রোজা রেখে নাভির নিচের লোম কাটা যাবে কি

রোজা রেখে নাভির নিচের লোম কাটা যাবে কি

কেউ যদি রোজা রেখে নাভির নিচের লোম কাটা যাবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাই তাহলে তাদেরকে অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করা হবে। ইসলামী শরীয়া মোতাবেক প্রতি 40 দিনের ভেতরে এটা কাটা উচিত এবং কোন ক্ষেত্রে আপনার যদি এটা দেরি হয়ে যায় এবং যদি মনে করেন রোজার মাসে এটা কাটা যাবে কিনা তাহলে আপনারা অবশ্যই সঠিক ফতোয়া জেনে নেবেন।

আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে রোজা রেখে যারা নাভির নিচে লোম কাটতে চাইছেন তারা অবশ্যই সঠিক নিয়ম জেনে নিতে পারলে আপনাদের মনের ভিতর কনফিউশন থাকবে না অথবা এই ভিত্তিতে আপনারা ক্ষৌর কর্ম করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বুঝিয়ে দিলে আপনাদের মনের ভেতরের অনেক সন্দেহ দূর হয়ে যাবে এবং আপনারাও হয়তো সঠিক উত্তর জেনে নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

রোজার মাস যেহেতু এক মাস হয়ে থাকে সেহেতু এই মাসে আপনারা হয়তো অনেকে অনেক কাছ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখ। তবে মনের ভ্রান্ত ধারণার কারণে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করার ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই এবং আমরা আমাদের নিজেদের ভেতরের স্বল্প জ্ঞানের কারণে এগুলো বন্ধ করে রাখি। আবার অনেক বিষয়ে আমাদেরকে বরখেলাপ করার কথা বলা হলেও আমরা নিজেরাই নিজেদের চাহিদা না থাকার কারণে বরখেলাপ করে থাকি। কিন্তু আপনি যখন ফরজ কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুন্নাহ সম্মত কাজ করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম মেনে নিয়ে প্রত্যেকটি কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে।

শরীরের কিছু কিছু অংশের লোম খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে যায় বলে আমরা সেগুলো ছাটাই করতে চাই। বিশেষ করে যাদের দাড়ি রাখার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকেন তারা হয়তো ভাবেন এটা রমজান মাসে সেভ করলে ভালো হতো। কিন্তু রমজান মাসে আপনারা কষ্ট করে রাখলেও ঈদের দিন এগুলো সেভ করে ফেলেন।

ঠিক একই ভাবে আপনারা যখন রমজান মাসে নাভির নিচের লোম কাটা যাবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কারণ আপনি যদি সঠিক তথ্য না জানেন তাহলে আপনার ভেতরে কনফিউশন থেকে থাকবে এবং আপনি নাভির নিচের লোম কাটবেন কি কাটবেন না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।

তবে এই বিষয়ে আমরা একটা কথা বলতে চাই যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। আপনি ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী যতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পারবেন ততটাই আল্লাহ পাকের কাছে একজন ভালো বান্দা হিসেবে বিবেচিত হবেন। তাই আপনার নাভির নিচের অবাঞ্ছিত লোম যদি কাটার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই এটা যদি রমজান মাসে কাটার দরকার হয় তাহলে কাটতে পারবেন।

অর্থাৎ রমজান মাসে এটা কাটলে যে আপনার রোজা ক্ষতি হবে অথবা সিয়াম নষ্ট হবে এমন ধারণা নিয়ে এগুলো বন্ধ করে রাখা ভুল হবে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে যেহেতু আমরা এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে সেহেতু এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনারা সরাসরি এটা জানতে পারলেন যে রোজার মাসে আপনারা যদি নাভির নিচে লোম কাটেন তাহলে কোন সমস্যা নেই।

প্রধান কথা হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে যদি আপনার সেই নাভির নিচের অবাঞ্ছিত লোম কাটার প্রয়োজন হয় তাহলে কাটবেন। তবে এখানে ক্ষুর অথবা ব্লেডের স্পর্শ হবে বলে অবশ্যই সাবধানের সঙ্গে আপনাদেরকে কাজগুলো করতে হবে যেন রক্ত না ঝরে। সঠিকভাবে প্রত্যেকটি কাজ আপনারা যদি করতে পারেন তাহলে কোন সমস্যা নেই এবং এটা আপনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে রাখবে ‌। আশা করছি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা রমজান মাসে নাভির নিচে লোম কাটা যাবে কিনা সে বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে গিয়েছেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনাদের আরো কোন কিছু জানা থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*