প্রিয় মানুষের কাছে অথবা নিকট আত্মীয়র কাছে যদি ভুল করে থাকেন তাহলে তাদের সাথে যদি অনলাইনে মাধ্যমে কথা বলে ক্ষমা চাইতে পারেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ক্ষমা চাওয়ার মেসেজ দিতে হবে। ক্ষমা চাওয়ার ম্যাসেজ আমরা আপনাদের সামনে আজকে জানিয়ে দেবো অথবা কিভাবে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা পাওয়া যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে উপস্থাপন করব বলে আপনারা খুব সহজেই তা বুঝতে পারবেন।
আর এই নিয়ম অনুসরণ করে যদি আপনারা পরিচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চান তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের কথা বলার মাধ্যমেই তারা মন থেকে ক্ষমা করে দিয়েছে। অনেক সময় আমরা নিজেদের জ্ঞানে অথবা অজান্তে যখন কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলি তখন সেটার জন্য আমাদের ক্ষমা চাইতে হয়। তবে সরি দিয়ে যদি ক্ষমা চাইতে হয় তাহলে আপনারা সেটা ভুল ভাবছেন এবং সরি দিয়ে অনেক সময় অনেক অপরাধের ভুল অন্য মানুষের থেকে পাওয়া যায় না।
অনেক সময় সরি দিয়ে আপনি যদি ক্ষমা চান তাহলে দেখা যাবে যে সেই সরি গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না এবং সেই মানুষ এতটাই কষ্ট পেয়ে গিয়েছে যে আপনার সঙ্গে আর কথা বলছে না। তাই সরি না বলে আপনারা যদি অন্য কোন পদ্ধতি অথবা অন্য কোন বাক্য ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ক্ষমা হয়তো হয়ে যেতে পারে। জীবনে চলার পথে আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের ভুল ভ্রান্তি করে থাকি এবং এই সকল ভুল ভ্রান্তি থেকে যদি আমরা নিজেদেরকে মুক্ত করতে চাই তাহলে মানুষ হিসেবে অনেক সময় তা পারবো না।
কিন্তু যার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন অথবা যার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করো নাই সেই মানুষটি কষ্ট পেয়েছে আর সেটা যদি আপনি উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে আর দেরি না করে ক্ষমা চেয়ে ফেলুন। কারণ দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে আপনি যদি কারো সঙ্গে ভুল করে থাকেন এবং এক্ষেত্রে যদি ক্ষমা না চান তাহলে আল্লাহ পাক অনেক সময় আপনাকে ক্ষমা নাও করতে পারেন। তাছাড়া যে বান্দার কাছে আপনারা ভুল করবেন সেই বান্দার থেকে ক্ষমা চাইলে সেটাই সবচাইতে ভালো হবে এবং সেই বান্দাদের যদি মন থেকে ক্ষমা করে তাহলে অবশ্যই আপনারা ক্ষমা পেয়ে যাচ্ছেন। তাই ক্ষমা চাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে কুশলী এবং বিনয়ী হতে হবে।
কারণ আপনি ক্ষমা চাওয়ার ক্ষেত্রে যদি পূর্বের বিষয়গুলো ধরে আবার কথা বলেন তাহলে সেটা ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে ঝগড়াতে রূপান্তরিত হবে অথবা ঝামেলাগুলো আরো বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আপনি ক্ষমা চাওয়ার সময় আপনার ভুলগুলো যদি শুধরে নেন অথবা আপনি যদি নিজের ভুলগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করেন তাহলে সেই বিষয়টি সেই ব্যক্তি উপলব্ধি করতে পারলে অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন।
কিন্তু আপনার ভুলের কারণে অথবা আপনার কষ্টের কারণে সেই ব্যক্তি যদি মন ঘুরিয়ে নেয় অথবা সেই ব্যক্তি যদি পাথর হয়ে যায় তাহলে অনেক সময় ক্ষমা করতে নাও পারে। তাছাড়া ক্ষমা চাওয়ার মেসেজের ক্ষেত্রে আপনারা যদি মেসেজ ব্যবহার করেন তাহলে সেটা ব্যবহার চাইতে কল করে অথবা সরাসরি দেখা করে কথা বলাটাই সবচেয়ে ভালো হবে।
আর সবদিক থেকে কথা বলার সুযোগ যদি হারিয়ে যাই তাহলে আপনার জন্য সেটা অনেক ভুল হবে এবং যদি মেসেজের মাধ্যমে একমাত্র খোলা থাকে তাহলে আপনারা সেটার মাধ্যমে ক্ষমা চাইবেন। এক্ষেত্রে নিজের ভুলগুলো উপস্থাপন করে আপনারা যদি প্রতিজ্ঞা করেন আর এমন ভুল কখনোই করবেন না তাহলে খুব সহজেই সেই ব্যক্তি বুঝতে পারবে এবং সেই ব্যক্তির ভেতরে যদি মনুষত্ব থেকে থাকে তাহলে আপনার ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি দেখে অবশ্যই ক্ষমা করবেন। তাই ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়ার জীবনে আমরা অন্যদের থেকে অথবা আমাদের থেকে কেউ যেন কষ্ট না পায় সে বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই বিবেচনা করে কাজ করব।
Leave a Reply