যারা আশুরা বা মহরমের এ জানতে চান তারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এ সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন এবং আশুরার নামাজের নিয়ত কি তা জেনে নিতে পারবেন। আমরা অনেকেই আছে যারা পবিত্র আশুরার দিন রোজা রেখে থাকি। রোজা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দেগি করতে থাকি এবং যে নফল নামাজ রয়েছে সেই নামাজ আদায় করার জন্য চেষ্টা করি।
তাই আপনি যখন আসরের নামাজের নিয়ত জানতে চাইবেন তখন আমাদের ওয়েবসাইট আপনাদেরকে এই নিয়ম জানিয়ে দেবে এবং এই নিয়ম জানার মাধ্যমে আপনারা এই নামাজ আদায় করার সঠিক নিয়ম জেনে নিতে পারবেন। সাধারণত যখন মহররম মাসের ১০ তারিখ হয়ে থাকে তখন তার পূর্বের দিনের দিবাগত রাত হয়ে থাকে পবিত্র আশুরার রাত। তাই আমাদের আশেপাশে অনেক ব্যক্তি রয়েছেন অথবা অনেক মা বোন রয়েছেন যারা পবিত্র আশুরার দিন এবং তার আগের দিন দুইটি রোজা পালন করে থাকেন।
এই রোজা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় সিন্নি রান্না করে গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের প্রথা রয়েছে যে প্রথম অনুসরণ করে আশুরার এই দিনগুলো পালন করা হয়ে থাকে। তবে পবিত্র আশুরার দিনগুলো পালন করার জন্য বিভিন্ন মসজিদে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে এবং কোন কোন দিন রোজা রাখতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
তবে আপনারা যারা আসরের দিনের সম্মানে রোজা রাখতে চাইছেন তাদেরকে বলব যে এই রোজা রাখতে পারলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ফজিলত পাবেন। যেমন আশুরার রোজা রাখার মাধ্যমে আপনাকে দোযখের আগুন স্পর্শ করতে পারবে না এবং সেই আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। এছাড়া আপনারা যখন আশুরার দিনে নামাজ আদায় করবেন তখন যদি ১০ আয়াত কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সারা বছর কোরআন তেলাওয়াতের সওয়াব আপনার এখান থেকে পেয়ে যাচ্ছেন।
তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইটে আসরের নামাজের নিয়ম জানার জন্য ভিজিট করেছেন তাদেরকে বলব যে আশুরার দিনে চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করা যায়। এই নামাজ আদায় করতে হলে আপনারা প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ার পর 25 বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবেন। তাছাড়া যে নিয়মে নামাজ আদায় করতে হয় সেই নিয়তে নামাজ আদায় করবেন এবং এই নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আপনারা 50 বছরের জীবনের গুনাহ মাফ করে নিতে পারবেন মহান আল্লাহ পাকের কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে। সকলকে ধন্যবাদ।
Leave a Reply