
আমরা যখন ডাক্তারের দোকানে যাই অথবা আমাদের পিতা-মাতা সঙ্গে যায় তখন দেখা যায় যে আমাদের বয়স কম থাকার কারণে অনেক ডাক্তার টেস্টি হজমী অথবা সিভিট প্রদান করে থাকেন। মূলত এটা আমাদেরকে খুশি রাখার জন্য প্রদান করে থাকেন এবং এই সিভিট যখন আমরা খেয়ে থাকি তখন আমাদের অনেক ভালো লাগে এবং এটিকে আমরা মজা পাই। কিন্তু শিবির যে একটা ওষুধ এটা যদি জানি তাহলে আমরা এটা নিয়ম মেনে খেলে অথবা আমাদের প্রয়োজনে যদি এটা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজেই সমাধান হয়ে যায়।
মূলত সিভিট হল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এক ধরনের ওষুধ যা আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে যে ধরনের রোগ হয় সে ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে এবং আমাদেরকে সুস্থ রাখে। অনেক সময় দেখা যায় ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের শরীরটা বিভিন্ন ধরনের অসুখ যেমন আমাদের দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া অথবা দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই দাঁত এবং চুল যদি আমরা নিয়মিতভাবে ভালো রাখতে চাই অথবা সুস্থ রাখতে চাই তাহলে আমরা যদি একটা করে সিভিক প্রতিদিন খাই তাহলে এগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসবে।
তাই দাঁত এবং চুল ভালো রাখার জন্য আমরা সিভিট খেতে পারি যা আমাদের শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের লোকগুলো ক্ষমতা গুলোকে বৃদ্ধি করে দেবে। এছাড়াও সিভিট খেলে দেখা যায় যে ভিটামিন সি সংক্রান্ত যে ধরনের সমস্যা গুলো হয়ে থাকে সেগুলো দূরে সরিয়ে রাখে এবং বিশেষ করে আমরা যদি ঠান্ডায় সর্দি কাশি থেকে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকে তাহলে ভিটামিন সি অথবা সিভিটা আমাদের শরীরের এ ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান করে দেয়।
তাছাড়া ভিটামিন সি খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে যে ক্যান্সারের বাসা বাধার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো দূরে সরে যায় এবং আমরা সুস্থতা অবলম্বন করে জীবন যাপন করতে পারি। তবে সিভিটের অনেক উপকারিতা থাকলে বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে এবং আপনি যদি এটা মুখের সাথে প্রত্যেকদিন দুই তিনটি করে খান অথবা বেশি পরিমাণে খান তাহলে দেখা যাবে যে এটা আপনার শারীরিক দিক থেকে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করবে।
সুস্থ শরীরে প্রতিদিন একটা সিভিট খাওয়া যায় এবং একটির বেশি খাইলে আপনাদের সমস্যা হতে পারে। তবে যে সকল মানুষের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ডাক্তার তিন বেলা অথবা এর অধিক সময় সিভিট খেতে বলবে সে সকল পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা অধিক পরিমাণে সিভিট খেতে পারেন আর যদি কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার বুক জ্বালাপোড়া থেকে বমি বমি ভাব অথবা ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে।
Leave a Reply