
আপনার কি একটি ওয়েবসাইট রয়েছে? ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা খুবই কম? পরিশ্রম এর তুলনায় আশানুরূপ ইনকাম করতে পারছেন না? এজন্য কি আপনি হতাশ?
তাহলে আর হতাশা বা গ্লানি নয়। আজকের এই লিখাটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে পারবেন কয়েক গুণ পর্যন্ত। আমার কথা আপনার কাছে গল্প বলে মনে হচ্ছে? আমার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না?
তাহলে, মনোযোগ সহকারে আমাদের দেখানো কৌশল গুলো পড়ুন এবং তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুন। আমরা বিশ্বাস করি আগামী এক মাসের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাহলে আর বেশি গল্প না দিয়ে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর কেন গুরুত্বপূর্ণ
ওয়েবসাইটের ভিজিটর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর এর সংখ্যা ওয়েবসাইটটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। যে ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসে সে ওয়েবসাইট ততবেশি রেভিনিউ জেনারেট করে।
কারণ যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি পেজভিউ হবে এবং সেই অনুপাতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। আর যত বেশি বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে বিজ্ঞাপনে ক্লিক এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফলাফল স্বরূপ আপনার ইনকাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
আপনি বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে পারেন। বৈধ এবং অবৈধ ভাবে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করা সম্ভব। তবে অবৈধ ভিজিটর ওয়েবসাইটের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ। এজন্য আমরা এমন কোন কৌশল উপস্থাপন করব না যাতে আপনারা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এবার আমরা দেখব ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর সহজ এবং নিরাপদ উপায়।
ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর উপায় সমূহ
- এসইও (SEO)
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার
- কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট প্রকাশ
তিনটি উপায় সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। প্রতিটি কৌশল কিভাবে এপ্লাই করতে হবে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা নিচে করা হচ্ছে।
এসইও (SEO)
এসইও প্রধানত দুই ধরনের, অনপেইজ (On page) ও অফপেইজ (Off Page)
ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়াতে দুইটি কৌশলই আপনাকে এপ্লাই করতে হবে। কোনটা বাদ দিলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে তা। সেজন্য আমরা প্রতিটি বিষয়ে আলাদাভাবে নিচে বর্ণনা করছি।
On Page SEO কি ও কিভাবে করবেন
অনপেজ এসইও ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপায়। অনপেজ এসইও বলতে আমরা বুঝি নিজের ওয়েবসাইট এর অন্যান্য আর্টিকেল গুলোর সাথে যোগসুত্র স্থাপন করা। অর্থাৎ একটি আর্টিকেল হতে রিলেটেড অন্য আরেকটি আর্টিকেল এর মধ্যকার লিংকিং কে অনপেজ এসইও বলা হয়।
অনলাইনে ইনকামের সহজ উপায় – মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করুন
যেমন মনে করেন এসএসসি রুটিন সংক্রান্ত একটি আর্টিকেল রয়েছে আপনার ওয়েবসাইটে। আপনি যখন এসএসসি সাজেশন নিয়ে কোনো আর্টিকেল লিখবেন তখন কথা প্রসঙ্গে এসএসসি রুটিন এর কথা চলে আসবে। এসএসসি রুটিন শব্দের সাথে এসএসসি রুটিন পোষ্টের লিংক এর সাথে যুক্ত করে দিতে হবে।
এমন ধরনের লিংকিংকে (Linking) অনপেজ এসইও বলা হয়।
অনপেজ এসইও এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। নিচে সেগুলো পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো।
- পেজভিউ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
- পোস্ট দ্রুত ইনডেক্স হয়
- রেংকিং ইমপ্রুভ হয়
- রেভেনিউ বৃদ্ধি পায়
- ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্ট ভালো র্যাঙ্ক করে
Off Page SEO কি ও কিভাবে করবেন
অফ পেজ এসইও বলতে এমন ধরনের লিংকিং বোঝায় যেখানে অন্য সাইট হতে আপনার ওয়েবসাইটে লিংকিং করা হয়। অর্থাৎ অন্য কোন ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোন আর্টিকেল যখন লিংক আকারে শেয়ার করে বা তাদের আর্টিকেলে উল্লেখ করে তখন তাকে ব্যাকলিংক বলা হয়।
ব্যাকলিংক করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট খুব দ্রুত র্যাঙ্কে চলে আসে। ব্যাকলিংক বিভিন্ন ভাবে করা যায়। সবচেয়ে কার্যকর এবং নিরাপদ উপায় হলো নিজের ওয়েবসাইটে কোয়ালিটিফুল আর্টিকেল প্রকাশ করা। আপনার আর্টিকেল মানসম্মত হলে অন্যান্য ওয়েবসাইট অবশ্যই তা শেয়ার করবে।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ব্লগ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক পোস্ট করে আসতে পারেন। তবে অবশ্যই লিংক পোস্ট করার জায়গা এবং প্রসঙ্গ প্রাসঙ্গিক হতে হবে। অর্থাৎ সামঞ্জস্যপূর্ণ রিলেভেন্ট ওয়েবসাইট থেকে ব্যাংক লিঙ্ক নেওয়া সবচেয়ে কার্যকর।
বিভিন্নভাবে ব্যাকলিংক করা যায় যেমন,
- সোশ্যাল সাইট এ লিঙ্ক শেয়ার
- অন্য ওয়েবসাইটে প্রোফাইল ক্রিয়েট করে
- গেস্ট পোস্ট করার মাধ্যমে
ব্যাকলিংক করার সুবিধা গুলো নিম্নরূপঃ
- ওয়েবসাইট দ্রুত গুগলে র্যাঙ্ক করে
- ওয়েবসাইটের অথরিটি বৃদ্ধি পায়
- পেজ অথরিটি বৃদ্ধি পায়
- গুগলের কাছে ওয়েবসাইট গ্রহণযোগ্য হয়
- পোস্ট দ্রুত ইনডেক্স হয়
ব্যাকলিংক সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ব্যাপারে আমাদের এক্সপার্ট টিম আপনাকে সাহায্য করার জন্য সদা প্রস্তুত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সঠিকভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করতে পারেন কয়েক গুণ। পৃথিবীর বড় বড় ওয়েবসাইটগুলোর নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ রয়েছে। সেসব গ্রুপ ও পেইজে প্রতিনিয়ত পোস্ট করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর উপস্থিতি ভালো ব্র্যান্ডিংয়ে সহায়তা করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট যখন বিভিন্নভাবে উপস্থিত থাকবে তখন তারা মানুষের মনে আলাদাভাবে প্রভাব বিস্তার করে রাখে।
এবং যখন ভিজিটর আপনার আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয় তখন আপনার ওয়েবসাইটের নামটি তার মস্তিষ্কে আরো বেশি শক্তিশালী হয় এবং রিডারের মনে দীর্ঘক্ষন অবস্থান করে। এজন্য প্রতিটা ওয়েবসাইটের অবশ্যই ফেসবুক, টুইটার, মিডিয়াম এ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থিত থাকতে হয়।
কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট প্রকাশ
ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে। কারণ ভিজিটর যদি কাঙ্খিত তথ্য আপনার ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যায় তাহলে বারবার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে ইচ্ছা প্রকাশ করবে।
ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিংয়ের জন্য প্রধান নিয়ামক হলো কন্টেন্ট। আপনার ওয়েবসাইটে যতবেশী কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট থাকবে আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং তত বৃদ্ধি পাবে।
সর্বশেষ কথা
আমরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দেখানো কৌশল গুলো অনুসরণ করলে আশানুরূপ ফল পাবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। এরকম আরও আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রচেষ্টা আপনার ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে ওয়েবসাইটটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Leave a Reply