আমি আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাই

আমি আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাই

বৈবাহিক সম্পর্কের জীবনে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আপনার মনোমালিন্য ঘটলে অথবা কোনোভাবেই যদি তার সঙ্গে আপনার থাকা সম্ভব না হয় তাহলে কিভাবে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিবেন তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। কারণ অনেকেই এই নিয়ম জানেন না বলে আমাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য লেখা হয়েছে। আপনি যদি স্ত্রীর প্রতি বিরক্ত হয়ে থাকেন অথবা স্ত্রী যদি আপনার অবাধ্য হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই তার সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়াটাই সবচাইতে ভালো। এক্ষেত্রে দুইজন যদি মানিয়ে নিয়ে চলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে এটি পরবর্তীতে সমাধান হয়েও যেতে পারে।

কিন্তু দিনের পর দিন আপনাদের এই সমস্যা প্রকট হয়ে উঠলে এবং মানসিকভাবে যদি আপনি কোনভাবেই তার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে না পারেন তাহলে আপনার স্ত্রীকে আপনি তালাক দিতে পারেন। স্ত্রীকে তালাক দিতে হলে আপনাকে শুধু মুখে তালাক দিলে হবে না। স্ত্রীকে তালাক দিতে হলে আপনাকে লিখিতভাবে এবং আইনি পরামর্শ অনুযায়ী অথবা এই নিয়ম অনুসরণ করে তালাক দিতে হবে। তাই কোন প্রক্রিয়ায় তালাক দিলে সবচাইতে কার্যকরী হবে এবং এক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন।

প্রথমত আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে চান তাহলে তার দেনমোহর যদি পরিশোধ করা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা সরাসরি একজন বিয়ের রেজিস্টার কাজির সঙ্গে দেখা করুন এবং তার সঙ্গে তালাকের বিষয়ে কথা বলুন। এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চান তাহলে যাবতীয় লেনদেন আপনাকে আগে থেকে সম্পন্ন করতে হবে। তারপরে আপনাকে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য একটি লিখিত প্রদান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিচ্ছেদ নামা লিপিবদ্ধ করতে হবে। সেখানে আপনি সজ্ঞানে আপনার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চান এবং যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন করতে চাইলে সকল তথ্য উল্লেখ থাকবে।

আপনার সিগনেচার করা কাগজে আপনার স্ত্রী তখন আপনার এই তালাকের বিষয়ে সম্মতি প্রদান করবে এবং আপনাকে সেখানে মুখে তালাক প্রদান করার ঘোষণা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কাজী অফিসে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য হয়তো আপনাদের থেকে ৫০০ টাকা নেয়া হতে পারে এবং পরবর্তীতে আপনি যখন তালাকের নকল তুলবেন তখন আপনাকে হয়তো 50 টাকা প্রদান করা লাগতে পারে। আপনারা এগুলো কাজী অফিসের মাধ্যমে করতে পারেন আবার একজন উকিলের মাধ্যমেও এই কাজটি আদালতের মাধ্যমে করতে পারেন।

তবে আপনি যদি দেনমোহর পরিশোধ না করেন তাহলে আপনার তালা কার্যকর হবে না। তাই তালাকের পূর্ব শর্ত হলো আপনার স্ত্রীর সঙ্গে যে ধরনের লেনদেন আছে সে সকল লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে এবং স্ত্রী যদি অন্তঃসত্ত্বা হয় তাহলে সেই সন্তান ভুমিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আপনি তাকে তালাক দিতে পারবেন না। আবার তালাকের এই কার্যক্রম পরিচালনা হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ আপনি যদি আপনার পারিবারিকভাবে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বা মীমাংসা করতে চান অথবা তালাকের জন্য তথ্য লিপিবদ্ধ করতে চান তাহলে পরবর্তী তিন মাস আপনার স্ত্রীকে ভরণপোষণের খরচ প্রদান করতে হবে।

তবে বিবাহের সম্পর্ক একটি পবিত্র সম্পর্ক এবং এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যদি উভয়পক্ষকে একটু কষ্ট করা লাগে অথবা মানিয়ে চলতে হয় তাহলে মানিয়ে চলুন। তাছাড়া এই বিবাহের সম্পর্ক যদি আপনারা শেষ করতে চান অথবা কোন ভাবে আপনাদের যদি একসঙ্গে থাকা সম্ভব না হয় তাহলে অফিশিয়ালি তালাকের মাধ্যমে আপনারা আলাদা হয়ে গেলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*