
আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম তখন সবসময় আমাদের পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে অনেক চিন্তা হতো। শিক্ষার্থীর মনে স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে চিন্তা হয় কিন্তু অনার্স লেভেলে এসে এমন একটি রেজাল্ট যেটা আমাদের অনেকের ঘুম হারাম করে দেয়। সেটা হচ্ছে সিজিপিএ গ্রেডিং পয়েন্ট।
সাধারণত চার বছরে গ্রেডিং পয়েন্টে এক জায়গাতে করে সিজিপিএ গ্রেডিং পয়েন্ট তৈরি করা হয় এবং সেটা নিয়ে বহু শিক্ষার্থীদের মনে অনেক ভুল ধারণা আছে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সকলের ভুল ধারণা দূর করতে আমরা আজকের আর্টিকেল তৈরি করছি। আপনি সিজিপি এর সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে এবং এই সিজিপি এর গ্রেডিং পয়েন্টের মাধ্যমে আপনি কিভাবে আপনার রেজাল্ট তৈরি করবেন সেটাও আমরা আপনাদের দেখিয়ে দেব।
সিজিপিএ এর পূর্ণরূপ কি
সাধারণত সিজিপিএ হচ্ছে একটি ইংরেজি শব্দ এবং এই ইংরেজি শব্দ রয়েছে একটি পূর্ণর। এখানে CGPA = Cumulative grade point average বোঝানো হয়ে থাকে। যার বাংলা অর্থ এসে ধারায় আপনি চার বছরে যে ফলাফল অর্জন করেছেন তার একটি এভারেজ ফলাফল হচ্ছে সিজিপিএ গ্রেডিং পয়েন্ট।
যারা এই সিজিপিএ গ্রেটিং সম্পর্কে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন এবং যাদের মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে তাদেরকে বলবো আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনার সকল প্রশ্নের সমাধান আপনি নিজে পাবেন। তাই আশা করছি আপনারা সিজিপি এর সম্পর্কে ধারণা পেতে আমাদের এখানে চোখ রাখ।
জিপিএ গ্রেড এবং সিজিপিএ গ্রেড এর মধ্যে পার্থক্য
সাধারণত জিপি একজনকারী শিক্ষার্থীদের বলা হয় জিপিএ শিক্ষার্থী কিন্তু যারা সিজিপি অর্জন করে তাদের ক্ষেত্রে সিজিপি বলা হয়। জিপিএ বাংলাদেশের এসএসসি সহ অন্যান্য বিভিন্ন একাডেমিক বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্টের পাশে লিখা হয় কিন্তু শুধুমাত্র অনার্স অথবা ডিগ্রিতে সিজিপিএ লেখা হয়।
তার কারণ হলো অনার্সে চার বছরের পরীক্ষার রেজাল্ট একত্রে করেছি জিপে করা হয় এবং ডিগ্রিতে তিন বছরের পরীক্ষার রেজাল্ট একত্রে করে সিজিপিএ করা হয়। এখান থেকে হয়তো আপনারা ধারণা পেয়েছেন যখন বেশ কয়েকটি বছরে রেজাল্ট একত্রে করে একটি ঘর তৈরি করা হবে তখন সেটাকে বলা হবে সিজিপিএ এবং শুধুমাত্র একটি ইয়ার অথবা ডিগ্রী পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় তখন সেটা হবে জিপিএ।
বাংলাদেশের সিজিপিএ গ্রেডিং পদ্ধতি
সাধারণত বাংলাদেশের অনার্স এবং ডিগ্রী লেভেলে যারা পড়াশোনা করছেন তাদের চার বছর এবং তিন বছরের কোর্স শেষে একটি রেজাল্ট প্রদান করা হয় এবং সেই রেজাল্ট কে বলা হয় সিজিপিএ রেজাল্ট। এখন আসুন আমরা সকলে একই সঙ্গে জানি cgp এ রেজাল্ট কিভাবে তৈরি করা হয়।
মনে করুন আপনি অনার্সের একজন শিক্ষার্থী এবং চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফাইনাল রেজাল্ট বের হয়েছে। এখন আপনি যদি গত তিন বছর এবং এই চতুর্থ বছরের রেজাল্টের সিজিপিএ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে চারটি বছরের রেজাল্ট এক সঙ্গে করতে হবে। মনে করুন আপনি ফার্স্ট ইয়ারে অর্জন করেছেন ৩.৫০ এবং সেকেন্ড ইয়ারে অর্জন করেছেন ৩.৫০, যথাক্রমে থার্ড ইয়ারে অর্জন করেছেন ৩.৫০ এবং সর্বশেষ ফোর্থ ইয়ারে অর্জন করেছেন ৩.০।
যদিও এরকম ধারাবাহিকভাবে কেউ রেজাল্ট অর্জন করতে পারে না তবে আমরা আপনাদের বোঝানোর জন্য এইভাবে বোঝাচ্ছি। এখন এই চারিয়ারের সিজিপিএ রেজাল্ট বের করতে হলে আপনাকে প্রত্যেকটি ইয়ারের রেজাল্ট যোগ করতে হবে। এ রেজাল্ট যদি যোগ করা হয় তাহলে আসবে ১৩.৫০। এখন সিজিপিএ বের করতে হলে চার দ্বারা একে ভাগ করতে হবে।
ঠিক একইভাবে আপনি যদি ডিগ্রি পরীক্ষার রেজাল্ট বের করতে চান তাহলে আপনার ডিগ্রীর তিন বছরের রেজাল্ট একত্রে করে তাকে তিন দ্বারা ভাগ করতে হবে। সব ভাষায় বলতে গেলে সিজিপিএ রেজাল্ট বের করতে হলে আপনাকে সকল ইয়ারের রেজাল্ট যোগ করে এবং আপনি যত ইয়ারের রেজাল্ট যোগ করছেন সেই সংখ্যাটি দ্বারা একে ভাগ করলে সিজিপিএ রেজাল্ট বের হয়ে যাবে।
Leave a Reply