বর্তমান সময়ের নতুন নিয়ম অনুসারে বয়স্ক ভাতা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। অতীতে বয়স্ক ভাতা প্রদান করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত একটি দিন দেওয়া হতো এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এলাকার মানুষকে ডেকে নিয়ে এই ভাতা প্রদান করা হতো। যেহেতু বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা বয়স্ক হয়ে থাকেন সেহেতু তারা অনেকেই সেখানে উপস্থিত থেকে সেই টাকা গ্রহণ করার সময় অনেকে অসুস্থ হয়ে যায় এবং অনেকের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
তাছাড়া বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সকলের হাতে মোবাইল ফোন থাকার সুবিধার্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা প্রদান করাতে সকল সুবিধা হয়েছে। এমনকি টাকা প্রদান করার ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা প্রদান করে থাকে যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন করার সময় পুরো টাকায় পেয়ে যান।
তাই আজকে আপনাদেরকে আমরা বয়স্কদের মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে বুঝিয়ে দেবো এবং এই মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন এবং কোন খানে যদি তথ্য বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের মন্তব্য বক্সে জানিয়ে দেবেন। যারা বয়স্ক ভাতার টাকা আগে এনালগ পদ্ধতিতেই পেত তাদেরকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা গ্রহণ করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবস্থা চালু করা হয়। বয়স্ক ভাতার মোবাইল ব্যাংকিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ বয়স্ক ভাতার টাকা রকেট, বিকাশ, নগদ এবং অন্যান্য মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।
যদিও অনেক মানুষ পড়ালেখা জানেন না বলে এই টাকা কিভাবে উত্তোলন করতে হবে এবং মোবাইল নাম্বারে কিভাবে টাকা আসবে তাতে করতে পারেন না বলে অনেকের টাকা মিসিং হয়ে যায়, তারপরেও অনেকের জন্য এটা সুবিধাজনক হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা শুনতে পেরেছে যে বয়স্ক ভাতার টাকা অন্য মানুষ উত্তোলন করে নিয়ে ভাতা প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি টাকা আসেনি। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোন দোষ নেই এবং তারা সবসময়ই এই টাকা প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন।
তাই আপনি যদি বয়স্ক ভাতার জন্য বর্তমানের নিয়ম অনুসারে অনলাইনে আবেদন করে মনোনীত হয়ে যান তাহলে আপনাকে একটি মোবাইল ব্যাংকিং এর অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যদি অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে তাহলে নতুন করে অ্যাকাউন্ট ওপেন করার প্রয়োজন নেই। একাউন্টের নাম্বার এবং পিন নাম্বার যদি মনে থাকে তাহলে আপনারা সব সময় সেই একাউন্টে নিজেরা ব্যবহার করবেন এবং অন্য কাউকে দিয়ে ব্যবহার করাতে হলে অবশ্যই পরিবারের বিশ্বস্ত সদস্যকে দিয়ে করাবেন। নির্ধারিত সময় পর বয়স্ক ভাতার টাকা প্রদান করা হয় এবং আশেপাশের যারা বয়স্ক ভাতার টাকা পায় তাদের থেকে খোঁজখবর রাখুন।
যখন টাকা আসবে তখন আপনি আপনার মোবাইল ফোন অর্থাৎ যে নাম্বার দিয়ে বয়স্ক ভাতার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলা হয়েছে সেই নাম্বার নিয়ে আপনারা টাকা উত্তোলনের দোকানে গিয়ে পিন নাম্বার বলে দিলেই তারা আপনাকে টাকা উত্তোলন করে দিবে। তবে অনেকেই বয়স্ক ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং এর অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে নিজের জন্ম সাল ব্যবহার করে থাকেন বলে অনেক সময় অনেকের সমস্যা হয়। তবে আপনি যদি চার ডিজিটের ইউনিক একটি সংখ্যা ব্যবহার করেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো এবং এই ইউনিক পিন নাম্বার আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা বয়স্ক ভাতার টাকা পায় এবং তাদের থেকে আমরা যদি নিয়মিত খোঁজখবর রাখে তাহলে কোন সময়ে টাকা একাউন্টে সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সে বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারব। তাই টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই খোঁজখবর রাখতে হবে যে এই টাকা কবে আসছেন এবং টাকা আসলে অবশ্যই মোবাইল নাম্বার এবং পিন নাম্বার নিয়ে দোকানদারের কাছে গেলে তারা আপনাকে টাকা উত্তোলন করে দেবে।
বয়স্ক ভাতার মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত কোনো তথ্য যদি আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের মন্তব্য করা যায় দেবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের অভিজ্ঞ টিম আপনাদেরকে সব সময় সেই ধরনের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করবে। সকলেই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Leave a Reply