আরবি দরখাস্ত pdf

আরবি দরখাস্ত pdf

আরবি একটি ভাষা। বাংলা অক্ষরের সাথে আরবি অক্ষরের কোন মিল নেই। আরবি ভাষা ইসলাম ধর্মের মানুষের ভাষা। সৌদি আরবে আরবি ভাষা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। একজন মুসলমান ব্যক্তি যদি আরবি না জানে তাহলে মুসলিম সমাজে তাকে অপমানিত হতে হয়। ইসলাম ধর্মে অতি মূল্যবান ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ আরবি ভাষায় রচিত। যেহেতু বাংলাদেশের মাতৃভাষা বাংলা, তাই বাংলাদেশের অধিকাংশই মুসলিম ব্যক্তিরা আরবি ভাষা জানেনা।

বিশেষ করে বাংলাদেশে নিরক্ষরতার হার বেশি। যুদ্ধস্থ ধ্বংসস্তূপের পর বাংলাদেশকে পুনরায় সাজিয়ে তুলতে হয়েছে। তাই তখনকার যুবক-যুবতী দের অধিকাংশই নিরক্ষরতার শিকার। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সকল দুর্বল ছিল। তাই খাদ্যের অভাব মিটিয়ে শিশুদের লেখাপড়ার সামর্থ্য কারই ছিল না। এজন্য অতীতে বাংলাদেশের নিরক্ষরতার হার অনেক বেশি ছিল।

কিন্তু বাংলাদেশে এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নতির মুখে। গণশিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষরতার হার দূর করতে সম্ভব হয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন বাংলাদেশের সকল শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার সুষ্ঠুভাবে পেয়ে থাকে। শিশুরা বাল্যকাল থেকেই প্রাথমিক এবং নৈতিক শিক্ষায় গড়ে উঠছে। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মাতৃভাষা এবং রাষ্ট্রভাষা দুটাই বাংলা। কিন্তু বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। বিধায় একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে আরবি ভাষার ও যথেষ্ট সম্মান রয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে একজন মুসলিম শিশু বাধ্যতামূলক ভাবে আরবি ভাষা লিখতে এবং পড়তে শিখছেন। স্কুল-কলেজের পাশাপাশি মাদ্রাসা নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশুকাল থেকেই শিশুদের ইসলামের নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলা হয়। আরবি ভাষায় শিক্ষিত করে তোলা হয় মুসলিম শিশুদের।

যে মুসলিম সন্তান মাদ্রাসা নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে তাদের আরবি ভাষায় দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন পড়ে। কারণ মাদ্রাসা থেকে শিক্ষিতদের আরবি ভাষায় দক্ষ করে তুললে হয়। আমাদের অনেক হুজুর বন্ধুরা একটি সুন্দর আরবি ভাষায় দরখাস্ত লেখার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকেন। যেহেতু বাংলাদেশে আরবি ভাষার খুব একটা জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায় না, সেজন্য অনেক সময় গুগলেও একটি সুন্দর আরবি ভাষার দরখাস্ত পাওয়া যায় না। আমাদের মাদ্রাসা পড়ুয়া বন্ধুরা যদি একটি সুন্দর আরবি ভাষার দরখাস্ত এর নমুনা দেখতে চাই তাহলে তারা আমাদের ওয়েব সাইটে এসে তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবে।

আপনি কি একটি সুন্দর আরবি ভাষায় দরখাস্ত লিখতে চান?
আপনি যদি আরবি ভাষা না জানেন তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এক ধারণা নিয়ে একটি দরখাস্ত লিখে নিতে পারেন। মুসলিম ধর্মের বন্ধুগণ সবাই আরবি ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান রাখে। অনেক মুসলিম বন্ধুগণ রয়েছে যারা আরবি ভাষা বুঝতে পারেন এবং পড়তেও পারেন কিন্তু তারা আর্য ভাষা লিখতে পারেন না। বাংলাদেশের প্রায় ৮০% মুসলিমদেরই একই অবস্থা। কারণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আরবি ভাষার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। তাই আরবি ভাষার চর্চাটা সেই ভাবে হয়ে ওঠেনা। এজন্য আরবি ভাষায় কিছু মনের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখাটা কঠিন হয়ে পড়ে। সহজে ভাষায় বলতে গেলে আরবি ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করাটা বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু আপনাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে চলে এসেছি আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইডে।

আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভাবে পড়ার অনুরোধ রইল। চলুন দেখে নিন আরবিতে দরখাস্ত লেখার কিছু নমুনা। বাংলা ভাষার মতো আরবি ও একটি ভাষা। বাংলা অক্ষরের মতো আরবি অক্ষর দিয়ে ব্যাক্কো তৈরি করে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। ইসলামিক চাকরির কাজে। সৌদি আরবে বসবাসকৃত অনেক বাংলা প্রবাসী গন বিভিন্ন প্রয়োজনে আরবি ভাষার প্রয়োগ করে থাকে। অধিকাংশ বাঙালিরা আরবি ভাষা সুষ্ঠুভাবে পারেনা। আরবি ভাষা সঠিক নিয়মে পড়তে পারা এবং বলতে পারো বাঙ্গালীদের জন্য একটু কষ্টকর। কিন্তু অসম্ভব নয়।

প্রবাসী বাঙালিরা তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন নেই যদি আরবি ভাষায় দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন পড়ে তবে তারা নিশ্চয়ই অনলাইনে সার্চ করে তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবে। শুধু আরবি ভাষায় নয় বাংলাদেশে বসবাসিত একজন যুবক যদি হিন্দি ভাষায় একটি দরখাস্ত লিখতে চাই তাহলেও সে অনলাইনের মাধ্যমে উক্ত দরখাস্ত লিখে নিতে পারবে।

About শাহরিয়ার হোসেন 4781 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*