
রমজান মাসের রোজা ব্যতীত অন্য কোন মাসের রোজা মহান আল্লাহতালার তরফ থেকে মুসলমানদের উপর ফরজ রোজা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি। একজন মুসলমানের জন্য সারা বছরের যতগুলো ইবাদত রয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম ইবাদত হল রমজান মাসের রোজা। রমজান মাসের রোজা পালন করার জন্য প্রতিটি মুসলমান কে রমজান মাসের প্রতিটি দিন সারাদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করতে হয়। আর সারা বিশ্বের মুসলমান মহান আল্লাহ তালাকে খুশি করার জন্য রমজান মাসের প্রতিটি রোজা তার নির্দেশনা অনুযায়ী পালন করে থাকে। তাই আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান ভাই ও বোনেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আর এই বিষয় টি জানার জন্য তারা গুগল ইন্টারনেটের নামে জায়গায় কে সিলেক্ট করেছেন। তাই সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তুমি কি রোজা রেখেছ in english তুমি রোজা রাখছো এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেব। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় প্রতিটি মুসলমানের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি যেই ইবাদতটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল রমজান মাসের রোজা। রমজান মাসের রোজা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে মহান আল্লাহতালা এই রোজার পুরস্কার তিনি নিজ হাতে তার বান্দাদের প্রদান করবেন। তাছাড়া রমজান মাস বরকতের মাস ফজিলতের মাস রহমতের মাস। এই মাসটিতে আটটি জান্নাতের দরজা খোলা থাকে আর জাহান্নামের দরজা বন্ধ থাকে। মহান আল্লাহতালা পবিত্র এই মাসে শয়তানকে শিকল বন্দি করে রাখেন যেন তার বান্দাদের কোন ধরনের খারাপ কাজে উৎসাহ না দিতে পারে। রমজানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ্ তাআলা এ মাসটি কে স্বীয় ওহি সহিফা ও আসমানি কিতাব নাজিল করার জন্য মনোনীত করেছেন। অধিকাংশ কিতাব এ মাসেই নাজিল হয়েছে। তাছাড়া রমজান মাস এমন একটি মাস যে মাসে মহান আল্লাহতালা তার বান্দাদের অধিক পরিমাণ ক্ষমা করে দেন এবং বান্দার মনের সকল চাওয়া পাওয়া কবুল করে নেন।
আরবি ক্যালেন্ডার অনুসারে নবমতম মাসে সারা বিশ্বের মুসলমানরা রমজান মাসের রোজা পালন করে থাকে। রোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি পরিভাষা হচ্ছে সাওম। পবিত্র এই মাসটিকে ঘিরে মুসলমানদের বাড়তি আগ্রহের শেষ নাই। তাছাড়া খুব সহজেই দোয়া কবুল হয় পবিত্র রমজান মাসে। যে মাসটিতে মহান আল্লাহতালা বান্দার চাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেয় আর তিনি বলেন তোমরা এ মাসে মন থেকে যে যা যাবে আমি তা কখনো ফিরিয়ে দেবো না। কোন ব্যক্তি যদি পৃথিবীর সকল ইবাদতে নিজেকে নিযুক্ত রাখল কিন্তু রমজান মাসের রোজা থেকে বিরত থাকলো তাহলে পৃথিবীর সকল ইবাদত বিফলে যাবে। কারণ রমজান মাসের রোজা এমন একটি ইবাদত যেখানে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা এই ইবাদত করার জন্য কুরআন মাজীদে বারবার নির্দেশনা দিয়েছে মানবজাতির উদ্দেশ্যে। কুরআনের এক আয়াতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে হে মানবজাতি যখন তোমাদের কাছে রমজান মাসের রোজা আসবে তোমরা এই রোজাকে কখনো অবহেলা করো না। বা রোজা থেকে বিরত থাকো না তা না হলে তোমাদের জন্য ভয়ংকর শাস্তির অপেক্ষা করছে মৃত্যুর পরে। কারণ তোমরা আল্লাহর দেয়া হুকুম থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলে।
রোজা এমন একটি ইবাদত যা প্রত্যেকটি নবীর উম্মতের ওপর এটা নির্ধারিত ছিল। প্রথম মানব ও নবি আদম (আ.) রোজা পালন করেছিলেন। তবে তিনি কতদিন কিভাবে রোজা পালন করেছেন সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলিল এখনো পাওয়া যায় না। তবে প্রত্যেককেই রোজা পালন করতে হয়েছে এই বিষয়টি সম্পর্কে একদম স্পষ্ট। রমজান মাসের রোজা যেহেতু সারা বছর অপেক্ষার পর মুসলমানদের কাছে ফিরে আসে তাই এই রোজাকে নিয়ে তাদের আগ্রহের শেষ নেই। তাই আমাদের মধ্যে অনেকেরই একটি বিষয়ে জানার আগ্রহ
তুমি কি রোজা রেখেছ in english। অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো জানার প্রয়োজন হয়। আর এই বিষয় গুলো জানার জন্য আমরা ইন্টারনেটে নানান জায়গায় এখানে ওখানে অনুসন্ধান করে থাকি। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান তারা ইন্টারনেটে এখানে ওখানে না খুঁজে আমাদের ওয়েবসাইটটি সিলেক্ট করুন।
Leave a Reply