যে সকল নারীরা গর্ভবতী হয়েছেন এবং গর্ভধারণের বয়স চার থেকে ছয় মাস হয়েছে তারা চাইলেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে এই ভাতা পেতে পারেন। তবে গর্ভবতী ভাতা পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে এবং শর্তগুলো পূরণ করা সাপেক্ষে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর আপনাদেরকে এ বিষয়ে সহায়তা করবেন। তাই আপনারা যারা গর্ভবতী ভাতা নিজেদের আর্থিক সঞ্চলতা আনয়ন করার পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক সুস্থতা আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে খরচ করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই এখানে আবেদন করে এই টাকা পেতে পারেন।
তবে গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি সরাসরি আবেদন করতে চান তাহলে এরকম কোন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট আপনাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি যেখানে আবেদন করতে পারবেন। তাই কোন গর্ভবতীর নারী যদি পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে এটা পেতে চাই তাহলে স্থানীয় যে সকল মহিলা কাউন্সিলর রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তারা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সহায়তা করবে।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাদের যদি সরাসরি আবেদন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে উপজেলা ভিত্তিক যে সকল ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র রয়েছে সেখানে গিয়েও আপনারা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার ভিত্তিতে আবেদন করতে পারেন। তবে ভাতা সংক্রান্ত সকল ধরনের আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে করার সুযোগ থাকলেও অথবা আপনারা খুব সহজে অনলাইন সার্ভিসের দোকান থেকে এটা করে নিতে পারলেও গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
অর্থাৎ আপনারা এখান থেকে এই তথ্যগুলো অনুসরণ করার ভিত্তিতে যদি মনে করেন গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাহলে দ্রুত আবেদন করে রাখুন যাতে করে আপনার এই ভাতা পাওয়ার কার্যক্রম খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। বিশেষ করে আপনারা যখন এই ভাতা পেতে শুরু করবেন তখন ৩৬ মাস আপনাদের প্রত্যেক মাস এ ৮০০ টাকা করে প্রদান করা হবে। যেহেতু এটা একটা বড় ধরনের এমন সাহিত্য একজন গর্ভবতী মায়ের আনুষাঙ্গিক খরচ গুলো এবং ফলমূল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ কাজে খরচ করার বিষয়গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।
তাই গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো আপনার বয়স ২০ বছরের কম হওয়া যাবেনা এবং ৩৫ বছরের উর্ধ্বে হওয়া যাবে না। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী যদি এই নির্দিষ্ট বয়সসীমার ভেতরে থাকতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার গর্ভে সন্তানের বয়স যদি চার থেকে ছয় মাস হয়ে থাকে তাহলে আবেদন করতে পারবেন। গর্ভবতী মায়ের এই সন্তান যদি প্রথম সন্তান হয়ে থাকে অথবা দ্বিতীয় সন্তান হয়ে থাকে তাহলে আবেদন করতে পারবেন। কোন কোন ক্ষেত্রে যদি তৃতীয় অথবা চতুর্থ সন্তানের জননী হতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আবেদন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
পরিবারের সদস্য সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকার পাশাপাশি আপনাদের স্বামীর ইনকাম যদি প্রত্যেক মাসে ৮০০০ টাকার কম হয়ে থাকে তাহলে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে শুরু করে ছবি এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করার ভিত্তিতে যখন মহিলা কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তখন তারাই গিয়ে উপজেলা ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করে দিবে। পরিবারের আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে আপনাদের এই ভাতার টাকা প্রদান করা হয় বলে এক্ষেত্রে যাদের আর্থিক সচ্ছলতা রয়েছে তারা অনেক সময় আবেদন করার পরে বাতিল হয়ে যায়।
তবে যাই হোক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই টাকা প্রদান করা হচ্ছে বলে আপনারা অবশ্যই এই টাকা পাওয়ার জন্য পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার উপরে নির্ভর করে আবেদন করতে পারেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এই টাকা প্রদান করছে বলে আপনার শিশুকে গুরুত্বের সঙ্গে মানুষ করে তোলেন এবং এই শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।তাই আবেদন করুন এবং আপনাদের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে এই পোস্ট এখানেই শেষ করছি।
Leave a Reply