বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে ছবি সত্যায়িত করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই যারা এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে একেবারেই নতুন অথবা যারা কেবলমাত্র এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কোন ধরনের বৃত্তির জন্য আবেদন করতে চান তাহলে তাদের সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে ছবি সত্যায়িত করা লাগতে পারে। তাই যদি ছবি সত্যায়িত করতে চান তাহলে
কোথায় করবেন অথবা এটা কেন করার প্রয়োজন রয়েছে সে প্রসঙ্গে জানতে এই পোস্ট ভিজিট করে খুব ভালো কাজ করেছেন। আমরা আপনাদের সামনে সত্যায়িত কেন করতে হয় অথবা সত্যায়িত মানে কি এ বিষয়গুলো যদি বুঝিয়ে দিতে পারি তাহলে অনেকের জন্যই তা ভালো হবে। আপনারা যখন এটার মানে জানতে এসেছেন সেহেতু এখানে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে প্রত্যেকটি বিষয় সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে চলেছি।
আপনি যখন কোন কাগজপত্র সত্যায়িত করবেন তখন আপনাদের বর্তমান অবস্থানে যে সকল প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা রয়েছে তাদের থেকে কাগজপত্র সত্যায়িত করার সুযোগ রয়েছে। তাই যখন কোন চাকরিতে প্রবেশ করবেন অথবা যখন কোন চাকরির ইন্টারভিউ থাকবে তখন সেখানে সত্যায়িত করার বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ কোন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট আপনি দুর্নীতি করে অথবা ডুপ্লিকেট করে তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে সত্যায়িত করে নেওয়ার প্রয়োজন থাকে। আবার একইভাবে বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়িত করার মাধ্যমে এগুলো আপনার কিনা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয় বলে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করে এবং কাজের ক্ষেত্রে অথবা বৃত্তির ক্ষেত্রে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
পক্ষে আপনি যদি কাগজপত্র সত্যায়িত করতে চান তাহলে এই সত্যায়িত শব্দের অর্থ হল সত্যতা যাচাই করা হয়েছে এমন কিছু। ইংরেজি পরিভাষায় এটাকে এটেস্টেশন বলা হয়ে থাকে। তাই যখন কোন তথ্য আপনার নিশ্চিত রূপে বলা হবে অথবা প্রমাণ করা হবে অথবা স্বাক্ষর প্রদান করার মাধ্যমে সেটার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে তখন সেটাকে সত্যায়িত বলা হয়ে
থাকে। অর্থাৎ আপনি যে সকল কাগজপত্র নিয়ে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তাদের কাছে যাবেন তারা যখন আপনার ফেস দেখে এবং কাগজপত্র সত্যতা দেখে সিগনেচার প্রদান করবে এবং সত্যায়িত লিখে দিবে তখন অবশ্যই সেই কাগজপত্র আপনারা নির্দ্বিধায় যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে বর্তমান যুগে প্রত্যেকটি কাগজের ক্ষেত্রে সত্যতা থাকার পরও এই ধরনের ঝামেলায় যখন কোন প্রার্থী গিয়ে থাকেন তখন সময় নিয়ে এ বিষয়গুলো করতে হয়। কারণ প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তারা সব সময় ব্যস্ত থাকেন এবং যদি ডাক্তার হয়ে থাকে তাহলে বাইরে নোটিশ দিয়ে লিখে দেওয়া হয়ে থাকে যে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে সত্যায়িত করার জন্য
অনুরোধ করা হলো। কিন্তু জরুরী ভিত্তিতে আপনার যদি কোন কাগজপত্র সত্যায়িত করার প্রয়োজন থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজ নিজ বিভাগ থেকে এগুলো করে নিতে পারলে খুব ভালো হয়। অর্থাৎ আপনি যদি সরকারি কলেজে পড়াশোনা করে থাকেন এবং সেখানে যদি বিসিএস ক্যাডার থাকে তাহলে সত্যায়িত করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।
তাই আপনারা যদি কোন কাগজপত্র সত্যায়িত করতে চান তাহলে সেই সত্যায়িত করার জন্য অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে রিকোয়েস্ট করবেন। আর আপনি যদি কোন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে থাকেন তাহলে সেখানে শ্রেণী শিক্ষকের থেকেও এটা সত্যায়িত করে নেওয়া যাবে।
তাই আপনি যে সকল সার্টিফিকেট অথবা ছবি ব্যবহার করার মাধ্যমে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে চাইবেন তখন এই কাগজপত্র আপনার কিনা সে বিষয়ে নিশ্চই তা প্রদান করার জন্যই প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের দিয়ে যে সিগনেচার প্রদান করে নেওয়া হয় সেটাই হল সত্যায়িত করা। তাই সত্যায়িত করার মধ্য দিয়ে আপনার কাগজপত্রের যথার্থতা যাচাই করুন এবং নিশ্চিত করে তুলুন যে এগুলো আপনার কাগজপত্র।
Leave a Reply