
সাধারণত প্রতিটা রোমান্টিক গল্প বেস্ট হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটা গল্প এক একটা থেকে আলাদা বলে আমরা প্রত্যেকটা নতুন আঙ্গিকে পড়ার সুযোগ পাই। তারপরও আপনারা যারা মনে করছেন সবচাইতে বেশি রেটিং পেয়েছে এমন রোমান্টিক গল্প করব অথবা সবচাইতে বেশি মানুষের ভালো লেগেছে এমন রোমান্টিক গল্প করবো তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভালো করেছেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে বেস্ট রোমান্টিক গল্প প্রদান করব যেগুলো আপনারা পড়ে আনন্দ পাবেন এবং আপনাদের কাছে মনে হবে এই গল্পগুলো আসলেই বেস্ট রোমান্টিক গল্প। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রেটিং এর ওপরে ভিত্তি করে অথবা বিভিন্ন মানুষের ভালোলাগার উপরে ভিত্তি করে আমরা এই গল্পগুলো সংগ্রহ করেছি এবং আমাদের ওয়েবসাইটে প্রদান করেছি যাতে রোমান্টিক গল্প পিপাসু মানুষেরা এখান থেকে রোমান্টিক রোমান্টিক গল্প পড়তে পারে।









আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের গল্পগুলো যখন সামনে আসে তখন পড়ার চেষ্টা করি এবং সময় না পেলে সেই গল্পগুলো হয়তো অনেকে নোটে সেভ করে রাখে। তবে আপনি যখন গল্পগুলো পড়ার চেষ্টা করেও পরবর্তীতে হারিয়ে ফেলেন তখন সেই গল্পের নাম ধরে গুগলে সার্চ করলে তা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। কোন একটা গল্প পড়তে চাইবেন অথচ সেটা বিভিন্ন বাধার কারণে পড়তে পারবেন না সে ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে আপনাদের এ ধরনের কোন ঝামেলা হবে না। তাই যেকোনো ধরনের গল্প করতে চাইলে আপনারা এসে ইন্টারনেটে সার্চ করবেন এবং এই ইন্টারনেট সার্চ এর উপরে ভিত্তি করে আমরা আপনাদেরকে বেস্ট গল্পগুলো প্রদান করতে চলেছি। রোমান্টিক গল্প পড়লে যেমন আপনি একজন রোমান্টিক মানুষে পরিণত হতে পারবেন তেমনি ভাবে আপনার প্রিয়তম মানুষের সঙ্গে কিভাবে কথাবার্তা চালিয়ে যাবেন সেটাও বুঝতে পারবেন।
যেকোনো বয়সী মানুষের কাছে রোমান্টিক গল্পগুলো সব সময় আবেদনের সৃষ্টি করে অথবা রোমান্টিক গল্পগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা দুজন নারী পুরুষের গল্প শুনতে পাই বলে এ বিষয়ে আমাদের আগ্রহ অনেক বেশি। তাছাড়া বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব ভিডিও এবং বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক ভিডিও থেকে আমরা এই ধরনের গল্প গুলো পড়ার অথবা গল্প গুলো জানার সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে বলে লিখিত তথ্যগুলো পড়তে চাই। আপনি যদি ভিডিও দেখার চাইতে গল্প পড়তে পছন্দ করেন তাহলে বলব যে গল্প পড়াটাই সবচাইতে ভালো। কারণ এর মাধ্যমে আপনার চিন্তাভাবনার জগত অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি যখন একটা লিখা পড়ছেন তখন সেটার মধ্য দিয়ে আপনি নিজেকে অন্য একটা জগতে কল্পনা করতে পারবেন।
রোমান্টিক গল্পগুলো পড়ার মধ্য দিয়ে আপনার ভেতরে যেমন ভাষারীতি এবং শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পাবে তেমনি ভাবে আপনি এই গল্পগুলো পড়ার মধ্যে দিয়ে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সাথে কিভাবে কথা বলে অথবা একজন মানুষের সঙ্গে একজন মানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে কিভাবে গড়ে ওঠে তা বুঝতে পারবেন। জীবনে আমাদেরকে বিভিন্ন সম্পর্কের সঙ্গে খুব সুন্দর ভাবে চলতে হয় বলে আমাদের এ বিষয়গুলো জানাটা জরুরী এবং যারা মনের দিক থেকে খুব একটা কথা বলে কোন মানুষকে ইম্প্রেস করতে পারেন না তাদের জন্য এই রোমান্টিক গল্পগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
- একদিন আমার চাচাতো ভাই ফোন দেয়। খুব অবাক হয়েছিলাম, কারণ তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো না। যাই কিছু হয়ে যাক তারা নিজ থেকে কখনো কল দিবে না। না চাইতেও কল রিসিভ করি। তারপর সে যা বললো তা বিশ্বাস করা আমার জন্য খুবই কষ্টদায়ক বিষয়। সে বললো, মা নাকি আমার বউকে বকাঝকা করে। ছোট ভাই নাকি আমার বউয়ের গায়ে হাত উঠায়। এগুলো বিশ্বাস করা সত্যি খুব কষ্টের। আমি বিশ্বাস করিনি আমার ভাই মা কেমন তা আমি জানি।
- দুদিন পর রাতে আবারো চাচাতো ভাইয়ের কল। বিরক্তি নিয়ে কল রিসিভ করে আমি অবাকের চরম পর্যায়। চাচাতো ভাই কেঁদে বলছে আমি যেনো তাড়াতাড়ি গ্ৰামে আসি। কেনো যেনো মনটা অস্থির হয়ে গেলো। যত দ্রুত সম্ভব মেস থেকে বের হয়ে গাবতলী গিয়ে ঠাকুরগাঁও এর টিকেট কেটে গাড়িতে চরলাম।
- রাস্তায় প্রচুর জ্যাম থাকার কারনে বাড়ি পৌঁছাতে দুপুর একটা বাজে। বাড়ির সামনে আসতেই শুনতে পারি আমার শ্যামলা বউয়ের চাপা কান্নার স্বর। বাড়ির মেন গেটের সামনে তাজ্জব হয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকি আমার মার ভিন্ন রুপ।
- মা খুব জোরে আমার শ্যামলা বউয়ের কোকড়ানো ঢেউ খেলা চুল মুঠি বদ্ধ করে রেখেছে। আর বলছে, ‘ওই বিদেশীনি জলদি ক আমার চান্দের মতো সুন্দর পোলার তোর মতো কালি বেডিরে বিয়া করবো কে? কি তাবিজ করছস ক তুই নাইলে এক্কেবারে তোর জান কবজ কইরা দিমু। কুনোদিন হুনছস সাদা পোলায় কালা মাইয়া বিয়া করে? কি তাবিজ করছস ক!’ এমন আরো নানা রকম কথা বলছে। বিশ্রী বিশ্রী কয়েকটা গালিও দিচ্ছে। মা আমার বউয়ের শ্যামলা রঙ নিয়ে এমন করছে অথচ ওর এই শ্যামলা রঙটাই আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমার সারা শরীর ঠান্ডা অনুভব হচ্ছিলো তখন। আমি মেন গেট থেকে একটু পিছে চেপে এলাম। পকেট থেকে ফোন বের করে ছোট ভাইয়ের নাম্বারে কল দিলাম। ছোট ভাই কল ধরে এই সেই জিজ্ঞাস করলো। আমার শ্যামলা বউয়ের কথা উঠালেই থামিয়ে দিচ্ছে। আমি ধমক দিয়ে বললাম ও’কে ফোন দিতে। বউ ফোন ধরে চুপ করে আছে। তারপর আমি প্রশ্ন করলাম, ‘কি করছ?’ বউ স্বাভাবিক ভাবে বললো, ‘রান্না করছি।’ আমি ফোনটা কেটে দিলাম। বাড়ির ওপাশে দাঁড়িয়ে মানুষজন বউয়ের মার খাওয়া দেখছে কিছু বলছে না দেখে হাসলাম একটু। চাচাতো ভাইকে কল দিলাম তার সাথে কথা বলে তাদের বাড়িতেই আজ উঠলাম। এখন আমি বাড়ি যাব না, আরেকটু পর যাব। এক ঘন্টা পর আমাদের বাড়ির চিল্লাচিল্লি কমলো। এই সময় সবাই খেতে বসে। আমি উঠে বাড়ির দিকে হাঁটা দিলাম। বাড়িতে ঢুকার সাথে সাথে দেখি ছোট ভাই একটা বাটি আমার শ্যামলা বউয়ের মাথার উপর ছুড়ে মারলো।
- হঠাৎ আমাকে দেখায় ভাই এবং মা দুজনই কিছুটা ঘাবড়ে যায়। আমার কাছে এসে নানারকম মিথ্যা বানোয়াট কথা বলতে থাকে বউকে নিয়ে। শ্যামলা বউয়ের দিকে তাকিয়ে দেখি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে সে। আমি কাছে গিয়ে নিজের শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে একটা থাপ্পড় লাগাই। এই থাপ্পড় টা ছিল ওর নীরবতার জন্য। মা আর ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে বললাম, ‘ভালো থেকো মা। আমার বউকে সহ্য করতে তোমার কষ্ট হচ্ছে আগেই বলতে পারতে আমি তোমাকে বেছে ওকে ছেড়ে দিতাম। কিন্তু তুমি তা না করে যা করেছ তার জন্য আমি তোমাকে ছেড়ে ওকে বেছে নিলাম।’
- তখন ওই অবস্থাতে শ্যামলা বউকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম সেই বাড়ি থেকে যেখানে আমার ভালবাসাকে অসম্মান করা হয়েছে। এখন একই অবস্থায় বাস কাউন্টরে বসে ভাবছি শ্যামলা বউকে নিয়ে একাই আমি সুখের রাজ্যে পাড়ি জমাবো। একটু পর টের পেলাম আমার কাঁধে মাথা হেলিয়ে দিয়েছে শ্যামলা বউটা। আমি খুব যত্ন করে ওর কপালে একটা চুমু খেলাম। শ্যামলা বউয়ের পানে তাকালাম! ওর চোখে আমার জন্য দেখতে পেলাম অনেক ভালোবাসা, অনেক শ্রদ্ধা, অনেক বিশ্বাস।
রোমান্টিক গল্পগুলো যেমন আমাদের কাছে প্রিয় তেমনি ভাবে যে কোন মানুষের কাছে আপনি যদি এগুলো স্বীকার করেন তাহলে তাদের কাছেও হয়তো অনেক প্রিয় হবে। তাছাড়া আপনার যদি মনের মানুষ থেকে থাকে তাহলে আপনি যদি তাকে এ ধরনের বেস্ট গল্পগুলো পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন তাহলে তিনিও এই গল্পগুলো পড়তে পারবেন। আপনাদের ফ্রেন্ড লিস্টে যদি অনেক বন্ধু থেকে থাকে তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে পোস্ট করলে তারা এই গল্পগুলো পড়ার সুযোগ পাবে এবং বিভিন্ন গ্রুপে আপনি যদি সংযুক্ত থাকেন তাহলে গল্পের লেখকের নাম উল্লেখ করে এই গল্পগুলো পোস্ট করলে খুব সহজেই মানুষজন গ্রহণ করবে এবং পড়তে পারবে। তাই রোমান্টিক গল্প পড়ুন এবং মনের দিক থেকে রোমান্টিক হয়ে উঠুন।
Leave a Reply