আমরা প্রত্যেকেই চাই স্বাধীনতা এবং নিজের মত করে নিজেদের জীবন গড়তে। কিন্তু পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন ঘটনা আমাদের জীবনকে এমন ভাবে এমন দিকে মোড় নেওয়ায় যে আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে যাই। কিন্তু একজন মানুষ যদি নিজের ইচ্ছামত চলতে না পারে এবং নিজের মতামত প্রকাশ করতে না পারে তখন তা অধীনতার নামান্তর হয়ে যাই।
এক্ষেত্রে একজন মানুষ নিজের মেধা এবং মতামত প্রকাশ করতে না পেরে অধীনতার আবদ্ধ জালে দিনে দিনে নিজেকে নিঃশেষ করে। তাই একজন মানুষের স্বাধীনতার প্রয়োজন রয়েছে। স্বাধীনতা পেলে একজন মানুষ যেমন অবাধে বিচরণ করতে পারে তেমনি ভাবে নিজের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে পারে।
তাছাড়া সকল শ্রেণীর সকল মানুষের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা প্রদান না করা হলে সেই ব্যক্তি যেমন সুস্থ হবে এই পরিবেশে বসবাস করতে পারে না তেমনি ভাবে সেই ব্যক্তি এত সুন্দর পৃথিবীকে দূষণীয় এবং শ্বাসরুদ্ধকর বলে মনে করে। তাই অধীনতার যে আবদ্ধ বেড়াজালে আমরা রয়েছি তা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে এবং যদি কেউ মনে করে সে তার কর্ম ক্ষেত্রে অধীনতার শিকার হয়েছে তাহলে তাকে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
কারণ পরাধীনতার মধ্য থেকে আপনি যেমন নিজের বিকাশ ঘটাতে পারবেন না তুমি নিজের মতো করে চলতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আমরা বলে থাকি যে অধীনতা অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়। সকল ব্যক্তি যদি স্বাধীনতা একসঙ্গে চাই এবং স্বাধীনতার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে তাহলে স্বাধীনতার সময় আসবে এবং এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের দেশ নিজের মত করে বাঁচতে পারবেন।
স্বাধীনতার বেড়াজালে দিনের পর দিন নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দিয়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতে হবে এবং অতীতে এমনটিই ঘটেছে। স্বাধীনতার মধ্যে যে সুখ রয়েছে তা একজন পরাধীন ব্যক্তি বুঝতে পারে তার বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে। নিচে অধীনতা অপেক্ষার মৃত্যু শ্রেয় এর ইংরেজি অনুবাদ বা অর্থ প্রদান করা হলো।
= Even death is preferable to bondage.
সীমাবদ্ধতার চাইতে যদি নিজেকে মুক্ত ভাবে প্রকাশ করতে পারেন তাহলে নিঃশ্বাস গ্রহণ করে যে শান্তি পাবেন তা অধীনতা বা পরাধীনতার মধ্যে কখনোই পাবেন না। এই স্বাধীনতার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং প্রয়োজনে নিজের সঙ্গে নিজে যুদ্ধ করতে হবে যাতে আপনি ওই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বের হয়ে আসতে পারেন।
Leave a Reply