কোন গর্ভবতী মা যদি শিশু ভাতা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে আবেদন কিভাবে করবেন সে প্রসঙ্গে এখানে আমরা আলোচনা করব। গর্ভের সন্তানের বয়স যদি চার থেকে ছয় মাস হয়ে থাকে তাহলে ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই আপনারা আবেদন সাবমিট করে রাখবেন। নারী ও শিশু বিষয়ক মহিলা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আপনারা নির্দিষ্ট সময় পরে এই ভাতা পরপর তিন বছর পাবেন। তাই শিশু ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে অথবা কোথায় গিয়ে কিভাবে তথ্য প্রদান করতে হবে তা এখানে জানিয়ে দেওয়া হলো।
যেহেতু এটা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে সেহেতু আপনারা যারা শিশু ভাতা পেতে চাচ্ছেন তাদেরকে ওয়েবসাইটের ভাষায় এটা মাতৃত্বকালীন ভাতা হিসেবে আবেদন করতে হবে। তাই যখন মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করবেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে বেশ কিছু শর্ত অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে এটা যদি আপনার গর্ভের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সন্তান হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আবেদন করবেন এবং এনআইডি কার্ড অনুযায়ী আপনাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের ভেতর হতে হবে।
তবে বয়স যদি ২০ এর নিচে হয়ে থাকে এবং ৩৫ এর উর্ধ্বে হয়ে থাকে তাহলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। এরপর আপনাদের নিয়ম অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য পরিবারের আয় যদি ৮ হাজার টাকার নিচে হয়ে থাকে তাহলে আবেদন করলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে। তাই আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের আবেদন সংক্রান্ত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অর্থাৎ http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration এই লিংক ব্যবহার করে আবেদন করার পেজে চলে যান।
অর্থাৎ এখানে গেলে আপনাদের সামনে একটি আবেদন ফরম চলে আসবে এবং সেখান থেকে আপনারা বর্তমান যে অর্থবছর চলমান রয়েছে সেই অর্থ বছরে আবেদন করার জন্য সঠিক অর্থবছর নির্বাচন করুন। আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার প্রদান করার পর তার নিজের নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে। আবেদনকারীর পিতার ও মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে প্রদান করার পর পরবর্তী যে সকল অপশন গুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা ব্যাচ উল্লেখ করবেন।
এরপরে এলাকায় যে নামে পরিচিত সেই নামটি উল্লেখ করতে হবে এবং নিচে গিয়ে জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান উল্লেখ করতে হবে। এরপরে বৈবাহিক অবস্থা এবং মোবাইল নাম্বার প্রদান করবেন এবং নিয়ম অনুযায়ী সেখানে আরো যে সকল তথ্য যাওয়া হয়েছে অর্থাৎ রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে প্রদান করবেন। এরপরে আপনারা সেখানে এনআরবি অথবা প্রবাসী কিনা সে প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করলে সবচেয়ে ভালো হয় এবং যদি সেটা না হয়ে থাকে তাহলে না অপশন নির্বাচন করবেন।
এখন আপনাদের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা ঠিক যেভাবে যাওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই প্রদান করবেন যাতে কোন ধরনের তথ্যগত ভুল না হয়। এরপরে আপনাদের আর্থসামাজিক তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এই আর্থসামাজিক তথ্য প্রদান করতে গিয়ে অবশ্যই সঠিক তথ্য দেবেন। কারণ যাচাই করার সময় কোন তথ্য যদি ভুল বলে প্রমাণিত হয় তাহলে সেই আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না অথবা এটার মাধ্যমে আপনারা ভাতা পাবেন না। তাই প্রত্যেকটি তথ্য সুষ্ঠুভাবে পূরণ করার পর আপনাদের হিসাব নাম্বার প্রদান করতে হবে।
অর্থাৎ মাতৃত্বকালীন ভাতা অথবা শিশু ভাতা পাওয়ার জন্য আপনি যদি মনোনীত হয়ে থাকেন তাহলে সেই টাকা আপনাকে ব্যাংকিং একাউন্ট অথবা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করবে বলে যে কোন একটা একাউন্টের তথ্য প্রদান করুন। এভাবে প্রত্যেকটি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পর পরবর্তী বেঁচে যাবেন এবং যে সকল তথ্য যাওয়া হয়েছে সেগুলো দিয়ে আবেদনপত্র সাবমিট করবেন। আপনাদের আবেদন সংরক্ষিত অবস্থায় থাকবে এবং নতুন অর্থবছরে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভাতা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply