যেকটি মানুষের অবগত হওয়া উচিত। বাঙালিরা বাংলা সাহিত্যকে অবশ্যই ভালোবাসবে এটাই নিয়মের কথা। বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য পাঠ একটি ব্যক্তির শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি বোধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি চেতনা এবং ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতি মর্যাদা বোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করে। যে সাহিত্যকে ভালোবাসে বা যার মধ্যে সামান্য টুকু সাহিত্যের জ্ঞান থাকে সে মানুষ অবশ্যই দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয় সাংস্কৃতি বোধ তার মধ্যে থাকে তিনি ধর্ম বর্ণ গোত্র নারী-পুরুষ সবাইকে সমান চোখে দেখে।

আমাদের বাংলা সাহিত্য প্রথম শুরু হয় চর্যাপদ লেখকদের মাধ্যমে। প্রথমে অর্থাৎ ৭০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে যখন চর্যাপ দ লেখা হয় তখন থেকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম চর্যাপদ ভাষায় পাওয়া যায় আমাদের বাংলা ভাষার প্রথম অস্তিত্ব। এরপর মধ্যযুগে এসে আমাদের বাংলা সাহিত্য বিস্তৃতি লাভ করে। মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলী গুলি বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য নিদর্শন রূপে দেখতে পাওয়া যায়। মধ্যযুগে আরো কিছু বাংলা সাহিত্যের অনন্য নিদর্শন আছে সেটি হল বড়ু চন্ডীদাসের লেখা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। সে সময়কালে আরো লিখা দেখতে পাওয়া যায়। যেমন মহাকবি আলাওল এর কিছু লিখা চোখে পড়ার মতো বা বাংলা সাহিত্য কে অবদান রাখার মত লেখা রয়েছে। মধ্যযুগের সাহিত্য গুলি ছিল ধর্মভিত্তিক। এরপরে আর পিছে তাকানোর প্রয়োজন পড়েনি বাংলা সাহিত্য কে। আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যে প্রচুর প্রসার লাভ করে।

আধুনিক যুগের গোড়ার দিক অর্থাৎ ১৮ ০০ সালের প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্যের রেনেসাঁর যুগ হিসেবে আমরা বলতে পারি। সেই সময় অনেক বাংলা সাহিত্য রচিত হয়েছে এবং অনেক কবি লেখক বাংলা সাহিত্যের জন্ম নেয় সেই সময়। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, সুকুমার রায় সহ অনেক নামকরা কবি লেখক এর হাত ধরে বাংলা সাহিত্য তখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ লাভ করতে থাকে। এরপর বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ অর্থাৎ ঋষি দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ইত্যাদি অনেক কবি তখন আমাদের বাংলা সাহিত্যের উদীয়মান ধারাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এদিকে আমাদের বাংলাদেশের বাঙালি কবি মীর মশাররফ হোসেন, কায়কোবাদ, দীনবন্ধু মিত্র ,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ইত্যাদি বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকের জন্ম হয় সেই সময়।

তাই বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে একজন কবি লেখক কে যদি আমরা দাঁড় করাই তাহলে অবশ্যই সেটি অন্যায়ের মতোই কাজ হবে। যেহেতু প্রত্যেকটি লেখকেরই অবদান রয়েছে বাংলা সাহিত্য কে সমৃদ্ধ করার তাই আমরা দেখি সবচেয়ে বেশি অবদান কোন লেখকের এবং তিনিই তো তাহলে বাংলা সাহিত্যের জনক বলে অভিহিত হবে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে সাহিত্য সংস্কৃতি শিল্প বিজ্ঞান চিকিৎসা সহ দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হয় সকল তথ্যগুলি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং আপনার প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিন। আমাদের ওয়েবসাইটের প্রশ্নের উত্তরগুলি আবার ডাউনলোড করেও নেওয়া যায়। আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের প্রয়োজন হবে না। তাই আপনারা অনায়াসেই নিতে পারবেন আমাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আমাদের বাংলা সাহিত্যের আধুনিকীকরণ বা বাংলা সাহিত্য কে লিখিত রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করেন এবং মানুষের বোঝার মত করে গড়ে তোলে অর্থাৎ অপরের বোধগম্য করে গড়ে তোলেন। তিনিই প্রথম বাংলা কবিতার সার্থক রূপকার। আর এসব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকেই বাংলা সাহিত্যের জনক বলে অভিহিত করা হয়। তাই আমরা বলতে পারি বাংলা সাহিত্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অনেক কবি সাহিত্যিক রাই বাংলা সাহিত্যের আধুনিকায়নের জন্য অর্থাৎ বর্তমান জায়গায় নিয়ে আসার জন্য অবদান রেখেছেন। এদের মধ্যে সবচাইতে বেশি অবদান রাখেন সাহিত্য সম্রাট ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*