তিন ৩ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

যারা খুব অল্প সময়ের ভেতরে বিয়ে করতে চাচ্ছে অথবা বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে দ্রুত বিয়ে করতে চাচ্ছেন তারা নিচের দিকে দেখানোর নিয়ম গুলো আমল করবেন। ইসলামিক রীতিনীতি অনুসরণ করে আমাদের যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং যে ব্যক্তি যত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে পারবে তার জীবনে তত তাড়াতাড়ি সফলতা এবং পরিপূর্ণতা চলে আসবে।

তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতির কথা যদি আমরা বিবেচনা করি তাহলে প্রত্যেকটি মানুষকে সৎ পথে এবং ভালো দৃষ্টিতে চলাফেরা করার জন্য বিয়ে করাটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজব্যবস্থা এমন হয়েছে যেখানে বিয়েকে কঠিন করে দেওয়া হয়েছে এবং ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশা সহজ করে দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আস্তে আস্তে সৃষ্টি হচ্ছে।

তাই আপনি যখন বিয়ে করার জন্য যে কোন কাজ থেকে খুব দ্রুত এসে বিয়ে করতে চাইবেন তখন হয়তো ভাবছেন কোন একটি আমল করতে পারলে আপনার জন্য ভালো হবে। মহান আল্লাহপাক যদি আপনার কপালে বিয়ে লিখে থাকেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। তারপরেও বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে অথবা বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে দ্রুত বিয়ে করাটা জরুরী হয়ে পড়লে আপনারা নিচের দেখানো আমল গুলো যদি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে পাঠ করতে পারেন তাহলে আপনাদের অনেক উপকার হবে।

তাই কোন পুরুষ অথবা অবিবাহিত নারী যদি নিজের আমলটি করতে পারে তাহলে 40 দিন করার পরে হয়তো তার বিয়ের জন্য পথ প্রশস্তি হবে এবং কনে অথবা পাত্র পেয়ে যাবে। তাই আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে ডান হাত দিয়ে বাম কবজির ওপর এবং মেয়ে হয়ে থাকলে বাম হাত দিয়ে ডানকুবজির ওপর রেখে প্রতি ৪০ দিন আপনারা নিচের দেখানো আমলটি করবেন। এক্ষেত্রে আপনারা আমল করার জন্য ইয়া ফাত্তাহু (الفتاح) অর্থ হে উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুকারী পড়বেন। আশা করছি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তা বুঝতে পারলেন এবং এই আমলটি করার ফলে মহান আল্লাহ পাক আপনাদের সাহায্য করবেন না।

দুনিয়ার জীবনে যে সকল ভুল ভ্রান্তি করেছেন সেই সকল ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আল্লাহ পাকের একটি মহৎ গুণ হচ্ছেন তিনি ক্ষমাকার এবং আমরা যদি তার থেকে ক্ষমা চাই তাহলে তিনি অবশ্যই আমাদেরকে ক্ষমা করবেন। সকল কে তার জন্য নিয়মিতভাবে যদি সূরা তাওবার নিজের আয়াতটি পাঠ করি তাহলে দেখা যাবে দূরে সরে যাচ্ছে। এই দ্রুত বিয়ে করার জন্য আপনাদের যে কাজটি করা উচিত হবে সেটি হল সুরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা:

فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

উচ্চারণ : ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। ’

আমরা দুনিয়ার জীবনে নিজেদের ইচ্ছাই অথবা অনিচ্ছাই অনেক ধরনের ভুল ভ্রান্তি করে থাকি এবং এই জন্য আমরা যদি মহান আল্লাহ পাকের কাছে বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করি তাহলে দেখা যাবে যে তিনি আমাদের এই আমল দেখে অনেক খুশি হবেন। তাই ইস্তেগফার পাঠ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং যে কোন কাজের ক্ষেত্রে ইস্তেগফার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করার জন্য আরবি অথবা বাংলায় এই আমলটি পাঠ করতে হবে।

اَسْتَغْفِرُ الله – اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

আমাদের নবী হযরত মুসা আলাইহিসসালাম যখন একাকী সময় কাটাতেন এবং তার মন যেন যখন অনেক খারাপ থাকতো তখন তিনি সূরা আদ দোহা পাঠ করতেন এবং অন্যান্য দোয়া পাঠ করতেন। প্রকৃতপক্ষে এই দোয়া পাঠ করার মধ্য দিয়ে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আপনি দীর্ঘদিন ধরে যে আসা মনের ভেতরে লালিত করে আসছেন সেই আশা পূরণ হয়ে যাবে। তাই আপনার ইচ্ছা যদি থাকে বিয়ে করার অথবা দ্রুত বিয়ে করে আপনি যদি সংসার জীবনে প্রবেশ করতে চান তাহলে নিচের এই দোয়াটি পাঠ করবেন।

সুরা আদ-দোহাসহ সুরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-

فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।’

উপরের দেখানো আমল গুলো যদি আপনারা নিয়মিত ভাবে পাঠ করতে পারেন তাহলে তিন দিনের ভেতরে না হলে অন্তত দ্রুত মহান আল্লাহ পাক আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যেহেতু বিয়ে আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশসাহিত এই অংশকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে এবং বিয়ে হচ্ছে অর্ধেক দ্বীন এটা মানতে হবে।