যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা রয়েছে তাদের সেই বাচ্চাগুলো অনেক সময় এত পরিমান কান্নাকাটি করতে থাকে যে আমাদের কাছে তার জন্য খারাপ লাগে। তাই কোন বাচ্চা কোন কারণ ছাড়াই যদি ক্রমাগতভাবে কান্না করতে থাকে তাহলে এই কান্না বন্ধ করার দোয়া অথবা এই কান্না থামানোর উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। মা অথবা একজন বাবা হিসেবে শিশু সন্তানের প্রতি যদি আপনি দায়িত্ববান না হোন অথবা তাদের প্রয়োজনীয়তা যদি না বোঝেন তাহলে দেখা যাবে যে সেই বাচ্চাটির অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
এ দিনের পর দিন কোন বাচ্চা যদি কোন কারণ ছাড়াই কান্না করতে থাকে অথবা কোন বাচ্চা যদি মায়ের বুকের দুধ না খেয়ে থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনারা কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবেন তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন। বাচ্চারা যেহেতু নিষ্পাপ এবং তাদের সমস্যার কথা খুলে বলতে পারে না সেহেতু আপনারা পিতা-মাতা হিসেবে এগুলো অবশ্যই পরখ করবেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হয়ে থাকেন তাদের কাছে এই ধরনের অভিজ্ঞতা থাকে না। আবার অনেকেই আছেন যারা প্রথম সন্তান হওয়ার সময় পরিবারের কোনো অভিজ্ঞ সদস্যকে কাছে পায় না বলে বাচ্চা কি কারণে কান্না করছে এ বিষয়গুলো বুঝতে পারেন না। সাধারণত একজন বাচ্চা যদি ক্রমাগতভাবে কান্না করতে থাকে তাহলে দেখা যাবে যে তার মা যেমন দুশ্চিন্তা করবে তেমনি ভাবে মায়ের স্বাস্থ্য এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য উভয়ের স্বাস্থ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণ পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে আগে সমস্যার উচ্চ খুঁজে বের করতে হবে।
যখন বুঝতে পারবেন বাচ্চার কান্নার আসল কারণ তখন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি খাবারে অরুচি অথবা মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার কারণে পেটের ভেতরে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তারা হলে তারা যেমন খাবার গ্রহণ করবে না তেমনি ভাবে খাবার গ্রহণ করতে না পারার কারণে কান্না করবে। একজন নবজাতকের মা হিসেবে আপনাদেরকে অবশ্যই সুন্দরভাবে তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং তাকে দায়িত্ব সঙ্গে পালন করতে হবে। সমস্যা যদি শারীরিক হয়ে থাকে তাহলে তাকে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে যাতে করে আপনি এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পান এবং বাচ্চাও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ হতে পারে।
তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় যে বাচ্চাদের উপরে ভূত-প্রেতের আছোর পরে এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা যদি একজন অভিজ্ঞ মৌলানানা থেকে সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা নেন অথবা সেই অনুযায়ী তাবিজ নিয়ে সেটা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে। তাই বাচ্চার কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেটা আপনাদেরকে আগে অবলোকন করতে হবে এবং সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং সেটা যদি অন্য কোন সমস্যা হয় তাহলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন আমলের চেষ্টা করতে হবে। কলেজে এই পোষ্টের মাধ্যমে শিশু বাচ্চার কান্না থামানোর জন্য কি আমল করতে হবে তা বুঝতে পারবেন।
Leave a Reply