
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের সামনে রেখে ব্রাজিল তাদের ২৬ দলের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। ব্রাজিলের ২৬ দলের স্কোয়াডে তেমন কোন চমক নেই বললেই চলে। সাধারণত গত কয়েক বছর ধরে যারা ভাল পারফরম্যান্স দেখে আসছে তাদেরই স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ছোটখাটো দুই একটি চমক রয়েছে তবে পুরো স্কোয়াড জুড়ে ব্রাজিলের সেরা তারকাদের ছাড়া নতুন কোন খেলোয়াড় কে দেখা যায়নি। আমাদের আজকের পোস্টে আমরা ব্রাজিলের পুরো স্কোয়াড নিয়ে আলোচনা করব এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের ছবি সহ ক্যারিয়ার নিয়ে এনালাইসিস করব। আশা করি আমাদের আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং ব্রাজিল দল সম্বন্ধে অজানা তথ্যগুলো জেনে নিবেন।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ ব্রাজিলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ গত চার বছর ধরে বিশ্বকাপে খুব ভালো পারফরম্যান্স ব্রাজিল দেখাতে পারেনি। ২০০৬ থেকে শুরু করে ২০১৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্রাজিলের সর্বোচ্চ সাফল্য হলো সেমিফাইনাল। ২০১৪ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দল ছিল ব্রাজিল। সেই বিশ্বকাপে সমর্থকরা ব্রাজিলের কাছে একটি শিরোপা প্রত্যাশা করলেও সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি স্বাগতিক ব্রাজিল দল। ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ভালো ফুটবল খেললেও সেমিফাইনালে গিয়ে পা হরকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তারা। সে বছর উড়তে থাকা জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে পরাজিত হয় তারা। সেই বিশ্বকাপে এত বড় হারের ক্ষত এখনো শুকায়নি তাদের।
ব্রাজিল খেলোয়াড়ের নাম ও ছবি পিকচার ডাউনলোড
ব্রাজিল দলের ছবি পিকচার ডাউনলোড
২০১৮ বিশ্বকাপের ব্রাজিল দলটি যথেষ্ট শক্তিশালী থাকলেও কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়ে বেলজিয়ামের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হতে হয়। বেলজিয়ামের গোলকিপার থিবো করতোয়া একাই রুখে দেন তাদের। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ খেলা নেইমাররা সেদিন গোল মুখ খুলতে পারেননি। বেলজিয়াম তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে ব্রাজিলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়।









২০১৮ সালে বিশ্বকাপ থেকে এমন ভাবে বিদায় নেওয়ার পর কোচ তিতে পুরো ব্রাজিল দলকে ঢেলে সাজাতে শুরু করে। এরপর যথেষ্ট ভালো খেলতে থাকা ব্রাজিল দল ২০২১ সালে আর্জেন্টিনার কাছে কোপা ফাইনালে ১-০ গোলে হেরে যায়। যদিও গত কয়েকটি ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে তারা।
অনলাইনে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার নিয়ম
বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা অনলাইনে দেখার লিংক
২০১৮ সালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ব্রাজিল ইউরোপের দলের সাথে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে। ইউরোপের দলগুলো বরাবরই দক্ষিণ আমেরিকার দল গুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে। ২০১০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল নেদারল্যান্ডস এর কাছে ২-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে বড় হার এবং ২০১৮ সালে বেলজিয়ামের কাছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রতিবারই বিশ্বকাপে ইউরোপের দলগুলোর কাছে হোঁচট খেতে হচ্ছে ব্রাজিল দলকে। শুধু ব্রাজিলই নয়, ল্যাটিন আমেরিকার দলগুলো বেশিরভাগ সময় ইউরোপের দলগুলোর কাছে হেরেই বিশ্বকাপ শেষ করে।
২০০৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি এরপর 2010 সালে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ২০১৪ ও ১৮ সালে যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি ও ফ্রান্স। গত চারটি বিশ্বকাপের তিনটি ইউরোপের কোন দল জিতেছিল। এটাকে আমরা বুঝতে পারছি ইউরোপের দলগুলো বিশ্বকাপে কতটা শক্তিশালী হয়ে আসছে। ইউরোপের দল গুলোকে মোকাবিলা করা ব্রাজিল দলের জন্য ভীষণ কঠিন হতে পারে।
ইউরোপের প্রতিটি দল অনেক ফাস্ট ফুটবল খেলে। তাদের আধুনিক ফুটবল কৌশলের সামনে অন্যান্য মহাদেশের দলগুলো খুব একটা দাঁড়াতে পারে না। যদিও এবছর ল্যাটিন আমেরিকার দলগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী এবং তারাও শিরোপা জেতার লক্ষ্য নিয়েই কাতারে এসেছে।
ব্রাজিল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ছবিসহ ক্যারিয়ার বিস্তারিত আমাদের সাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রতিটি খেলোয়াড় তাদের ক্যারিয়ারে কত সংখ্যক ম্যাচ খেলেছেন এবং কোন কোন দলের সাথে তাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল তা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এ বিশ্বকাপ হয়তো নেইমারের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। নেইমার নিজের মুখেই এই কথাটি বলেছিলেন। তাই ব্রাজিল দল চাইবে এ বিশ্বকাপটি জিতে স্মরণীয় করে রাখতে। ব্রাজিলের সম্পূর্ন স্কোয়াড সম্বন্ধে আরো অনেক তথ্য জানতে বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
Leave a Reply