
আকিকা কত দিনে করতে হয় তা হয়তো অনেকেই জানতে চান। তবে খুব সহজভাবে এটির উত্তর যদি আমরা বলতে চাই তাহলে বলব যে সাত দিনের মাথায় আকিকা করা সুন্নত। পরবর্তী সময়ে আকিকা করলে সেটা শরীয়ত সম্মত হবে কিনা অথবা বৈধ হবে কিনা তা আজকের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় বস্তু। যাদের পরিবারের সন্তান জন্মগ্রহণ করেছেন অথবা যারা এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাদের বলবো যে আপনারা অবশ্যই এই তথ্য অনুসরণ করে এই বিষয়গুলো জেনে নিন এবং সেই অনুযায়ী যদি কাজ করেন তাহলে সঠিক তথ্য অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।
কারন আমরা অনেকেই যখন পরবর্তীতে আকিকা করতে যাই তখন অনেকেই বলে থাকেন যে নতুন নিয়ম অনুসরণ করে আমাদের এই আকিকা গ্রহণযোগ্য হবে না। আল্লাহপাক ক্ষমাশীল এবং প্রত্যেকটি কাজে মানুষের অবস্থা বিবেচনা করে ক্ষমা করেন। আপনার পরিবারে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করার সময় আপনার যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে দেখা যাবে যে আপনি হয়তো আকিকা দিতে পারছেন না। এই বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক ঠিকই বুঝেন এবং আপনার জন্য আকিকা অবশ্যই সুন্নত করা হয়েছে।
তাই যারা বলছে পরবর্তীতে অথবা বড় হয়ে গেলে সন্তানের আকিকা দিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না অথবা সেটা আল্লাহ পাক গ্রহণ করবেন না এ সকল ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসলেই ভালো হয়। সন্তান জন্মগ্রহণ করার সাত দিনের মাথায় পরিবার পরিজনের সকল ব্যক্তিবর্গ একসঙ্গে হয়ে আকিকা করাটা সুন্নত এবং এর মাধ্যমে আপনার সন্তানকে সকলেই দেখার সুযোগ পেল এবং সকলেই দোয়া করার সুযোগ পেল।
সেই সাথে আকিকার বস্তু সকলেই খাবার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি আপনি যদি এটা বন্টন করে দেন তাহলে সকলেই এই ধরনের সুবিধা গ্রহণ করতে লাগলো। তবে সাত দিনের মাথায় যদি আপনি না পারেন তাহলে ১৪ দিনের মাথায় অথবা ২১ দিনের মাথায় আপনারা এই আকিকা করতে পারবেন। যদি খুবই সমস্যা হয় এবং যদি মনে করেন কোরবানির ঈদে যে গরু কিনবেন সেই গরুর সঙ্গে দুইটি ভাগিকার জন্য অথবা নির্দিষ্ট ভাগ আগেকার জন্য নির্ধারণ করে রাখবেন তাহলে তাও হবে।
তবে এটা বলব যে আপনি যদি সাত দিনের মাথায় সন্তানের জন্য সুন্দর নাম নির্ধারণ করে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে আকিকা করতে পারেন তাহলে নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত পালন করতে পারবেন। তবে আপনার যদি সমস্যা হয়ে থাকে এবং আপনি যদি পরে করে থাকেন তাহলে মহান আল্লাহ পাক তা গ্রহণ করবেন এবং এটা বৈধ হবে। তাই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বিবেচনা করে মহান আল্লাহ পাক প্রত্যেকটি মানুষকে ছাড় দিয়েছেন এবং আমরা পরবর্তীতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সন্তানের আকিকা দেওয়ার মাধ্যমে পিতা মাতার হক আদায় করব।
অনেক সময় দেখা যায় যে পিতা-মাতার সামর্থ্য না থাকার কারণে অথবা দাদা-দাদী খুশি হয়ে সন্তানের আকিকা দেওয়ার জন্য টাকা প্রদান করেন এবং আকিকার পশু কিনে দেন। এক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই এবং আপনি সেই পশু নিয়ে আপনার সন্তানের আকিকা করতে পারবেন। তাই আকিকা প্রত্যেকের জন্য সুন্নত করা হয়েছে এবং এটি হল সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়ের ভেতরে আকীকা করলে মহান আল্লাহপাক সেই সন্তানের প্রতি তার কল্যাণের শীতলতার ছায়া প্রদান করেন। তাছাড়া সেই পরিবারের প্রতি রহমত নাযিল হয়ে যায় এবং তাদের উন্নতি হয়। তাই আকিকা কত দিনে করতে হয় এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন বলে আমরা এর বক্তব্য বাড়ালাম না এবং এ বিষয়ে আর কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করতে পারেন।
Leave a Reply