
শুভ জন্মদিন ভাইয়া। আজ তোমার জন্মদিন এই দিনটাতে সৃষ্টিকর্তা তোমাকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল। তুমি আমার কাছে সৃষ্টিকর্তার পাঠানো শ্রেষ্ঠ উপহার।
তুমি সব সময় আমাকে আমার সবকিছুতে সাহায্য কর। আমার লেখাপড়ায় আমার ছোট ছোট ইচ্ছা গুলো তুমি পূরণ কর ।ভাইয়া আবার একবার বলি শুভ জন্মদিন, কারণ তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করতে আমি পারবো না, একমাত্র আমি আর আমার সৃষ্টিকর্তা জানে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি ।আচ্ছা ,ভাইয়া তোমার মনে আছে ,ছোটবেলায় আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে কত উপহার দিতে ।আমি কখনো তোমার জন্মদিনে কোন উপহার দেইনি ।কিন্তু ,আজ আমার জমানো টাকা থেকে তোমাকে একটা ছোট উপহার দিতে চাই ।আমি জানি আমার উপহার যতই ছোট হোক না কেন, সেটা তোমার কাছে খুব স্পেশাল হবে ।তোমার এই স্ট্যাটাসটা পড়ার সময় হয়তো এটা খুব ভালো লাগবে ।তুমি হয়তো ইমোশনাল হয়ে পড়বে যে ,তোমার ছোট বোন কবে এত বড় হয়ে গেল ।কিন্তু ভাইয়া এটা সত্যি যে আমি এবং মা-বাবা তোমাকে খুব ভালোবাসি। নিজের জীবনের চেয়েও হয়তো বেশি ভালোবাসি।
আর একটা কথা আমার এই চিঠি র উত্তর কিন্তু তুমি লিখবে। আমার চিঠি পড়তে খুব ভালো ভালো লাগে। আমি মা বাবা কখনো হয়তো তোমাকে বলতে পারিনি, যে আমরা তোমাকে কত ভালোবাসি ।তুমি আমার বেস্ট ব্রো।
আজ জন্মদিনের দিনে প্রার্থনা করলে সেটা পাওয়া যায় সেজন্য আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে তোমার জন্য অনেক প্রার্থনা করব ।সৃষ্টিকর্তা যেন তোমার সকল স্বপ্ন পূরণ করেন ।তুমি যেন জীবনে অনেক খুশি হও ।তুমি আমাদের সবসময় খুশিতে রাখো। তোমার জীবনে আগামী পথগুলো যেন সুন্দর হয় তুমি সুস্থ থেকো ভালো থেকো।
কোন রোগ যেন তোমাকে স্পর্শ না করে ।এটাই আমার প্রার্থনা। তুমি যেন সবসময় হাসতে থাকো।
ভাইয়া তুমি বাসায় আসলে ,আমরা তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চাই। তোমার জন্মদিন সেলিব্রেট করতে চাই। তুমি সবসময় আমাদের সারপ্রাইজ দাও ,তাই আমিও এবার তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চাই। জলদি তুমি বাসায় আসো।
ভাইয়া তুমি সব সময় আমাদের খেয়াল রাখো ।আমাদের কেয়ার করো ।তুমি ছিলে বলে আমি কোনদিন একা অনুভব করিনি ।তুমি সব সময় বট বৃক্ষের মতো আমাকে আগলে রেখেছো ।তুমি পাশে থাকলে আমার কোন ভয় নেই। তুমি থাকলে আমার নিশ্চিন্ত অনুভব হয়।
ছোটবেলায় এরকম অনেক দিন আছে ,যেটা আজ আমার মনে হয় সেটা হল ,আমি দোষ করলেও মায়ের কাছে সব সময় তুমি আমার দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিতে ।আর মায়ের বকুনি থেকে আমাকে বাঁচিয়ে দিতে। তুমি নিজের পকেট মানি থেকে টাকা বাঁচিয়ে আমার জন্য উপহার, জামা, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে আসতে। মনে আছে আম্মু যখন আমাকে ফুচকা খেতে দিত না তখন স্কুলের বাইরে তুমি আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে ফুচকা খাওয়াতে ।কারণ তুমি জানতে ফুচকা আমার কত পছন্দের।
আমি ফাস্টফুড খেতে পছন্দ করি তাই তুমি সন্ধ্যা বেলা কত ফাস্টফুড কিনে নিয়ে আসতে। যেমন পিজ্জা ,বার্গার ,সমাচার, সিঙ্গারা মোগলাই ,চিকেন রোল ,এগ রোল, আইসক্রিম আরো কত কি। মনে পড়ে সেই দিনগুলো কত সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো ।আমার তো আর অপেক্ষা হচ্ছে না ভাইয়া। তুমি জলদি বাসায় আসো ।তারপর খুব মজা হবে তুমি আসলে মা অনেক ভালো ভালো রান্না করবে ।তোমার পছন্দের সব খাবার রান্না হবে বিরিয়ানি ,মাংস ,মোরব্বা, কোরমা, রাব্ব্রি তোমার যা যা ভালো লাগে ।সব রান্না করবে মা তোমার সাথে আমিও মজা করে খাব ।আচ্ছা ভাইয়া আমার সালাম নিও। আমার শ্রদ্ধা ভালবাসা রইল তোমার প্রতি ।
আম্মু আব্বু তরফ থেকে ভালোবাসা নিও।
আম্মু আব্বু সুস্থ আছেন ।আম্মু আব্বু এবং আমি মিলে তোমার বাসায় আসার অপেক্ষায় আছি ।তুমি বাসায় আসবে বলে আমরা তোমার জন্য সারপ্রাইজ প্ল্যান করছি ।
ছোটবেলায় তোমার জন্মদিন তুমি কোনদিন বড় করে পালন করনি ।তুমি সব সময় আমাদের কথায় ভেবেছো। নিজের কথা কোনদিন ভাবোনি তুমি। আমাদের কাছে একটা বড় সাপোর্ট তুমি ।আমাদের সবকিছু, তাই আজ তোমার জন্মদিন আমাদের কাছে খুব বড় একটা দিন। সর্বশেষে আবারো বলি শুভ জন্মদিন ভাইয়া।
শুভ হোক তোমার আগামী জীবনের পথ চলা। আলহামদুলিল্লাহ।
Leave a Reply