২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যে সকল শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হয়েছেন এবং এখন একাদশ শ্রেণীতে কলেজে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আপনাদের অতীত শীঘ্রই ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে এবং সারাদেশের সকল শিক্ষার্থীর তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা যাবে বলে এই বিশেষ পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই আপনি যদি একাদশ শ্রেণীতে অথবা ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে চান তাহলে দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইটের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করবেন এবং এখানকার এই নোটিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করবেন। কারণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে আপনি ভর্তি নিশ্চয়নে আসতে পারবেন না এবং পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করে ক্লাস ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
যেহেতু ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে সেহেতু মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যাতে করে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে। আমরা সকলেই জানতে পেরেছি যে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে এবং আবেদন থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রসেস সম্পন্ন করার পর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ক্লাস ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করতে পারবে। তাই আপনি যদি 2022-23 শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়ে নিবেন এবং এখানকার এই নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে যাতে করে আপনারা সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।
একাদশ শ্রেণির ভর্তির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্য সরকারি অথবা বেসরকারি অথবা স্থানীয় পর্যায়ে সকল কলেজের আবেদন প্রক্রিয়ায় আপনাদেরকে
http://xiclassadmission.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে করতে হবে। এখানে গিয়ে আপনার এসএসসি পরীক্ষার রোল নাম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সহ অন্যান্য তথ্য ইনপুট করলেই সেখানে আপনার তথ্যগুলো প্রদর্শন করানো হবে এবং আপনি যে কলেজগুলোতে ভর্তি হতে চাইছেন সেই কলেজগুলো চয়েজ প্রদান করতে পারবেন। সর্বোচ্চ পাঁচটি কলেজে আপনারা চয়েস প্রদান করবেন যাতে করে প্রথম মেধা তালিকায় আপনাদের ভর্তি নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে যে রেজাল্ট কম থাকার কারণে অথবা পরীক্ষায় নাম্বার কম থাকার কারণে নাম্বার ওয়ান কলেজগুলোতে চয়েজ দেওয়ার কারণে প্রথম মেধা তালিকায় সুযোগ হয়নি।
তাই আপনাদেরকে কলেজ চয়েজ এমনভাবে প্রদান করতে হবে যাতে করে প্রথম মেধা তালিকায় এসে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন। তাই আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে আমরা বলব যে এই নিয়মের মধ্য দিয়ে আপনারা যদি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে করতে পারেন। নোটিশের প্রকাশিত তারিখের ভেতরে অনলাইনে আবেদন করবেন এবং আবেদন করার সময় অভিভাবকের তথ্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে অনলাইন সার্ভিসের দোকান থেকে করলে মোবাইল নাম্বার নিজের প্রদান করুন এবং প্রত্যেকটি তথ্য এমন ভাবে প্রদান করুন যাতে করে পরবর্তীতে আপনাদের কোন তথ্য সংশোধন করা না লাগে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদন ফি হিসেবে ১৫০ টাকা আপনাদেরকে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা লাগবে।
ভর্তির ক্ষেত্রে আপনারা শিক্ষার্থীর তথ্য এবং তার বিগত প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি অভিভাবকের তথ্য এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যগুলো নিখুঁতভাবে প্রদান করুন। তবে নাম্বার ওয়ান কলেজগুলোতে প্রথম পছন্দের তালিকায় দেওয়ার জন্য অবশ্যই আগে থেকে বিগত বছরের সমীক্ষা অথবা বিগত বছরের বড় ভাইবোনদের থেকে জেনে নিতে পারেন। কারণ ২০২৪ সালের জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং এই থেকে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কলেজ গুলোতে সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর চাপাচাপি হবে বলে আগে থেকে আপনারা যদি জেনে নিতে পারেন তাহলে কোন ধরনের ছাড়াই আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া কোন কলেজে ভর্তি হতে চান সে বিষয়ে উপরের উল্লেখিত ওয়েবসাইটে আপনারা বিস্তারিত দিক নির্দেশিকা পেয়ে যাবেন এবং কোন কলেজের আসন সংখ্যা কত সে বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
Leave a Reply