বাংলাদেশের মানচিত্র যেমন আপনাদেরকে প্রদান করেছি তেমনি ভাবে এদেশের মধ্য দিয়ে অনেক নদী বয়ে চলেছে এবং তা বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে যে সকল নদী বয়ে চলেছে সেগুলোর মানচিত্র প্রদান করলাম এবং মানচিত্র দেখলে বুঝতে পারবেন কোন কোন জেলার উপর দিয়ে কোন কোন নদী বয়ে চলেছে এবং কিভাবে কোথায় গিয়ে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।
তাই আপনাদের জন্য এই নদীগুলোর গতিপথের চিত্র সম্বলিত মানচিত্র প্রদান করা হলো যাতে করে আপনারা এগুলো দেখে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অথবা অ্যাডমিশনে এই তথ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক ক্ষেত্রে কমন আসে বলে অবশ্যই আপনারা এই বিষয়ের উপর প্রিপারেশন নিবেন। তাহলে কোন না কোন ক্ষেত্রে কমন পেয়ে যাবেন এবং সঠিক উত্তর প্রদান করতে পারবেন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেসকল নদী রয়েছে সে সকল নদীগুলো বাইরের দেশ থেকে অথবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে পতিত হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের এই নদীগুলো সম্পর্কে আমাদেরকে ধারণা অর্জন করতে হবে এবং এদেশের প্রধান প্রধান নদী গুলো থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উপনদী এবং শাখা নদী রয়েছে।
প্রায় ৭০০ এর অধিক নদী আমাদের বাংলাদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে বলে এদেশের মাটি অনেক সুজলা সুফলা এবং উর্বর। নদীর কারণে আমাদের দেশে কৃষি প্রধান দেশ হয়ে উঠেছে এবং এদেশে খুব সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি কৃষি পণ্য ফলে। তাই নদীর গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশে অপরিসীম এবং নদীর মাধ্যমে আমরা পানির চাহিদা পূরণ করতে পারি বলে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে বলে এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাই আপনারা যখন নির্দিষ্ট ভাবে নদীর তথ্য জানতে চাইবেন তখন বলব যে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য নদী হল পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি। এ সকল নদী ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরো অনেক নদী রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং নদীর উপর নির্ভর করে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় গড়ে উঠেছে। তাই আপনারা যখন নদী সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবেন তখনই মানচিত্র দেখে নিবেন এবং পাঠ্য বই পড়ার চাইতে এই মানচিত্র বারবার দেখলে আপনাদের খুব সহজে বিষয়গুলো আয়ত্তে চলে আসবে।
সাধারণত আপনি যদি পদ্মা নদী সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে বলবো যে তা হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে চলে এসেছে এবং বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভেতর দিয়ে পতিত হয়ে রাজবাড়ির গোয়ালন্দুতে মিলিত হয়েছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদী কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে এবং তা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দুইটি শাখায় ভাগ হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে একটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র হয়ে চলে গেলেও আর একটা নদী যমুনা হয়ে পদ্মা সেতে মিলিত হয়ে সেটা পদ্মা নামে চাঁদপুরে এসে মিলিত হয়েছে। এভাবে সিলেট জেলার ভেতর দিয়ে সুরমা এবং কোশিয়ারা নদী একত্রিত হয়ে মেঘনা নাম গ্রহণ করেছে এবং তা পরবর্তীতে মেঘনা নাম হয়ে পদ্মা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মেঘনা নদীর নাম ধরে সরাসরি বঙ্গোপসাগরের পতিত হয়েছে।
এভাবে আমরা যদি নদীগুলো ধরে ধরে পড়তে যাই তাহলে দেখা যাবে যে একটি নামের সঙ্গে অন্যান্য একটি নাম মিলে যেতে পারে এবং আমাদের ভুল হতে পারে। সকল দিক বিবেচনা করে আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নদীর এই মানচিত্র সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে এবং আমরা আপনাদের সামনে এই মানচিত্র প্রদান করছি বলে সেখান থেকে আপনারা বিভিন্ন নদীর উৎপত্তিস্থল দেখে নিতে পারবেন। সেই সাথে কোন উল্লেখযোগ্য নদী বাংলাদেশের কোন জেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে তা জানতে পারবেন এবং কোথায় গিয়ে মিলিত হয়ে কি নাম ধারণ করেছে তাও জানতে পারবেন। তাই বাংলাদেশের নদীর মানচিত্র আপনার এখান থেকে বিস্তারিত দেখে নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাখা নদী ও উপনদী সম্পর্কে ধারণা অর্জন করুন।
Leave a Reply